বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে বাড়বে ‘নবাব’!
যৌথ প্রযোজনার নামে যে প্রতারণা হচ্ছে আমি সেটার বিরুদ্ধে আাগেও ছিলাম, এখনও আছি। এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। আমার কাছে দেশ এবং দেশীয় সিনেমা শিল্প আগে। যুগান্তরকে রোববার এমন কথাই বলেছেন শাকিব খান।
তিনি বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার নামে যারা প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়ানো উচিত। কিন্তু যৌথ প্রযোজনা খারাপ কিছু নয়। যদি কেউ সমস্ত নিয়ম মেনে যৌথ প্রযোজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় কিংবা কোনো সিনেমা বানায় তাহলে সেটাকেও যথাযথভাবে দর্শকদের সামনে আসার সুযোগ দেয়া উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার সবগুলো ছবিকে প্রতারণার পাল্লায় মাপা উচিত নয়। এই যেমন এবারের ঈদে আমার অভিনীত নবাব ছবিটি যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মেনেই তৈরি করা হয়েছে। এ ছবিতে আমি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি। মনে রাখতে হবে, আমি বাংলাদেশের শিল্পী। ছবিটি যে দেশেই প্রদর্শিত হোক না কেন, যখনই কেউ আমাকে দেখবেন তখনই বলবেন, ইনি বাংলাদেশের শাকিব খান। আমার নামের আগে বাংলাদেশের নামটিই উচ্চারিত হবে। সুতরাং যৌথ প্রতারণার পাল্লায় যদি কেউ নবাব ছবিটিকে ফেলে থাকেন তাহলে সেটা হবে অন্যায়।’
সম্প্রতি যৌথ প্রযোজনার নামে যে প্রতারণা চলছে এর বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ব্যানারে দেশীয় শিল্পী, কলা-কুশলীরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। মূলত এবারের ঈদে কলকাতার জিৎ অভিনীত ‘বস-২’ নামের একটি ছবি মুক্তিকে কেন্দ্র করেই এ আন্দোলন জোরদার হয়েছে। ছবিটির বিরুদ্ধে যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি থেকে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছে এটি যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মেনে করা হয়নি। তারপরও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ছবির প্রযোজক জাজ মিডিয়া লিমিটেড ভবিষ্যতে আর এ ধরনের অন্যায় না করার শর্তে প্রিভিউ কমিটি থেকে অনাপত্তি নিয়ে সেন্সরে জমা দেয়। ঠিক তখনই ফুঁসে উঠে চলচ্চিত্র ঐক্যজোট।
এ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘একজনের অন্যায় আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে তো হবে না। নবাবের ব্যাপারে প্রিভিউ কমিটি আপত্তি জানায়নি। তাহলে কেন সেন্সর করা হবে না?’
তিনি বলেন, ‘নবাব ছবিটি বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ এ ছবিতে আমরা বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে এক অনন্য উচ্চতায় উপস্থাপন করেছি। এ ছবিটি দেখার পর বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে বাড়বে। সর্বোপরি ছবিটি দেখার পর মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাবে। যেখানে দেশের কথাই পুরো ছবিজুড়ে বলা হয়েছে এবং নিয়ম মেনে করা হয়েছে সেখানে এ ধরনের একটি ছবিকে আটকে রাখা দুঃখজনক। আমি মনে করি, এতে আমাদের দেশের চলচ্চিত্র আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে। যারা অন্যায় করছে তাদের শাস্তি দিন, আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। বরং এতে যদি আমার কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে নির্দ্বিধায় করব। কিন্তু অন্যায়কারীর জন্য সবাইকে এক পাল্লায় মাপাটাও কিন্তু আরেক ধরনের অন্যায়। সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
শাকিব বাংলাদেশের পুলিশের ভাবমূর্তির কথা বললেও ‘নবাব’-এর ট্রেলারে উঠে এসেছে কলকাতার পুলিশের কীর্তি! তবে কি কলকাতার পুলিশ বাংলাদেশের সাহায্য চায় এ ছবিতে!