ববিতা : একক অধ্যায়
‘তিনকন্যা এক ছবি’ গানের একটি কন্যার নাম ববিতা। কন্যাটি এক জনমে যা অর্জন করেছে তার তুলনা শুধু নিজে নিজেই। ‘ববিতা’ নামটি একা একটি অধ্যায়। দেশীয় ও অান্তর্জাতিক সম্মান এনে দেশের সম্পদ হয়ে উঠেছে তার কাজ দিয়ে। বাংলাদেশী ছবির ইতিহাস ববিতা ছাড়া অসম্পূর্ণ।
যশোরের মেয়ে ববিতা। বড়বোন সুচন্দা ও ছোটবোন চম্পা-ও দেশের চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ দুই অভিনেত্রী। নায়ক রিয়াজও তাঁর আপনজনদের একজন। তারাও দেশীয় চলচ্চিত্রের নিজ নিজ ভুবনে অবস্থান করেছে। স্বামীর নাম ইফতেখার ও ছেলে অনিক। বলতে গেলে চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্য ববিতা বাকি সবাইকে মিলিয়ে আরো সম্মানজনক অবস্থানে আছেন।
নাম ফরিদা আক্তার পপি। প্রথমদিকে অভিনয় করতে এসে ‘সুবর্ণা’ নাম ছিল পরে ‘ববিতা’ নাম দেয়া হয়। ১৯৬৮ সালে ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় শুরু, ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবিতে প্রথম নায়িকা। এ ছবি দুটি তাঁর প্রাথমিক পাঠ ছিল। ‘টাকা আনা পাই’ ছবিটি ভালো পরিচিতি দেয়। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পেয়ে যান ১৯৭৩ সালে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে। সত্যজিৎ তাঁর ছবির জন্য বাঙালি বধূর চিরন্তন রূপের আভা আছে এমন একটা পরিচ্ছন্ন মুখ খুঁজছিলেন। সুচন্দার সাথে ববিতা ছিল সেখানে সত্যজিৎ সুচন্দাকে আলাপের ছলে ববিতাকে দেখিয়ে বলে-’নায়িকা তো পেয়ে গেছি।’ অতঃপর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নামকরা এ উপন্যাসের ‘অনঙ্গ বউ’ হয়ে গেলেন ববিতা। বাংলা চলচ্চিত্র সমিতি থেকে পুরস্কৃত করা হলো তাঁকে। ঐ পরিচিতির পরে ববিতাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
সত্তর দশকটা পুরো শাসন করতে থাকেন অথচ তখনও বহাল তবিয়তে শাবানা-র মতো মহানায়িকা ছিলেন ঢাকাই ছবিতে। পুরস্কারকন্যা ববিতা অনেক পুরস্কার পেয়েছিলেন দেশি-বিদেশি। পরপর তিনবার টানা জাতীয় পুরস্কার পেয়ে চমক দেখিয়েছিল সবাইকে। বাদী থেকে বেগম (১৯৭৫), নয়নমনি (১৯৭৬), বসুন্ধরা (১৯৭৭) এই তিন ছবিতে টানা পেয়েছিলেন। পরে আরো দুবার রামের সুমতি (১৯৮৫), পোকামাকড়ের ঘরবসতি (১৯৯৬)। বাচসাস পুরস্কার পেয়েছিলেন পাঁচবার।
ববিতার ছবির বিষয়বৈচিত্র্য অনেক। রোমান্টিক, ফ্যামিলি ড্রামা, সাহিত্যনির্ভর ছবি করেছে। উর্দু ছবিতেও নিজেকে আলাদাভাবে চিনিয়েছেন। নাদিমের সাথে ‘গেহরি চোট’ যা বাংলায় ‘দূরদেশ’ নামে পরিচিত। ফয়সালের সাথে ‘নাদানি’ যা বাংলায় ‘মিস লংকা’ নামে মুক্তি পায়। এ ছবি দুটি খুবই জনপ্রিয়। বাংলা ছবিতে রাজত্ব করেছেন ববিতা। নায়িকা, অভিনেত্রী, মা, বোন, প্রেমিকা, স্ত্রী, ভাবী সব চরিত্রে নিজের দাপট দেখিয়েছিলেন। নায়িকা ববিতা ‘অবুঝ হৃদয়’ ছবিতে যেমন অভিনেত্রী ববিতা ‘বিরাজ বউ’ ছবিতে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রেমিকা সত্তায় ‘প্রেমিক, দোষী’ ছবিগুলো ভিন্ন। বোন চরিত্রে ‘তিনকন্যা’ ছবি ভীষণ জনপ্রিয় এবং বহুল পরিচিত। স্ত্রীর ভূমিকায় ‘বিরাজ বউ’ অসামান্য। ভাবীর ভূমিকায় ‘রামের সুমতি’-র কোনো তুলনা নাই। মা চরিত্রে দীপু নাম্বার টু, মায়ের অধিকার, হাসন রাজা, খোদার পরে মা, মা আমার স্বর্গ, মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ এগুলো অসাধারণ।
