বাংলাদেশি রম-কম ‘প্রেমী ও প্রেমী’ : চেষ্টা ও ফলাফল
প্রেমী ও প্রেমী
অভিনয় : আরিফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, আমজাদ হোসেন, রেবেকা ও আমান রেজা।
পরিচালক : জাকির হোসেন রাজু।
প্রযোজনা ও পরিবেশনা : জাজ মাল্টিমিডিয়া।
গল্প : ছবির গল্প নিয়ে নতুন করে আর কি বলার আছে।জাজের ঘরে শুভর ছবি মানেই কোন না কোন হলিউড মুভি থেকে গল্প আসবে।অগ্নিতে কলাম্বিয়ানা কিংবা নিয়তিতে নোটবুক সাথে হান্ড্রেড ডেজ উইথ মিস্টার এরোগেন্ট (এটা অবশ্য কোরিয়ান) এর এডাপশন দেখেছিলাম। আর এটাতে গল্পকারের নাম আবদুল্লাহ জহির বাবু ওরফে মৌলিক বাবু দেখেই আগে থেকে ধরে নিয়েছিলাম এটা ইনসেপশনের মতো ওনার স্বপ্নে চুরি হয়ে যাওয়া কোন গল্পই হবে। আসলেই তাই। হলিউড মুভি “লিপ ইয়ারের” থিম (!) অনুসরণ করে ছবিটা বানানো।আসলে কতটুকু টুকলে সেটাকে শুধু “থিম কপি” বলে তা আমার জানা নেই। এনিওয়ে,এটা একটা রম-কম ঘরানার গল্প। হলিউড-বলিউডের মুভি যারা রেগুলার দেখেন তাদের কাছে এই গল্পটা টিপিক্যাল মনে হলেও আমার কাছে বাংলাদেশে এই টাইপ গল্পের চর্চার আইডিয়াটা দারুণই লেগেছে।
অভিনয়
আরিফিন শুভ : একটা ছবি থেকে আরেকটা ছবিতে এসে নিজেকে ইম্প্রুভ করাটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়াটা বোধহয় শুভর অভ্যেস হয়ে গেছে। ট্রেলার দেখে শুভর ডায়ালগ ডেলিভারির সমালোচনা করব এমনটাই ঠিক করে হলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনা হয়ে গেল পুরো উল্টো। আসলে ছবির প্রত্যেকটা দৃশ্যের সাথে ওই ডায়ালগ ডেলিভারি পারফেক্ট ছিল। ট্রেলার মেকিংয়ের দূর্বলতার কারণেই এই দশা হয়েছিল। হোয়াটএভার, শুভর আরেকটা ম্যাচিউরড পারফরমেন্স ছিল এই ছবিটা। যেহেতু ছবিটার সব ফুটেজই খেয়েছেন এর নায়ক-নায়িকা, সেই জায়গা থেকে বলবো শুভ প্রত্যেকটা সেকেন্ডে পারফেক্ট ছিলেন। ওর ফুলমার্কসই প্রাপ্য।
নুসরাত ফারিয়া : যখন আরজে ছিল তখন থেকেই তার প্রতি আমার এলার্জী ছিল। তার উপর যেভাবে ওর সমালোচনা দেখি তাতে ওকে নিয়ে দুই চারটা ভালো কথা বলতেও ভয় পাই। যাই হোক, অভিনয়ে ফারিয়া শাবনুরের ছটাকও এখন অবধি পায়নি, উপরন্তু তার স্টেরিওটাইপ থেকে বের হতে চাওয়ার কোন লক্ষণও দেখছি না। তবে, এটা অবশ্যই স্বীকার করতে বাধ্য শাবনুরের পর আর আর কোন অভিনেত্রীকেই দেখিনি এতটা কনফিডেন্টলি পর্দায় আড়াই ঘন্টা থাকতে। ওর কনফিডেন্স লেভেল ইমপ্রেসিভ। লন্ডনফেরত মারিয়া ক্যারেকটারে ও পারফেক্ট কাস্টিং ছিল। যদিও বারবার একই এক্সপ্রেশন দিয়ে ফিমেল রামচরণ হয়ে যাচ্ছিল। তারপরও মদ খাওয়ার পরের অভিনয়, এক্সপ্রেশন, ডায়ালগ ডেলিভারি ওয়াজ আউটস্ট্যান্ডিং। সবার একটা কমন সমালোচনা ওর ভয়েস নিয়ে। এই ছবিতে আমার মনে হয়েছে ওর একসেন্টের জন্যই কিছু ম্যাড়মেড়ে ডায়ালগও অনেক আধুনিক লেগেছে।
