Select Page

ফ্লপ সত্ত্বেও যৌথ প্রযোজনা কেন হয়?

ফ্লপ সত্ত্বেও যৌথ প্রযোজনা কেন হয়?

Hero-420

‌‘জাজ মাড়োয়ারিদের সাথে ব্যবসা করছে। তোমরা বলছো সব বড় বড় ফ্লপ! তাহলে তারা কেন করছে! তারা কি বোকা! কখনই না।’– ঢাকার কারুনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যৌথ প্রযোজনা সম্পর্কে এমন কথা বলেন কলকাতার নির্মাতা পীযূষ সাহা।

যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণে আসা এ নির্মাতা আরো বলেন, ‘তারা তাদের মতো সিনেমা বানিয়ে বানিয়ে লোকজনের নেশা করিয়ে দেবে। লোকজন অভ্যস্ত হয়ে যাবে। তখন আর কেউ ছোটখাট প্রডিউসারের ভুলভাল সিনেমা দেখবে না। ওদের পলিসিটা এই মূহূর্তের না। ওরা গাছটা পোতে ৩ বছর পর ফল খেতে। আর বাঙালিরা গাছ পুতে পরদিন পাতার ফাঁকে ফল খোঁজে। বাঙালি ফুল হওয়া গাছের ফুল ছিঁড়তে ভালোবাসে। গাছটা লাগিয়ে ফুল ফোটাতে জানে না। আর বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।’

সাক্ষাৎকারে তির্থক আহসান রুবেল প্রশ্ন করেন, ‘কিন্তু বর্তমানে যৌথ প্রযোজনার নামে তামিল-তেলেগু সংস্কৃতিকে বলা হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতি। তাহলে এই যে জোর করে একটা সংস্কৃতিকে আমার ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা! এটা তো প্রতিহত করতেই হবে!’ উত্তরে পীযুষ বলেন, ‌‘দেখ এটা আমারও বক্তব্য। তামিল-তেলেগু থেকে গল্প নিক। কিন্তু মেকিংটা করুক আমাদের আবহে। তামিলরা কোরিয়ান সিনেমা কপি করে। কিন্তু সেটাকে তামিল ঘরানার করে নেয়। যেমন বিরিয়ানি তুমি যে দেশে যাবে, সে স্টাইলে খাবে। কিন্তু জিনিসটা একই বিরিয়ানি।’

কলকাতার সিনেমার মন্দা বাজার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসলে কলকাতায় মাড়োয়ারি প্রডিউসার ঢুকে গেছে। মাড়োয়ারিরা করে কী, ধু ধু মরুভূমিতে গিয়ে ১০০/২০০ একর জমি কিনে ফেলে। বাঙালিরা তখন বলে ব্যটা মাওরা ভূত! কোথায় জমি কিনল! দুবছর পর দেখা যায় সেখানে ইন্টারন্যাশনাল হাইওয়ে রোড যাচ্ছে। ততদিনে এক লাখ টাকার জমি ৪ লাখ হয়ে গেছে। বাঙালি তখন ধারদেনা করে চার কাঠা জমি কিনে সেখানে।’


Leave a reply