জুটির মধ্যে ববিতা বৈচিত্র্যময়। রাজ্জাক, বুলবুল আহমেদ, সোহেল রানা, ফারুক, জাফর ইকবাল, মাহমুদ কলি, ইলিয়াস কাঞ্চন তাঁর সময়ের হিট সব নায়কের সাথে প্রতিষ্ঠিত জুটি ছিল। রাজ্জাকের সাথে ‘লাইলী মজনু, পিচ ঢালা পথ, মানুষের মন, বিরহ ব্যথা, বন্ধু’, বুলবুল আহমেদের সাথে ‘জন্ম থেকে জ্বলছি, কালো গোলাপ, দীপু নাম্বার টু’, ফারুকের সাথে ‘নয়নমনি, আলোর মিছিল, বিরাজ বউ, জীবন সংসার, এ জীবন তোমার আমার, মনে রেখো আমায়’, মাহমুদ কলির সাথে ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর, শ্বশুরবাড়ি, মহা গ্যাণ্জাম’, সোহেল রানার সাথে ‘নাগ পূর্ণিমা, অকর্মা’, ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে ‘সুন্দরী, বসুন্ধরা, স্বাক্ষী’ ছবিগুলো যার যার সাথে অনবদ্য। জুটির মধ্যে সবচেয়ে প্রভাব রাখা ইতিহাসটা জাফর ইকবালের সাথে। দুজন দুজনের প্রেমে পড়া কিংবা তখনকার ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের বিষয়টা ছিল লাইমলাইটে। এ জুটির ‘অবুঝ হৃদয়, এক মুঠো ভাত, প্রেমিক, দোষী’ এবং আরো কিছু ছবি দর্শকের পছন্দের শীর্ষে। এ জুটি ছিল মেড ফর ইচ আদার।
সাহিত্যনির্ভর ছবিতে ববিতা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ উপন্যাস থেকে নির্মিত হয় ‘বসুন্ধরা’ ছবিটি। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর ‘অশনি সংকেত’ উপন্যাস নিয়ে একই নামের ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি আনে। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল রচিত ‘দীপু নাম্বার টু’ উপন্যাসে দীপুর মায়ের চরিত্রে ছিলেন ববিতা। বঙ্কিমন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাস থেকে ‘বিরহ ব্যথা’ এবং শরৎচন্দ্রের ‘বিরাজ বউ’ গল্প থেকে একই নামের ছবিতে অভিনয় করে। সবগুলো ছবিই স্মরণীয় এবং অভিনয়সমৃদ্ধ।
ববিতার ক্যারিয়ারে বাণিজ্যিক ছবির মধ্যে চ্যালেন্জিং কিছু ছবি তাকে অমর করে রাখবে। ‘সুন্দরী’ ছবিটি তার মধ্যে অন্যতম। ছবির শেষে আরিফুল হককে খুন করার সময় তলোয়ার হাতে ববিতা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ছবিতে ববিতা ছিল জসিমের মেয়ে। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ধারাবাহিক ছবিগুলোতে ববিতা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ছবিতে বস্তিতে মারামারি লাগার সময় একজন ভাত ফেলে দেয় হাঁড়ি থেকে। ববিতা তার সাথে তর্ক করে। পড়ে যাওয়া ভাত ওঠানোর সময় করুণ সুরে আহাজারি করে আর বলে-’হায়রে ভাত রে, তোর জন্য এত কষ্ট এই দুনিয়ায়, হায়রে খিদা।’ জাস্ট অ্যামেজিং অভিনয়। ‘অসিরন কেন ঢাকায়’ মাস্টওয়াচ ছবি।
