প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার দূরত্বে ‘পটু’
‘পটু‘ ছবিটি ট্রেলারে যে দক্ষিণী ছবির ভাইবে হাজির হয়েছিল পুরো ছবির নির্মাণে সেটি থাকেনি। প্রত্যাশা যে পরিমাণ ছিল তার সাথে এর দূরত্ব রয়েছে; এমনকি ছবিটির সম্ভাবনাকেও কাজে লাগানো যায়নি।
‘পটু’ ওভারঅল ওয়েলমেইড ছবি হয়ে ওঠেনি। ছবিটির যে সম্ভাবনা ছিল সেটিকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারেননি পরিচালক আহমেদ হুমায়ুন। তিনি যেটুকু পরিশ্রম করেছেন তার জন্য সাধুবাদ পাবেন; কিন্তু ছবি কেমন হয়েছে সেটাকেই শেষকথা ভাবলে তিনি সম্ভাবনাটাকে সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে পারেননি।
ছবির প্রথমার্ধ্বের অপ্রয়োজনীয় সিলি কমেডি দিয়ে সময়ক্ষেপণের চেষ্টাটি চোখে লেগেছে। দ্বিতীয়ার্ধ্বের মাঝামাঝি থেকে যে টুইস্টটা আসা শুরু করল গল্পে সেটা ভালো ছিল। ছবির শেষ আধঘণ্টা বেশ ভালো ছিল। সিনেমাটোগ্রাফি কিছু জায়গায় খুবই ভালো এবং বিজিএমও। ছবির যে গল্পটিকে দেখানো হয়েছে সেটি সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা, সামাজিক সচেতনতাও ছিল কিন্তু এক্সিকিউশনটা আরো ভালো করা যেত। ছবির দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস না বাড়িয়ে যতটুকুই দৈর্ঘ্য সেটাকে ওভারঅল ভালো করে ব্যবহার করলে ছবিটি আরো ওয়েলমেইড হয়ে উঠত।
ইভান সাইরের অভিনয় ক্ষেত্রবিশেষে ন্যাচারাল তবে তার নেগেটিভ অ্যাঙ্গেলের অভিনয় যতটা ভালো পজেটিভে তার থেকে কিছুটা পিছিয়ে। তার চোখ দুটো দেখতে গভীর মনে হয় অভিনয়ে সেই গভীরতা চলচ্চিত্রে আসতে দেরি হবে যদি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হতে চায়। তার বিপরীতের মেয়েটি পজেটিভ, নেগেটিভ দুই চরিত্রেই ভালো ছিল। গ্রামবাসীদের মধ্যে ছবিতে যারা সিলি কমেডি করেছে তাদের অভিনয় অতিরঞ্জিত ছিল। শুধু শোয়েব মনির তার চরিত্রে ন্যাচারাল ছিল। সবচেয়ে ভালো অভিনয় করেছে দিলরুবা দোয়েল।
‘পটু’-র শেষ মুহূর্তের ইঙ্গিত দেখে এর দ্বিতীয় পর্ব আসবে এটা বোঝা যাচ্ছিল তবে যদি আসেও দ্বিতীয় পর্ব আরো সচেতনভাবে করতে হবে। নির্মাতাকে আরো সচেতন থেকে ছবির পুরো আড়াই ঘণ্টাকেই স্ট্রংলি সবদিক বুঝেশুনে উপস্থাপন করতে হবে নতুবা দ্বিতীয় পর্ব না করাই ভালো হবে।
রেটিং – ৫.৫/১০