বাস্তবসম্মত ‘ময়ূরাক্ষী’
রাশিদ পলাশ নির্মিত ‘ময়ূরাক্ষী‘ বাস্তবসম্মত ছবি। রঙিন জগতের আড়ালে বাস্তবে কি ঘটে তার একটা ছাপ রয়েছে এতে। এটি তাঁর দ্বিতীয় ছবি।
শোবিজের ভেতরের গল্পগুলো এ ছবির গল্প হয়ে উঠেছে। একজন অভিনেত্রী যখন অভিনয় করে তখন রঙিন পর্দার বাইরেও তার যে ভেতরের আরেকটা জগত থাকে সেখানে কী কী অপ্রিয় ঘটনা ঘটছে তারই একটা পোস্টমর্টেম দেখানো হয়েছে ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবিতে। নির্মাতা ছবির টিজারে ইতোমধ্যে ‘ময়ূরাক্ষী’ নামের বিমান ছিনতাইয়ের বিষয়টি দর্শককে জানিয়ে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি আরো কিছু বাস্তব পরিস্থিতি মিলিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। বিমানটি প্রতীকী একটা ধারণা মাত্র গল্পটি বলার জন্য।
ববি একজন অভিনেত্রী। কীভাবে কাজ করতে হয় ইন্ডাস্ট্রিতে, প্রযোজকদের মন-মানসিকতা কেমন তাকে ঘিরে, কে তাকে কীভাবে ব্যবহার করতে চায় এসব গল্পের মেজোর পার্ট। কিন্তু ববির লক্ষ্যটি কী? ছবির শেষ পর্যন্ত গিয়ে তাকে ভিন্নভাবে চেনা যাবে। ববির চরিত্রটি ছবিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল অন্তত ক্লাইমেক্সের বিচারে। তার অভিনয়ে ভিন্নভাবে কিছু দেয়ার চেষ্টাটা প্রশংসা করার মতো বলতে হয়।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র সুদীপ বিশ্বাস দীপের। দীপ তার ভালো অভিনয়ের স্বাক্ষর ইতোমধ্যে পূর্বের ছবিগুলোতে রেখেছে। তার অভিনয়ে চরিত্রের ভেতর ঢুকে যাবার মতো দক্ষতা ফুটে ওঠে। এ ছবিতেও ভালো শেড ছিল চরিত্রে। সুমিত সেনগুপ্ত তেমন শক্তিশালী চরিত্র না পেলেও ভালো অভিনয় করেছে। সাদিয়া মাহী মোটামুটি ছিল। আমান রেজা, ফারজানা ছবি, সমু চৌধুরী প্রয়োজনীয় চরিত্রের মতো।
ছবিতে সীমাবদ্ধতা যা চোখে লেগেছে স্ক্রিপ্ট গোছানো হতে পারত আরো। একটি ঘটনার সাথে অন্য ঘটনার লিঙ্কআপে কিছু দূরত্ব চোখে পড়েছে। কিছু চরিত্রের অভিনয় ন্যাচারাল হয়ে ওঠেনি।
ছবির গানের মধ্যে টাইটেল ট্র্যাকটি ভালো ছিল।
ছবির শেষ দৃশ্যে ববির বোল্ড সিনের সেট ডিজাইন সুন্দর ছিল। একটি সংলাপই উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে-‘সুযোগ থাকলে শত্রুকেও হেল্প করো’।
রাশিদ পলাশের মধ্যে মানসম্মত ছবি বানানোর প্রচেষ্টা আছে। কাজ দেখে সেটাই মনে হয়। শুধু পরবর্তী ছবিগুলোতে কারিগরি দিকে আরো সচেতন হতে হবে তাহলেই একজন ভালো নির্মাতার পরিচিতি পেয়ে যাবে।
রেটিং – ৭/১০