বছরের প্রথমদিন মান্না উৎসব
আগের ঘোষণা মতোই ‘মান্না উৎসব ২০১৬’ পালিত হতে যাচ্ছে নতুন বছরের প্রথমদিন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে এই উৎসবের আয়োজন করেছে মান্না ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর দুপুরে এফডিসির ভিআইপি প্রোজেকশন হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেখানে প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না আক্ষেপ করে বলেন, ‘মান্নার মৃত্যুর পর যে পরিমাণ মানুষ সারা শহরে ভিড় করেছিল, এই রকম মানুষ কোনো নেতা মারা গেলেও হয় না। তার মৃত্যুর পর এই উৎসব নিয়ে নানা পরিকল্পনা করার চেষ্টা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। আমি প্রতিবাদ জানাতে চাই, যারা আমাদের পাশে থাকার কথা তারা পাশে থাকেননি। স্পন্সর হিসেবে যাদের আশা করেছিলাম, তাদেরকে পাশে পাওয়া যায়নি। তারপরও এ উৎসব হচ্ছে এবার। এটাই আশার কথা। বেশ বড় পরিসরে এবারের উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।’
ওই সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী, পপি, অপু বিশ্বাস, রিয়াজ, অমিত হাসান, ফেরদৌস ও জায়েদ খান উপস্থিত হন।
মৌসুমী বলেন, ‘শুধুমাত্র শোকের মাধ্যমে নয়, মান্নাকে আমরা এবার উৎসবের মাঝেও স্মরণ করতে চাই। আমি শুধু না, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে যেন বাংলাদেশের তারকাদের মানুষ মৃত্যুর পরও স্মরণ করে সেটাই চাওয়া।’
এবারের মান্না উৎসবের স্লোগান হচ্ছে ‘মানুষের অন্তরে বেঁধেছিলে ঘর, মরণের পরে তুমি তাই তো অমর’। আর উৎসবটির পাশে স্পন্সর হিসেবে ভিশন এবং কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে কিউট।
মান্নার প্রকৃত নাম এসএম আসলাম তালুকদার। ১৯৬৪ সালের পহেলা বৈশাখ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যুক্ত হন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মান্না অভিনীত ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘দাঙ্গা’, ‘লুটতরাজ’, ‘তেজী’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’, ‘পিতা মাতার আমানত’ প্রভৃতি। দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি প্রযোজনা করেছেন কয়েকটি ছবি। ২০০৬ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।