বেদের মেয়ে জোসনা: ৩২ বছর আগে যা দেখেছি
প্রতিদিন না পারলেও শুক্রবারে একবার হলেও আমার সেলুনের দোকানে ঢুঁ মারা চাই-ই চাই। ভাববেন না আবার সেখানে প্রতিবার চুল কাটতে যাই। আসলে আমার প্রধান উদ্দেশ্য থাকতো সেখানে রাখা ইক্তেফাক পত্রিকার সেই সিনেমার বিজ্ঞাপনের পাতাটার ওপর। কারণ শুক্রবারই সেই পাতায় নতুন নতুন ছবির সব খবরা খবর পাওয়া যায়!
এদিক দিয়ে অবশ্য সাপ্তাহিক চিত্রালী বেশি এগিয়ে থাকত। কিন্তু সেটা তো আর দোকানে ফ্রিতে পড়া যেতো না, যা পড়ার তা কিনেই পড়তে হতো। সেই হিসেবে চিত্রালীও আমার প্রচুর কেনা ছিল। যাই হোক, সেই হিসেবে এক শুক্রবারের ইত্তেফাকে জানতে পারি, ৯ জুন ৮৯ সালে তিনটি সিনেমা মুক্তি পাবে— আলমগীর কুমকুমের ‘সোনার নাও পবনের বৈঠা’ (আলমগীর ও রোজিনা), নায়ক রহমান পরিচালিত ‘নিকাহ্’ (ইলিয়াস কাঞ্চন ও সুচরিতা) ও নতুন পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুলের ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ (ইলিয়াস কাঞ্চন ও অঞ্জু ঘোষ)।
প্রথম দুটি ছবি ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ দেশের ভালো ভালো হলে মুক্তি পেলেও শেষের ছবিটির ভাগ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কোন প্রেক্ষাগৃহই জুটলো না। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীসহ মফস্বলের মাত্র বিশটি সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
এখানে একটি প্রশ্ন আসতে পারে কেন ভালো ভালো সিনেমা হলগুলো ছবিটি চালাতে অপরাগতা জানালো। কারণ মূলত একটাই, তা হলো ছবির নায়িকা অঞ্জু ঘোষ সঙ্গে ছবিটির নতুন পরিচালক। বর্তমানে ব্যাপারটি শুনতে খারাপ লাগলেও তখনকার নিউজে এমনটাই এসেছিল, একমাত্র ‘দুর্নাম’ ছাড়া টানা ১৭/১৮টি ফ্লপ ছবি দেওয়া নায়িকা অঞ্জুর মাঝে কোন রকম ভরসাই পাচ্ছিলেন না সিনেমা হল মালিকেরা, আবার পরিচালকও নতুন, যদিও ছবির নায়ক তখনকার সুপারস্টার ইলিয়াস কাঞ্চন। তারপরও ছবিটি চালাতে অনেকেরই অবহেলা ছিল লক্ষণীয়।
এক সময় বাংলাদেশে ফোক-ফ্যান্টাসি ছবির তুমুল বাণিজ্য ছিল। কিন্তু মধ্য আশি হতে সেটা হঠাৎ করেই যেন কমতে শুরু করলো। দু-চারটা ছাড়া তেমন কোন ফোক ছবি নির্মাণ হয়নি তখন, সেই চিন্তাধারা থেকে প্রযোজক আব্বাস উল্লাহ ও মতিউর রহমান পানু সিদ্ধান্ত নিলেন একটি ফোক ছবি নির্মাণের। পানু সাহেবের দীর্ঘদিনের সহকারী তোজাম্মেল হক বকুলকে ছবিটি নির্মাণের একটি সুযোগ দেবেন তারা। তখনই বকুল তাদের গল্প শোনান এবং পরবর্তীতে কিছু সংযোজন করে ছবিটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলে রাখা ভালো, ছবির কাহিনী থেকে চিত্রনাট্য-সংলাপ ও এগারোটি গানের মধ্যে দশটির কথাও তোজাম্মেল হক বকুল লিখেছিলেন।