‘হাসন রাজা’ ছবিতে হেলাল খান যখন মাতাল হয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য তখন ববিতা ঘোমটা টেনে নর্তকী সেজে যায় নাচ দেখাতে। নাচ শেষে মাতালরা নর্তকীর মুখ দেখার জন্য পাগল হয়ে যায় তাদের সাথে হেলাল খানও সুর মেলায়। ঘোমটা খুললে বের হয়ে আসে ববিতা। ঐ সিকোয়েন্সে ববিতার অভিনয় ভোলা যায় না। ‘তিনকন্যা’ ছবিতে ববিতা ছিল অন্যতম প্রধান নায়িকা। ছবিটি তাঁর ক্যারিয়ারের বিশেষ সংযোজন। অ্যাকশেনবল বিষয় ছিল। ‘শ্বশুরবাড়ি’ ছবিতে বাঙালি পুত্রবধূর প্রতিবাদী রূপ দেখায় ববিতা। দুর্দান্ত অভিনয় ছিল একই চরিত্রে প্রতিবাদী ছিলেন ‘মহা গ্যাণ্জাম’ ছবিতে। ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ আরেকটি চ্যালেন্জিং কাজ। খালেদ খানের সাথে ববিতার অভিনয় ভোলার মতো না। ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবিতে অরুণ সাহা বা দীপুর মায়ের চরিত্রে ববিতা নিজের অন্যতম সেরা স্মরণীয় চরিত্রটি করেছেন।
মা ববিতার আলাদা একটা ইমেজ আছে। মমতাময়ী মায়ের সাথে ছবির নায়কের মা+ছেলে ভালোবাসার বন্ধনে তার আলাদা চমৎকারিত্ব আছে। সালমান শাহ-র সাথে ‘মায়ের অধিকার’ ছবিতে মা ববিতা তুলনাহীন। সালমানকে মানুষ করা ও তার আদর্শে বড় করার পরে সালমান তার মায়ের অধিকার আদায়ের জন্য মিশন শুরু করে। শাকিব খানের সাথে ‘মা আমার স্বর্গ, খোদার পরে মা, মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ ছবিগুলোতে অসাধারণ ছিলেন ববিতা। মায়ের প্রতি ছেলে শাকিবের ভালোবাসায় ত্যাগ স্বীকার করে শাকিব। শাকিবের জাতীয় পুরস্কার ছিল ‘খোদার পরে মা’ ছবিতে।
‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির মা ববিতা উপরের ছবিগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। দীপুর সাথে আচমকা দেখা হবার পর মা ববিতা তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে। তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। গাড়িতে বসে দীপুর হাতের আঙুলগুলো নিজের হাতের সাথে মিলিয়ে দেখে আর মাতৃত্বের সার্থকতা খোঁজে। দীপুর মুখে ‘মা’ ডাক শোনার জন্য ব্যাকুল হলে দীপু লজ্জা পায় তখন ববিতা বলে-’মায়ের কাছে লজ্জা কি!’ দীপু ডাকলে জড়িয়ে ধরে। ট্রেনে করে দীপু যাবার সময় শেষ দেখার মুহূর্তটা টাচি। দীপুর সাথে ঐ অল্প সময়টাতেই মা ববিতা ছিল ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এবং দীপুর জীবনের বড় অংশ।
কান্নার দৃশ্যে ববিতার নিজস্বতা আছে। চুলগুলো দু’হাতে ধরে বিকট চিৎকার দিয়ে জীবন্ত কান্নার অভিনয় করে ববিতা। এটা তাঁর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।
সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি ববিতা। তাঁর গানে বা ছবিতে সৌন্দর্য দেখে চোখ ফেরানো দায়। যে কোনো প্রেমিক মন প্রেমে পড়ে যাবে। ফ্যাশনেবল ববিতা আরো বেশি আকর্ষণীয়। স্টাইলে নিজস্বতা আছে।
গানের ববিতা আরো বেশি জনপ্রিয় এবং ক্লাসিক। তাঁর জনপ্রিয় গানের অভাব নেই। বৈচিত্র্যময় গান আছ বিষয়ের দিক থেকে। দেখা যাক কিছু গান-
এই পৃথিবীর পরে: ‘আলোর মিছিল’ ছবির গভীর দর্শনের গান। অত্যন্ত জনপ্রিয়। গানে সংসারে নীরবে নিভৃতে অবদান রাখা এক মেয়ের গল্প বলা হয়েছে।
লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া: ‘লাইলী মজনু’ ছবির ক্লাসিক গান। প্রেমিকের জন্য প্রেমিকার কাতর প্রেমের গান। রাজ্জাক:ববিতা জুটির অন্যতম সেরা গান।
জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো: ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ ছবির ক্লাসিক গান। একাকীত্ব আর সঙ্গীত সাধনার সাথে প্রেমের সংযোগে অনন্য এ গান।
