Select Page

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ব্যবসা বাড়াতে ঢাকায় পুরস্কারের আসর

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ব্যবসা বাড়াতে ঢাকায় পুরস্কারের আসর

ঢাকায় একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চায় প্রযোজক ও পরিবেশকদের সংগঠন ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনোদনের সম্পর্ক দৃঢ় করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানায় সংগঠন। হাসান জানান, ফেডারেশনের উদ্দেশ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্পর্কে উন্নতি ও সেই দেশে ভারতের ছবির প্রচার করা। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও প্রথম আলো।

২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশে দুই ঈদকে ঘিরে উভয় দেশে মুক্তি পাওয়া ছবি থেকে বাছাই করে দেওয়া হবে ‘সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’।  পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত-বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’ (বিবিএফএ)।

বুধবার ফেডারেশনের সম্পাদক ফিরদৌসাল হাসান কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এ রকম একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে দুই দেশের ছবির ব্যবসা করতে পারে। প্রথম ভারত-বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। ২১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হবে।”

ফিরদৌস আরও বলেন, বাংলাসহ ভারতীয় ছবি বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সেখানে আমাদের ছবি মুক্তি দেওয়ার উপযুক্ত কাঠামো নেই।

এরই মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশে গঠন করা হয়েছে উভয় দেশ থেকে দুটি জুরিবোর্ড। বাংলাদেশে এই জুরিবোর্ডে আছেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আলমগীর হোসেন ও সারাহ বেগম কবরী, সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু এবং চিত্র পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল। আর ভারতের জুরিবোর্ডে থাকছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি ফিরদৌসুল হাসান, চিত্রতারকা তনুশ্রী চক্রবর্তী, নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু এবং প্রযোজক অঞ্জন বসু।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দুই দেশের ছবি থেকে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী, সেরা গান, সেরা সংগীত পরিচালক, সেরা সংগীতশিল্পী (পুরুষ ও নারী), সেরা জনপ্রিয় ছবি, সেরা জনপ্রিয় অভিনেতা, আজীবন সম্মাননা, সেরা সিনেমাটোগ্রাফার, এডিটর এবং সেরা স্ক্রিন প্লের পুরস্কার।

জানা যায়, বাংলা ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা- তামিল, তেলুগু, মালায়ালম, কন্নড়, মারাঠি, ভোজপুরি, গুজরাতি ও হিন্দি ছবির প্রদর্শনী হবে।

পরিচালক গৌতম ঘোষ উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। তিনি জানান, বেশি পরিমাণ দর্শকের কাছে পৌঁছতে ভারত ও বাংলাদেশের সিনে দুনিয়ায় চালু হলো সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম।

যৌথ প্রযোজনার একাধিক সিনেমার এই পরিচালক বলেন, “আমার মনে হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ছবির উদ্‌যাপন একটি মঞ্চে হওয়াটা জরুরি।”

এদিকে ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, দুই দেশেই সিঙ্গেল স্ক্রিনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। যা প্রযোজকদের জন্য আশঙ্কার কারণ।

আগামী ২১ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হল–৪-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে ‘ভারত-বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’। তখন ঢাকায় দুই দেশের তারকাদের নিয়ে বড় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


Leave a reply