প্রথমেই প্রযোজক আব্বাস উল্লাহ নায়ক সাত্তারকে পাঁচ হাজার টাকা সাইনিং মানি দিয়ে ছবিটির প্রধান নায়ক চরিত্রে কাস্ট করিয়েছিলেন। কিন্তু পরিচালক বকুল কিছুতেই ইলিয়াস কাঞ্চনকে ছাড়া ছবিটি করবেন না। এদিকে কাঞ্চন সাহেবও তুমুল ব্যাস্ত নায়ক, বছরে তার ১৫-২০টি করে ছবি মুক্তি পাচ্ছে, শিডিউল নেই বললেই চলে। আবার ছবির নায়িকা চরিত্রে অঞ্জুকে কিছুতেই নেবেন না আব্বাস উল্লাহ, টানা এতগুলো ফ্লপ ছবি দেওয়া নায়িকা নিয়ে রিস্ক নিতে চান না। আর কাঞ্চনের মতো অঞ্জুকে ছাড়া ছবিই নির্মাণ করবেন না বকুল। তিনি ছিলেন গুণী নির্মাতা দারাশিকো ও পানু সাহেবদের ছবির সহকারী পরিচালক, এটিই তার প্রথম ছবি, দীর্ঘদিন তাদের সহকারী হয়ে কাজ করেছেন, সেই হিসেবে তাদর প্রতি তার একটি দাবি থাকতেই পারে। আর সেই কারণেই প্রযোজকদের সম্মতিতেই নেওয়া হয় অঞ্জু ও ইলিয়াস কাঞ্চনকে।
সমস্যা বাধে কাঞ্চন সাহেবের শিডিউল নিয়ে। অবশেষে দারাশিকো নির্মাণাধীন ‘বোনের মতো বোন’ ছবি থেকে কিছু দিনের শিডিউল কাঞ্চনকে ম্যানেজ করে দিলেন। এভাবেই তৈরি হয়েছিল যুগান্তকারী চলচ্চিত্র ‘বেদের মেয়ে জোসনা’।
বকুলের বন্ধু সুরকার আবু তাহেরের সুরের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করবার নয়। তার ওমন ‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়াছে, আসি আসি বলে জোছনা ফাঁকি দিয়াছে’ যদি পর্দায় না ভাসতো তাহলে কি আর মহিলারা সিনেমা ঘরে ছুটে আসতো?
আরেকটি তথ্য না বললেই নয়, ছবিটির অডিও সংলাপসহ গান যে ভদ্রলোক স্বত্ব কিনেছিলেন তিনি ছবিটির এমন (নাজুক) অবস্থা দেখে আরেকজনের কাছে নাম মাত্র বিক্রি করে দিয়েছিলেন। শোনা যায়, সেই অডিও নাকি কোটি টাকার মতো ব্যবসা করেছিল। যা দেখে প্রথম স্বত্ব কেনা ব্যাক্তিটি নাকি কয়েক মাস অসুস্থ ছিলেন আর খালি বলতে থাকতেন ‘এ আমি কী করেছিলাম’। আসলেই দেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখান থেকে ভেসে আসতো না ‘বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়াছে’ বা ‘আমি বন্দি কারাগারের মতো’ তুমুল জনপ্রিয় গান ও সংলাপ।
ছবিটি যখন মুক্তি পায় আমি তখন রাজশাহীতে থাকি। সেখানকার ‘উপহার’ হলে মুক্তির প্রথম দিন থেকেই চলছিল। আমার অভ্যাস মতো ফার্স্ট ডের ফার্স্ট শোতেই দেখে নিয়েছিলাম ইতিহাসে সাক্ষ্য হয়ে থাকা ছবিটি। ইলিয়াস কাঞ্চন তখন রীতিমতো সুপারস্টর, আমারও খুব প্রিয় তারকার একজন। তার ছবির প্রতি একটা আর্কষণ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মজার বিষয় হলো ছবিটি দেখে আমার কিন্তু তেমন ভালো লাগেনি। অথচ পরবর্তীতে কত কোটি দর্শকদের ভালো লেগেছিল তার হিসেবে কে রেখেছিল!
অবাক করার বিষয় হলো— প্রথম দু-তিনদিন ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে তেমন দর্শকও আসেনি। কিন্তু কয়েকদিন পরই চিত্র যায় পাল্টে। প্রতিটি হলেই বাড়তে থাকে দর্শক, যা হয়ে দাঁড়ায় ইতিহাসের অংশ। এমনও হয়েছে কোন কোন হলে টানা চার-পাঁচ মাসও চলেছে। এমন অবস্থায় কোন এক পত্রিকায় প্রযোজক আব্বাস উল্লাহ বলেছিলেন, ছবিটি মুক্তি দিতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। মাত্র বিশটি প্রিন্ট করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে এর অভাবনীয় সাফল্যে ঠিক কতগুলো প্রিন্ট করতে হয়েছিল তার কোন হিসাব নেই!
