Select Page

ভবিষ্যতে আমার সন্তানরাও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করবে: শাকিব

ভবিষ্যতে আমার সন্তানরাও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করবে: শাকিব

গত ১২ নভেম্বর ‘ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২১’র আসরে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাকিব খান। এরপর প্রায় ৩ মাস হতে চললেও দেশ সেরা নায়কের দেশে ফেরার নাম নেই। উল্টো গুঞ্জন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হচ্ছেন তিনি। প্রকারান্তে সেই কথা স্বীকারও করলেন তিনি।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার এ বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এসেছে। যেখানে শাকিব বলেছেন, ভবিষ্যতে আমার সন্তানরাও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস, পড়াশোনা আর কর্মজীবন শুরু করবে। আমি আসলে আমার জন্য নয়, আমার সন্তানের জন্যই ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।

যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হতে যাচ্ছেন? এখন প্রশ্নে শাকিব বলেন, আসলে বিষয়টি ঠিক এমন নয়, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের জন্য গত কভিডের আগেই প্রসেসিং শুরু করেছিলাম। গ্রান্টও হয়ে আছে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কভিড শুরু হলে এই প্রসেস নিয়ে আর এগোতে পারিনি। এবার যুক্তরাষ্ট্রে অন্য কাজে আসার পর আমার আইনজীবী বললেন, বিষয়টি নিয়ে এবার নতুন করে এগোনো দরকার। তাঁর কথায় কোনো দেশের একজন হাই প্রোফাইলের অধিকারী ভিআইপি সহজে এই সুযোগ পেতে পারেন। আমার প্রোফাইল তিনি স্টেট গভর্নরের কাছে জমা দিয়েছেন। আমার কথা হচ্ছে আমাকে উইথ দ্য রেসপেক্ট একটি সুযোগ যখন তারা দিচ্ছে তখন তা গ্রহণ করব না কেন? আসলে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড পেলেও এখানে আমার স্থায়ীভাবে বসবাস করার কোনো ইচ্ছা নেই। আমার ঠিকানা কিন্তু বাংলাদেশ। নিজের মাতৃভূমি বাংলাদেশেই কাজ করতে চাই। যেমনটা করছেন অন্যান্য দেশের সেলিব্রেটিরা। যেমন বলিউডের শাহরুখ খানের কথাই বলি। তিনি দুবাইয়ে বাড়ি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড থাকাসহ আরও কয়েকটি দেশে তাঁর নাগরিকত্ব রয়েছে। কিন্তু তিনি তো ভারতেই থাকেন আর কাজ করেন।

বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারসহ আরও অনেকে ঠিক এভাবেই লাইফ লিড করছেন। এটি একটি দেশের জন্য খুবই সম্মানের বিষয়। এখানে গ্রিন কার্ড পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশে ভিসা ছাড়াই যাতায়াত করা যাবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেলিব্রেটিরা এই সম্মান গ্রহণ করতে পারলে বাংলাদেশি হিসেবে আমরা কেন পারব না। এর আগে আমাদের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন। তাঁর সন্তানরাও এখানে সম্মানের সঙ্গে কাজ আর বসবাস করছেন। তাঁর ছোট মেয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লেকচারার। অন্যদিকে, অভিনেত্রী ববিতা ম্যাডামের পুত্র অনিকও কানাডার বিখ্যাত ওয়াটার লু ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শেষ করে ওই বিদ্যাপীঠেই এখন শিক্ষকতা করছেন। এগুলো আসলে নিজ দেশের জন্যই সম্মান বয়ে আনা। ভবিষ্যতে আমার সন্তানরাও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস, পড়াশোনা আর কর্মজীবন শুরু করবে। আমি আসলে আমার জন্য নয়, আমার সন্তানের জন্যই ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।

আরো জানালেন ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের নতুন ছবির মহরতে অংশ নেবেন শাকিব। শুনেছি আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য মুভি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন— এমন প্রশ্নে বলেন, ঠিকই শুনেছেন। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের জন্য একটি ছবি নির্মাণ করতে যাচ্ছি। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ফ্লোরিডা ও নিউইয়র্কের এলএ-তে  বড় আয়োজনে এর মহরত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একটি পরিবার, দেশ ও সমাজের নানা চিত্র নিয়ে ছবির গল্প গড়ে উঠেছে। গল্প লিখেছেন ফেরারী ফরহাদ আর ছবিটি পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ। ছবিটির শুটিং বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে হবে।

দেশে ফেরা প্রসঙ্গে বলেন, মার্চের শেষ সপ্তাহেই দেশে ফিরব। দেশে কিছু ছবির কাজের প্রস্তাব আছে সেগুলো করব। নিজের প্রযোজিত প্রিয়তমা ছবির কাজও শুরু করব। একই সঙ্গে কলকাতার কয়েকটি ছবির ব্যাপারে সেখানকার প্রযোজনা সংস্থা যোগাযোগ করেছে। ওই বিষয়ে কলকাতাও যেতে হবে। সবমিলিয়ে জুলাইয়ে বঙ্গ সম্মেলন শুরুর আগেই সব ছবির কাজ শেষ  করতে হবে আমাকে। আসলে আমার দেশের চলচ্চিত্র জগৎকে আমি আরও সমৃদ্ধ করতে নিরলস কাজ করে যেতে চাই।


Leave a reply