আমজাদ হোসেন : উনার উপস্থিতি কম হলেও ভালোই ছিলেন।
আমান রেজা : পুরো ছবিতে উনার আহামারিভাবে দেখানোর কোন উপলক্ষই পরিচালক তৈরি করতে পারেননি। একান্তই বলতে গেলে বলবো, উনার লুকটাতে বরুণ ধাওয়ান টাইপ লাগছিল।
রেবেকা ও চিকন আলী : বাংলা ছবির বর্তমানে দুইজন কমন ও বিরক্তিকর কাস্টিং। মা-মাসির ক্যারেক্টার করতে গেলেও একটু আধটু অভিনয় জানা লাগে এই ব্যাপারটা রেবেকাকে বোঝাবেটা কে। আর চিকন আলী নামক ভাড়টাতো দিনের পর দিন আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে।
জুনিয়র আর্টিস্ট : বাংলা ছবির পরিচালকদের ঐতিহ্য রক্ষা করে এবারও রাজু সাহেব এসব সাইড আর্টিস্টদের থেকে অভিনয় আদায়ে ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন। তবে ‘নিয়তি’র মতো সবাই রোবটের মতো দাঁড়িয়ে থেকে ডায়ালগ শোনা বাদ দিয়ে কিছুটা নড়াচড়া করেছে- এটাই ছিল ব্যতিক্রম।
গান : ছবিতে মোট গান ছিল চারটি। যেখানে প্রথম হাফে মাত্র একটা খরচ করে বাকি তিনটাই ছেড়েছেন সেকেন্ড হাফে। মিউজিক ডিরেক্টর “যথারীতি” আকাশ সেন। কম্পেয়ার করতে বললে আমি ‘নিয়তি’র স্যভিকে একশোবার এগিয়ে রাখবো।তবে ইমরানের হিন্দি ওয়ার্ড মেশানো গানটা ভালো ছিল।ফার্স্ট হাফে টাইটেল সং না দিয়ে জমিয়ে রেখে সেকেন্ড হাফে বিয়েবাড়ির গায়ে হলুদের অনুরোধের গানের মত একটার পর একটা গান ছাড়াটা কেমন জানি ছিল।
কোরিওগ্রাফি : সম্ভবত বাবা যাদব ছিলেন কোরিওগ্রাফিতে। হতাশ করেন নি।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক : ছবির প্রথম ৫ মিনিট মিস করায় বলতে পারবো না এই কাজটা কে করেছিলেন। তবে এটা বলতে পারবো যিনিই করেন না কেন, তিনি লেটার মার্ক নিয়ে ফেল করেছেন। মিউজিকে কোন নতুনত্ব কিংবা কানের আরাম কোনটাই পাই নি।
চিত্রনাট্য ও সংলাপ : আবারো ৫ মিনিট মিস করার অজুহাত দিব। তাই ভালো করে জানতে পারিনি এই গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টমেন্টে কি মহান (!!!) বাবু সাহেব না ডিরেক্টর রাজু কাজ করেছেন। স্ক্রিপ্টে গতানুগতিক এফডিসিয় টানটা ছাড়াতে পারলেও গুছিয়ে তুলতে পারেনি। মূলত স্ক্রিপ্ট গোছানো হলে ছবিটা সত্যিই অসাধারণ হতো। কিছু দৃশ্য মনে হল জোর করেই আনা হয়েছে। তবে এটা বাবু সাহেব লিখেছেন এমনটা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, রাজু সাহেবের লেখা হতে পারে। কারণ বাবু সাহেব একটা ভালো গল্পের ইজ্জত নষ্ট করা ছাড়া আর কোন কিছুই ভালোভাবে করতে পারেন না।.