‘বেদের মেয়ে জোসনা’ দেশের বাজারে এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে তার রেশ চলে গিয়েছিল পাশের দেশ ভারতের কলকাতাতেও। ১৯৯১ সালে সেখানে মতিউর রহমান পানু ছবিটির রিমেকও করেছিলেন। নায়ক হিসেবে সেখানকার চিরঞ্জিতকে রেখে মূল ছবির বাকী সবাইকে নিয়ে হয় রিমেক। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ কলকাতাতেও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে তখনকার বিগেস্ট সুপারস্টর অভিতাভের ‘হাম’ সারা ভারত জুড়ে দাপিয়ে ব্যবসা করলেও শুধু পশ্চিমবঙ্গে ফ্লপ হয়েছিল। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছিল একই দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত রিমেক ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র জনপ্রিয়তা। তখন এমনও শোনা যায়, স্বয়ং ‘হাম’ ছবির টিম জানতে আগ্রহী ছিল ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র কী ছিল তাদের বিগ হিট ছবিকে পশ্চিমবঙ্গে ব্যর্থ করে দেয়?
‘হাম’ ছবির টিমের মতো যদি আমরাও খুঁজতে যাই— এ ছবিতে ঠিক কী ছিল? তাহলে বেরিয়ে আসে এর মজবুত চিত্রনাট্য ও অন্তরকাটা সংলাপের কথা, সঙ্গে মনকাড়া সব গান তো ছিলই!
ছবির কাহিনীতে দেখা যায়, একটি রাজ্যের কাজী সাহেবের (প্রবীর মিত্র) দশ বছরের মেয়েকে সাপে কাটলে তাকে বাঁচিয়ে তোলার প্রচলিত সকল চিকিৎসা ব্যর্থ হয়। তখন শেষ চিকিৎসা হিসেবে তাকে নদীতে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। সেই ভেলা এক সময় একটি বেদে বহরের কাছে এলে নিঃসন্তান বেদে সর্দার (সাইফুদ্দিন) ও তার স্ত্রী (রওশন জামিল) মেয়েটিকে ভালো করে তোলে। ভেলায় থাকা চিঠিতে লেখা ছিল ‘যে মেয়েটিকে ভালো করে তুলবে তাকে দশ হাজার মুদ্রা পুরস্কার দেওয়া হবে’, কিন্তু তারা লোভ সামলে মেয়েটিকে ‘জোসনা’ নামে বেদেনি পরিচয়ে নিজেদের নাতনি হিসেবে বড় করে তোলে। একদিন পথমধ্যে রাজের উজিরপুত্র মোবারক (নাসির খান) জোসনার ইজ্জতে দাগ দিতে চাইলে রাজ্যের রাজকুমার আনোয়ার (ইলিয়াস কাঞ্চন) এসে জোসনাকে উদ্ধার করে। ঘটনার প্রবাহে এক সময় তাদের প্রেম হয়ে যায়, বেজে উঠে সেই সুর সেই গান ‘বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে’।
রাজা যখন যুবরাজ আনোয়ারের সঙ্গে উজির কন্যা (ফারজানা ববি-র বিয়ে দিয়ে রাজ্যের সকল ভার ছেলেকে বুঝিয়ে দেবেন ঠিক তখনই তাকে এক বিষধর সাপ দংশন করে। এমন অবস্থায় রাজ্যের কোন সাপুড়ে সাপের বিষ নামাতে রাজি হয় না, এটা এমনই বিষ যা নামাতে বাজাতে হবে মরণ বীণ। যে বীণ সাধারন কেউ বাজাতে পারে না।
এদিকে একজন খোঁজ দেয় জোসনা নামের একজন আছে, শুধুমাত্র সেই পারে এই বীণ বাজাতে। আর তখনই সেনাপতি পুত্র রাজ্জাক (মিঠুন) জোসনাকে নিয়ে আসে। জোসনাকে দেখে রাজসভায় রাজা সবাইকে সাক্ষ্য রেখে বলে, সে যদি রাজপুত্রকে সুস্থ করে দিতে পারে তাহলে যা চাইবে তাই দেবেন।
নিজের চোখের সামনে জোসনা তার প্রেমিক রাজকুমারের এমন পরিণতি দেখে আর ঠিক থাকতে পারে না। তাই তো দাদীর কথা উপেক্ষা করে হাতে তুলে নেয় মরণ বীণ। যে বীণে দংশিত সাপ না আসলে গলায় রক্ত ওঠে নিশ্চিত মূত্যু জেনেও সুর তোলে জোসনা। এক সময় নিজের জীবন বাজি রেখে আনেয়ারকে সুস্থ করে তোলে।
