Select Page

বিজ্ঞাপন/ বয়কটকে কটাক্ষ করে আরো চাপের মুখে কোকাকোলা

বিজ্ঞাপন/ বয়কটকে কটাক্ষ করে আরো চাপের মুখে কোকাকোলা

গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কোকাকোলাসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্যের ওপর চলছে বয়কট। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশে বয়কটকে কটাক্ষ করে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে কোকাকোলা। এ নিয়ে নতুন করে বয়কটের ডাক উঠেছে পণ্যটির বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার ডিজিটাল মিডিয়ায় কোকাকোলার নতুন বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায়, বয়কটকারীরা কান কথায় বিশ্বাস করছেন বলে মন্তব্য করেছেন এক দোকানদার। তিনি আরো দাবি করেন, খোদ ফিলিস্তিনে কোকাকোলার কারখানা আছে। মজার তবে পুরো বিজ্ঞাপনে কোথাও ইসরায়েলের নাম নেই। এছাড়া ফিলিস্তিনে কারখানার জন্য ইসরায়েলিই জোরপূর্বক স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করেছে জায়নবাদী কর্তৃপক্ষ, তারা যেখানে যুগের পর যুগ অঞ্চলটি দখল করেছে একই কায়দায় কাজটি করেছে।

এছাড়া ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধীদের ‘সুলতান সুলেমান’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। ইতিহাস বিচারে দেখা যায়, অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত অঞ্চলটি দখলে নেয়, তাদের হাতেই ইসরায়েলের দখলদারিত্বের সূচনা ঘটে।

ডটবার্থ নামের একটি এজেন্সি এ বিজ্ঞাপন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত। যার কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন গাউসুল আলম শাওন, যিনি ঢাকার বিজ্ঞাপন জগতের বিখ্যাত মুখ। বিতর্কের পর ইউটিউবে বিজ্ঞাপনটির কমেন্ট সেকশন বন্ধ রাখা হয়েছে। কোকাকোলার কটাক্ষের জবাব এখন অনেকেই পিআর কোম্পানির কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে মশকরা করছেন।

চলমান এ বয়কটে এখন কোকাকোলার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মার নাম। অভিনয় ছাড়াও নির্মাতা হিসেবে পরিচিত জীবন, তিনি সরকারী অনুদানে ‘চক্কর’ নামের সিনেমা নির্মাণ করেছেন। মুক্তি প্রতিক্ষীত সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।

উল্লেখ্য যে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত অক্টোবর থেকে নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

*সংযুক্তি: এক ফেসবুক পোস্টে আত্মপক্ষ সমর্থনে শরাফ আহমেদ জীবন জানিয়েছেন ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণের প্রেক্ষাপটের কথা। জীবন বলেন, ‘আমি একজন নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিগত দুই দশক ধরে নির্মাণ ও অভিনয়ের সাথে জড়িত। সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশ তাদের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং অভিনয় করার জন্য আমাকে নিয়োগ করেছিলো। আমি শুধুমাত্র তাদের দেয়া তথ্য ও উপাত্তই কাজটিতে তুলে ধরেছি। বিজ্ঞাপনটি প্রচার হবার পর থেকে আমি আপনাদের অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি বলতে চাই, কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশ মাত্র। ‘ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যে কোনও আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। এই বিজ্ঞাপনে আমি কোথাও ইসরায়েলের পক্ষ নিইনি এবং কখনোই আমি ইসরায়েলের পক্ষে নই। আমার হৃদয় সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছে, থাকবে।’


মন্তব্য করুন