ফেসবুকে প্রশংসা ঝড়ে ‘জিরো ডিগ্রী’
মুক্তির প্রথমদিনেই প্রশংসার ঝড়ে উড়ছে ‘জিরো ডিগ্রী’। ফেসবুকে সিনেমাকেন্দ্রিক বাংলাদেশী গ্রুপগুলোতে শুক্রবার কিছু ছোট রিভিউ ও স্ট্যাটাস চোখে পড়ে। যাতে উঠে আসে চলচ্চিত্রটির প্রশংসা। সংখ্যা বেশি না হলেও এ ধরনের ইতিবাচক রিভিউ দর্শকদের উৎসাহ দিতে যথেষ্ট। আসুন দেখে নিই তেমন কিছু লেখার অংশবিশেষ-
প্রজন্ম সানু লিখেছেন, “দেখে আসলাম শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে ‘অনিমেষ আইচ’ পরিচালিত ‘জিরো ডিগ্রী’। এই সিনেমাটা একটা বিশেষ শ্রেনীর দর্শকের কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে, সব শ্রেনীর দর্শকের জন্য এই সিনেমা নয়। বিশেষ করে ইয়ো ইয়ো টাইপের ছেলে-মেয়েরা যারা বাংলাদেশী সিনেমার নাম শুনলে নাক সিটকায় তাদের জন্য এই সিনেমা একটা চটপোঘাত। সেখানে তিনি সফল সবাই অনেক মজা পেয়েছে সিনেমাটা দেখে, একজন পরিচালকের সবচেয়ে বড় পাওনা দর্শকদের মন ভরিয়ে দিতে হাততালি পাওয়া। সিনেমাটার শেষে সবাই হাততালি দিয়েছে এবং অনেককে দেখলাম হলথেকে মনে হয় বের হবে না এমন অবস্থা। আমার সিনেমাটা দেখে পয়সা উসুল এ কথা বলব না বরঞ্চ উনি আরও আমার কাছে পাবে।”
শাহনেওয়াজ রাব্বী লিখেছেন, ‘মুক্তির আগেই ছবি নিয়ে প্রযোজক প্লাস অভিনেতা মাহফুজ বলেন, কেউ একবার ছবিটি দেখতে বসলে আর উঠতে পারবে না। শিল্পী নয়, গল্পের কারণেই দর্শক ছবিটি উপভোগ করবে’। সত্যি কথা, ছবিটি দেখতে বসলে আপনি উঠতে পারবেন না। কেন বললাম এই কথা কারণ একটাই আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি এই ধরণের ছবি আপনি আগে বাংলাদেশের কোন প্রেক্ষাগৃহে দেখেন নাই।’
মিশাল ইসলাম তার দীর্ঘ স্টাটাসের এ স্থানে লিখেছেন, “জিরো ডিগ্রী হল বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতিশোধের গল্প। টিপিকাল বাংলা সিনেমার মত বাবার হত্যার প্রতিশোধ না!!! এখানে নায়কের নায়িকার সাথে কোমর দুলানো নাচও নাই। কিন্তু দুইটা ছেলে ও মেয়ে তাদের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে কিভাবে প্রিয়জনদের দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয় এবং এরপর কিভাবে প্রতিশোধ নেয় সেটাই এখানে দেখানো হইসে।’
এ ছাড়া তিনি কিছুটা সমালোচনার সুরে লিখেন, ‘তবে এই সিনেমা কিভাবে আমাদের সেন্সর বোর্ড সাধারণ বিভাগে মুক্তি দিল আমি বুঝলাম না!!! সিনেমায় অতিরিক্ত পরিমাণ ধূমপানের দৃশ্য আছে, আমার মতে মানসিকভাবে বিষণ্ণ যারা তাদের এই মুভি দেখতে দেয়া উচিত না এবং সিনেমাটি ১৫+ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার ছিল। কোন শিশু এই সিনেমা দেখলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তবে সব কথার শেষ কথা, এমন সিনেমা মাত্র ২৫ টি হলে মুক্তি পাওয়া আমাদের জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশে সিনেমার বিপ্লব হচ্ছে, আপনারা হলে যান।’
নির্ঝর রুথ ঘোষ ফেসবুকে হলের কিছু ছবি শেয়ার করেন। তিনি দীর্ঘ স্টাটাসের এক জায়গায় লিখেছেন, “বাংলাদেশে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার খুব একটা হয়েছে কিনা জানা নেই। একবার হুমায়ূন ফরিদীর ‘বিশ্বপ্রেমিক’ দেখেছিলাম যেটা ছিল এ রকম একটা মুভি। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের সিনেমা জগতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের মধ্যে এ ধরনের মুভি চোখে পড়েনি। তাই খুব আগ্রহ নিয়েই সকাল দশটায় স্টার সিনেপ্লেক্সে চলে গিয়েছিলাম সাতজনের দল নিয়ে। বলা ভালো যে, আমাদের টিকেটের মূল্য পানিতে পড়েনি।”