এবার রাজা ওয়াদা রক্ষার জন্য জোসনাকে বলে ‘কী চাই তোমার’। তখন জোসনা গানে গানে বলে উঠে, ‘কী ধন আমি চাইবো রাজা গো, ও রাজ চাই যে রাজকুমারকে’। এ কথা শোনা মাত্রই রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং জোসনাকে গলা ধাক্কা দিয়ে রাজসভা থেকে বের করে দিতে বলেন। তখন সৃষ্ট হয় করুণ দৃশ্যের, নিজের জীবন বাজি রেখে রাজকুমারকে সুস্থ করে তোলার পর এমন অপমানে অশ্রুসিক্ত জোসনার দুঃখ ভরাক্রান্ত কণ্ঠে আর্তনাদে সিনেমা দেখতে আসা নারীরাও কেঁদে উঠেন। জোসনার অপমানে তারাও যেন অপমানিত হন, তার দুঃখে সঙ্গী হন। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আবার ঘটনার প্রবাহে জোসনার বনবাসেও দর্শক অশ্রু ঝরান। একটি চরিত্রের প্রতি কতটা আবেগ থাকলে হল ভর্তি মহিলা দর্শকরা নীরবে চোখ মুছেন? ভাবলেই অবাক লাগে।
এতো গেল মহিলা দর্শকদের আবেগ। তবে পুরুষরাই বা বাদ যাবেন কেন!নিজের রাজ্যের রাজকুমার হয়েও যখন চার দেওয়ালের বন্দী হয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন গেয়ে উঠেন, ‘আমি বন্দী কারাগারে, আছি গো মা বিপদে, বাইরের আলো চোখে পড়ে না মা’— মুজীব পরদেশীর এই বিখ্যাত গানটিতে নায়কের এমন দুঃখ-কষ্টে সে সময়ের সহজ-সরল সব পুরুষ দর্শকদেরও চোখ অশ্রুসিক্ত হয়েছে, নায়কের এমন পরিণতি তারাও মেনে নিতে পারেনি।
আসলে ছবিটির কাহিনী থেকে সংলাপ ও অভিনয় প্রতিটি দর্শকেরই হৃদয়ে তীর মেরেছে। মনে হয়েছে, সেলুলয়েডের ফিতার চরিত্রগুলো যেন তাদের সামনে বেরিয়ে এসে জীবনের কথা বলছে। বিশেষ করে অঞ্জুর প্রাণবন্ত অভিনয় দর্শক আজীবন মনে রাখবে, মন উজাড় করে অভিনয় করেছেন তিনি, সঙ্গে কাঞ্চন সাহেব তো ছিলেনই। এ ছাড়া প্রবীর মিত্র, শওকত আকবর, সাইফুদ্দিন, রওশন জামিল, নাসির খান, দিলদার, মিঠুন ও ফারজানা ববিও যার যার অবস্থান থেকে তাদের সেরাটা দিয়েছেন। এটা একান্তই আমার বিশ্লেষণ— হয়তো এইসব কারণেই দর্শকদের এতটা আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
একবার একটি পত্রিকায় ছবির নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ‘এটা যদি বাংলাদেশে না হয়ে হলিউডে নির্মিত হতো তাহলে ছবিটি জায়গা করে নিতো পাঠ্যবইয়ে। কাজ হতো নানাভাবে। গবেষণা করা হতো। কিন্তু এদেশে তেমন কিছুই হয়নি। একটা ছবি কেন এত ব্যবসা করল তা নিয়ে কেউ তেমন গবেষণা এবং জানারও চেষ্টা করল না। এটা করলে আরও সফল ছবি এদেশে নির্মাণ হতো। কয়েক মাস আগে হল্যান্ডের এক সাংবাদিক এদেশে আসেন ছবিটি নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানাতে। অথচ এ দেশের কেউ এটা নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। “আফসোস” ছাড়া আমার আর কীই বা বলার আছে!’
কাঞ্চন সাহেবের কথা ধরে আমারও বলতে ইচ্ছে করে, ‘আফসোস’ ছাড়া আর কীই বা বলার আছে।
যাই হোক, মাত্র ৬৭ লাখ টাকায় নির্মিত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ আজ পূর্ণ করলো ৩২ বছর। সে সময় তো বটেই আজ এত বছর পরও ছবিটির এমন জনপ্রিয়তা আসলেই অবাক করার মতো। যে দর্শকটির সে সময় জন্মই হয়নি সেও দেখতে চায়, জানতে চায় ছবিটি সম্পর্কে, মাঝে মাঝে গর্বও হয় ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমা হলে দেখতে পেরেছি বলে।