সংলাপ যিনিই লিখে থাকুন কষ্ট হয়েছে কম। গুলিস্তান থেকে কেনা “৩০ দিনে ইংলিশ শিখুন” ব্যবহার করে “লিপ ইয়ারের” ডায়ালগগুলোকে বাংলায় ইন্টারপ্রেটের কাজটাই কেবল করেছেন। তবে কিছু সংলাপ নতুন ছিল এবং সেগুলো সত্যিই ভালো ছিল। কোন অতিরিক্ত ভাঁড়ামো না করে সিম্পল ডায়ালগে পাঞ্চ লাইন দিয়ে হিউমার তৈরি করার কারণে কিছু বাড়তি মার্কস পাবে।
আর্ট ডিরেকশন : আহামরি আর্ট ডিরেকশন ছিল না আবার খারাপও ছিল না। তবে এফডিসিতে বানানো আমজাদ হোসেনের বাড়ির সেটটা শুরু থেকেই মেকি লেগেছে।
সিনেমাটোগ্রাফি : এই ডিপার্টমেন্টে কে ছিলেন তা যদি কেউ জানেন তবে প্লিজ জানাবেন। কারণ টেকনিক্যাল টিমের মধ্যে একমাত্র এই ব্যক্তিকে চোখ বন্ধ করে ফুলমার্কস দিতে পারি। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এরিয়াল শট বলি আর নরমাল শটই বলি,সত্যিই অসাধারণ ছিল। সাধারণ লোকেশনগুলোও ভালো লাগছিল শুধুমাত্র ক্যমেরার কাজের কারণে।
লোকেশন ও সেট : লোকেশনই ছিল এই ছবির আসল সম্পদ। বান্দরবানের সুবিধাটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিয়েছে। আমজাদ হোসেনের বাড়ির কথাতো আগেই বলেছি।
এডিটিং : ছবির এডিটিং ভালোই ছিল। কন্টিনিউটি ধরে রাখতে পেরেছিল।
ফাইটিং : ছবির অপ্রোয়জনীয় এবং দূর্বল দিক হলো ফাইটিং। আরমান সাহেব কৃতিত্বের সাথে এই ডিপার্টমেন্টে ফেইল করেছেন। জাজের কাছে রিকোয়েস্ট থাকবে এই জহির বাবু-আরমানরাই ছবি নষ্ট করতে যথেষ্ট।
ডিরেকশন : সিনিয়র পরিচালকদের মধ্যে রাজু সাহেবই এখন একমাত্র চলনসই ছবি বানাতে পারেন। ওনার আগে অনেক সুনাম শুনলেও ‘নিয়তি’তে ব্যর্থতা দেখে হতাশ হয়েছিলাম বলে ওই রিভিউতে ওনাকে নিয়ে আলোচনা স্কিপ করে গিয়েছিলাম। তবে এই ছবিতে বলতে হয় উনি যথেষ্ট ইম্প্রুভ করেছেন। যদি কেবল একটা স্ট্রং স্ক্রিপ্ট পেতেন তবে উনি ভাল কিছু করে দেখাতে পারতেন।
এবার আসি আসল সেগমেন্টে।
যেইসব কারণে ছবিটি মাস্টারপিসেরর সম্মান পাবে :
১. ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্লেন লন্ডন থেকে কলকাতা আসতে গিয়ে কলকাতার আশেপাশে কোন এয়ারপোর্ট ইভেন ঢাকাতে জরুরি অবতরণ না করিয়ে আরো বেশি পথ পার করে নায়িকার প্রয়োজনে চলে এল চট্টগ্রামে।
২. বান্দরবন থেকেই স্পেশাল চট্টগ্রাম-ঢাকা-কলকাতার বাস পেল।
৩. সাড়ে ১২ হাজারের ডলারের সুজ!!!! সিরিয়াসলি????
৪. লিপ ইয়ারে পুরো সময় ব্যাড ওয়েদার দেখালেও এখানে পরিচালকেরর মৌলিকত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ ছাড়া আর ব্যাড ওয়েদার আনলেন না। তাহলে এরপর বিমানের পরের ২ দিনের ফ্লাইট কেন ক্যান্সেল হলো আর মারিয়াই বা কষ্ট করে ৪ দিন ধরে রোড জার্নি করলো কেন?
৫. হীরা-পান্না পাহাড়ের মনুমেন্ট যে জাজের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত তা সফলভাবে দেখানোর জন্যই বোধহয় বেসের সাথে মূর্তির কয়েক সেমি ফাঁক রেখেছেন।
৬. ঢাকার মহাখালী ফ্লাইওভারও যে কলকাতায় সেটা “সাজনা” গানটা না দেখলে বুঝতাম না।
৭. যতদূর জানি শুভ কলকাতায় গিয়েছিল “সাজনা” গানটার কয়েকটা দৃশ্য শ্যুট করার জন্য। তখন যদি আর অল্প কিছু টাকা খরচ করে ফারিয়া আর আমান রেজাকে কলকাতার দুইটা টিকেট ধরিয়ে দিতেন আর বাবা যাদবের হাতে আর কয়টা টাকা বেশি গুঁজে দিতেন তাহলে যমুনা ফিউচার পার্ক, আমিন জুয়েলার্সের শোরুম আর বাংলাদেশী টাকাসমেত ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ কার্গো বিমানে করে কলকাতায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া লাগতো না।
৮. লিপ ইয়ারের কান্ট্রিগুলো না হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ছিল, ভারত আর বাংলাদেশ এমন কোন এশিয়ান ইউনিয়নভুক্ত যে কোন ক্লিয়ারেন্স ছাড়া মারিয়া এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে বের হবে।
৯. লিপ ইয়ারে নায়ক আয়ারল্যান্ডকে ছুরি কাচির দেশ বলে। কিন্তু আমি যদি ভুল না করি তাহলে শুভ সম্ভবত এই টাইপ কথা একেবারেও বলেনি। তাহলে কলকাতায় গিয়ে ফারিয়া কিভাবে বললো “তুমি না বলেছিলে এটা……. এর শহর”????????