ফুলের কানে ভ্রমর এসে: ‘পিচ ঢালা পথ’ ছবির গান। রাজ্জাকের সাথে তাঁর অন্যতম সেরা রোমান্টিক গান।
বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম: ‘কসাই’ ছবির ক্লাসিক গান। আলমগীরের বিপরীতে।
নানী গো নানী: ‘নয়নমনি’ ছবির গান। অত্যন্ত জনপ্রিয়। নানীর কাছে নাতনীর আবদারের গান।
পারি না ভুলে যেতে: ‘স্বাক্ষী’ ছবির বহুল জনপ্রিয় গান। শাহনাজ রহমতউল্লাহর বিখ্যাত গান।
তুমি যেখানে আমি সেখানে: ‘নাগ পূর্ণিমা’ ছবির ক্লাসিক গান। উপমাসমৃদ্ধ রোমান্টিক একটি গান। সোহেল রানার লিপে ববিতার মান ভাঙানোর গান।
দুশমনি কোরো না প্রিয়তম: ‘দূরদেশ’ ছবির সুপারহিট গান। নাদিমের বিপরীতে ববিতার গ্ল্যামার দেখার জন্য আদর্শ গান।
আমার মন বলে তুমি আসবে: ‘আনারকলি’ ছবির শ্রুতিমধুর ক্লাসিক গান। রুনা লায়লার মুগ্ধ করা কণ্ঠ আর ববিতার মুগ্ধ করা অভিনয় গানের প্রাণ।
চুরি করেছ আমার মনটা: ‘মিস লংকা’ ছবিতে খুরশীদ আলমের গাওয়া সুপার ডুপার হিট গান।
চুপি চুপি বলো কেউ জেনে যাবে: ‘নিশান’ ছবির সুপারহিট গান। জাভেদের বিপরীতে ফোক-ফ্যান্টাসি গান।
আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য: ‘সোনা বউ’ ছবির বহুল জনপ্রিয় গান। রাজ্জাকের বিপরীতে।
এক নদী রক্ত পেরিয়ে: ‘অরুণোদয়ের অগ্নিস্বাক্ষী’ ছবির গান। দেশের গান এবং মুক্তিযুদ্ধের ছবির অন্যতম সেরা গান। গানটি ববিতা স্টেজে মাইকে গায়।
তুমি আমার জীবন: ‘অবুঝ হৃদয়’ ছবির সুপার ডুপার হিট গান। গানে জাফর ইকবালের সাথে তার রোমান্স অতুলনীয়। এ জুটির সেরা গান। গানের ৩৩ সেকেন্ডে লিপ:লকটি সমালোচিত ছিল সেইসময়।
পিরিতি রীতিনীতি শেখাও সজনী গো: ‘ফকির মজনু শাহ’ ছবির গান। জাফর ইকবালের সাথে আর একটি জনপ্রিয় গান।
সানি সানি ডে: ‘ফুলশয্যা’ ছবির জনপ্রিয় গান। বলিউডের উষা উত্থুপের কণ্ঠে ববিতার লিপ ছিল।
তিনকন্যা এক ছবি: ‘তিনকন্যা’ ছবির পরিচিত জনপ্রিয় গান। তিনবোন একসাথে ছিল এ ছবিতে। বাবা ছিলেন শওকত আকবর।
আমার সকল চাওয়া: ‘বিরাজ বউ’ ছবিতে ববিতা-ফারুক জুটির অন্যতম রোমান্টিক গান।
পিঁপড়া খাবে বড়লোকের ধন: ‘মায়ের অধিকার’ ছবির অসাধারণ গান। জনপ্রিয়। গানে সালমান শাহ ও হুমায়ুন ফরীদির লিপে ববিতার কিছু এক্সপ্রেশন অসাধারণ।
তুই ছাড়া কে আছে আমার: ‘মায়ের অধিকার’ ছবির আরেকটি অসাধারণ গান। সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসার গান।
পৃথিবীকে স্বাক্ষী রেখে: ‘মহা মিলন’ ছবির অন্যতম সেরা গান। শ্রুতিমধুর রোমান্টিক এ গানের সাথে ববিতা পারফর্ম করেছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে।
মনে রেখো আমায়: ‘মনে রেখো আমায়’ ছবির শ্রুতিমধুর টাইটেল সং। ফারুকের সাথে।
ঢাকা শহরে সবই আছে: ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ ছবিতে নিকট অতীতের আরেকটি জনপ্রিয় গান। মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসার গান।
আরো বেশকিছু আছে ববিতার জনপ্রিয় গান।
ববিতা নামটি একা একটি অধ্যায়। এ অধ্যায়ে পূর্ণতা আছে। ববিতা একটি প্রতিষ্ঠানও। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ববিতা নামের প্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে পারবে।