‘বাধ্য হয়ে শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করা ছাড়তে হলো’
# শামীম আহমেদ প্রথমবার অভিনয় করেন ‘জীবন মরণের সাথী’ সিনেমায়। তার চরিত্র ছিল শাকিব খানের বন্ধু
# এর পর শাকিবের সঙ্গে অনেক ছবি করলেও পরে না করে দেন
# তিনি বলেন, শাকিব খান অনেক বড় তারকা। তার সঙ্গে কাজ করার মজা আছে। সেটা আমি পেয়েছি। কিন্তু একটা সময় বাধ্য হয়ে তার সঙ্গে কাজ করা ছাড়তে হলো
# কারণটাও জানালেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেতা
শামীম আহমেদ এক হাজারেরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। দুই ডজনের বেশি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাকে। প্রথম সিনেমা ‘জীবন মরণের সাথী’তে শাকিব খানের বন্ধু চরিত্রে কাজ করেছিলেন। এরপর একে একে শাকিবের সঙ্গে আরও অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু সিনেমাতে অনেক প্রস্তাব থাকার পরও নিয়মিত হননি তিনি।
কারণ জানাতে গিয়ে জাগো নিউজকে এক প্রতিবেদনে শামীম বলেন, ‘শাকিব খান অনেক বড় তারকা। তার সঙ্গে কাজ করার মজা আছে। সেটা আমি পেয়েছি। কিন্তু একটা সময় বাধ্য হয়ে তার সঙ্গে কাজ করা ছাড়তে হলো।’
তিনি আরও বলেন, “অনেক প্রস্তাব ছিল তার ছবিতে অভিনয়ের। কিন্তু কি করবো। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমার মতো শিল্পীর টিকে থাকা অসম্ভব। ‘মাই নেইম ইজ সুলতান’ ছবির জন্য আমি ২৫ দিন শিডিউল দিয়েছিলাম। পরে দেখা গেলো আমার শিডিউল নিলো ভালো কথা আজ শাকিব অসুস্থ, কাল মাথা ব্যথা, পরশু আসতে দেরি হলো এই করতে করতে চলে যায়।”
শামীম বলেন, ‘আজকাল করে শিডিউল নিয়ে ঠিকমতো কাজটা হয় না। পরিচালক ফোন দিয়ে বলে আজ তো হচ্ছে না, কাল আসো। কোনো প্রশ্ন আর করতে পারি না। করলে বলে, বোঝোই তো হিরো। কিছু বলা যায় না। তাকে হয়তো কিছু বলা যায় না, কিন্তু আমার যে একটা দিন নষ্ট হলো সেটার পারিশ্রমিক তো পরিচালক বা শাকিব খান আমাকে দেয় না। প্রযোজকরা তো ছোট শিল্পী ভেবে পাওনা টাকাই ঠিকমতো দেয় না।
এসব কারণেই শাকিব খানের সাথে আর ছবি করি না। আজ ব্যাংকক, কাল মালয়েশিয়া, আজ ঢাকা তো সেটে আসবে ৩টার পর। এভাবে করে তো কাজ করা যায় না। আমি গরিব মানুষ। আমাকে কাজ করতে হয় নিয়মিত। অন্যের শিডিউলের উপর জীবন আমার চলবে কেমন করে।’
ওই প্রতিবেদনে অবমূল্যায়নের আক্ষেপ নিয়ে শামীম বলেন, ‘আমার মতো আরও অনেকেই আছেন যাদেরকে পরিচালকরা দুর্বল চোখে দেখেন। পরিচালকদের বলি ভাই, আমাদের ডেটের বিষয়টা ১৫-২০ দিন আগে জানায়েন। আসলে আমরা তো আর নায়ক না, তাই পরিচালকরা আমাদের এতটা গুরুত্ব দেয় না। মনে করে যখন খুশি চাইলেই ডেট পাওয়া যাবে। এমন করে কত ডেট যে খেলো কতজন ঠিক নাই।’