১০. জাজ বলেছিল তারা কলকাতা দখল করবে।আসলেই তারা কলকাতা দখল করে ফেলেছে। প্রমাণ দেখতে চান? এই ছবির কলকাতার সবকটা চরিত্রই শাকিব খানের জান্নাতকে ফলো করে বাড়ি বানিয়ে থাকে এবং কলকাতার একসেন্ট ছেড়ে বাংলাদেশি একসেন্টে কথা বলে।
সত্যি বলতে হলের রেগুলার দর্শকদের জন্য ছবিটা আসলেই উপভোগ্য বলে মনে হল। তাইতো সপ্তাহ শেষের শোতে এসেও হল এমন কানায় কানায় পূর্ণ। দর্শকদের হাসি এবং হাততালি বলে দেয় এটি একটি এন্টারটেইনিং ফিল্ম। তাই বলবো আপনি যদি বাংলা ছবির রেগুলার দর্শক হয়ে থাকেন তবে কিছুটা ভিন্ন রুচির এই ছবিটি আপনার ভালোই লাগবে। সত্যি বলতে এই টিমটা আগের চেয়ে অনেক বেটার কাজ করেছে। আশা করা যায় মাস অডিয়েন্সের কাছে ছবিটা যেভাবে টাচ করতে পেরেছে তাতে হিটের তকমা পাবে।
পুনশ্চ : আমার আগে দেখা হলগুলো হল যমুনা ব্লকবাস্টার, স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা, শ্যামলী, মধুমিতা এবং অভিসার। এই প্রথম দেখলাম বর্ষা (গাজীপুর চৌরাস্তায়)। সত্যি বলতে ঢাকার বাইরে হলের কী অবস্থা তা এই হল না দেখলে বোঝা যাবে না। হলের মধ্যে চামচিকা উড়ে।তবে তার উপর যেটা দেখে বেশি অবাক হলাম তা হলো টিকেটের গায়ে লেখা ডিসি- ৩৫ টাকা আর নিলো ১০০ টাকা!!!!!! কাউন্টার থেকে টিকেট নিতে গিয়ে আগে কখনোই এই টাইপ জোচ্চুরির শিকার হয়েছি বলে মনে হয় না। টিকেটের দাম যদি সত্যিই ১০০ হতো তাতে সমস্যা ছিল না। কিন্তু গায়ে লেখা ৩৫ টাকা যার মধ্যে প্রবেশমূল্য ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। তার মানে প্রডিউসার এটা থেকে ভাগ পাবেন। প্রশ্ন হলো কতইবা পাবেন? এই টাইপের ডাকাতিই বা কেন। বরাবরের অজুহাত হলো বাংলাদেশে হলে দর্শক আসে না। সত্যিটা হল আজ সন্ধ্যার শোতে ডিসিতে শুধু ৫টা সিট খালি ছিল আর নিচটাও পুরো ভর্তি ছিল। কিন্তু প্রযোজক এখান থেকে কত টাকাই বা পাচ্ছে। আমি শিওর যারা টিকেটের দাম নিয়ে জোচ্চুরি করছে তারা নির্ঘাত আজ সন্ধ্যার শোর রিপোর্ট প্রযোজকেরর কাছে দিবে দর্শক ছিল ৫ জন। বারবার বলা হয় দর্শক হলে আসে না। আমি বলবো দর্শক হলে আসছে এবং চড়া দাম দিয়েই ছবি দেখছে। আগে আপনাদের ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ঠিক করেন। বৃকিং সিস্টেম বাদ দিয়ে ভারতের মতো রেন্টাল সিস্টেম চালু করেন। তাহলেই আসল রিপোর্টটা পাবেন। বাই দা ওয়ে,টিকেট কিনতে গিয়ে আপনারা কেউ এই টাইপ জোচ্চুরির শিকার হয়ে থাকলে কমেন্টে অভিজ্ঞতা শেয়ারের অনুরোধ রইল। আর পোস্টটা জাজের কারো চোখে পড়লে ১৬ ফেব্রুয়ারির বর্ষার সেল রিপোর্টটা প্রকাশের অনুরোধ রইল।