ভারতীয় পরিচালক ও তিন অভিনেতা নিয়ে ‘নেত্রী দ্য লিডার’, অনন্ত-ইফতেখারের পরস্পরবিরোধী তথ্য
অনন্ত জলিলসহ মোট তিনজন পরিচালক মিলে নির্মাণ করবেন ‘নেত্রী দ্য লিডার’। বাকি দুজনের একজন তেলেগু নির্মাতা উপেন্দ্র মাধব ও আরেকজন তুরস্ক থেকে থাকছেন। এ ছাড়া অভিনয় করবেন দক্ষিণ ভারতীয় তিন অভিনেতা কবির দুহান সিং, রবি কিষাণ এবং প্রদীপ রাওয়াত।
এ দিকে রবিবার বিস্তারিত ঘোষণার আগেই ইফতেখার চৌধুরী বলেন ‘নেত্রী দ্য লিডার’ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু অনন্ত বললেন অন্য কথা।
২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরীর ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে সিনেমায় পা রাখেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। কিন্তু এই সিনেমাটির মুক্তির পর এ পরিচালকের সঙ্গে তারকা দম্পতিকে আর কখনো অভিনয় করতে দেখা যায়নি। প্রায় দশ বছর পর আবারও একসঙ্গে তাদের কাজের সম্ভাবনা তৈরী হয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইফতেখার চৌধুরীর ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রযোজক, অভিনেতা অনন্ত জলিল তার নতুন সিনেমা ‘নেত্রী দ্য লিডার’ এর ঘোষণা দেন। সেই সময় তিনি জানান, দশ বছর পর আবার ইফতেখার চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন।
গত কয়েকদিন ধরে ‘নেত্রী দ্য লিডার’ ছবির কাস্টিংয়ে বেশ চমক দেখান অনন্ত। এরইমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে দক্ষিণ ভারতের তিন শক্তিশালী অভিনেতা কবির দুহান সিং, রবি কিষাণ এবং প্রদীপ রাওয়াত।
সব যখন ঠিকঠাক, তখন জানা গেল এই ছবির পরিচালনায় থাকছেন না ইফতেখার চৌধুরী। বরং ‘নেত্রী দ্য লিডার’ এর পরিচালক হিসেবে সামনে এলো ভারতীয় তেলেগু ছবির নির্মাতা উপেন্দ্র মাধবের নাম। যিনি কিনা ২০১৮ সালে কাজল আগারওয়াল ও নন্দমুরি কল্যাণ রামকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ‘এমএলএ’ নামে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। খবরটি নিশ্চিত করেছে অনন্ত জলিলের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মুনসুন ফিল্মস।
কেন ‘নেত্রী দ্য লিডার’ সিনেমাটি পরিচালনায় নেই ইফতেখার চৌধুরী? ফেসবুক পোস্টে এই নির্মাতা জানান, “বর্তমানে আমি ‘মুক্তি’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত আছি। এই ছবিটির ৬০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। শিগগির বাকি অংশ শুট করবো। এরপর আমার ‘লন্ডন লাভ’ নামে সিনেমার জন্য প্রযোজককে কথা দেয়া, সেই ছবিটি শাকিব খানকে নিয়ে। লন্ডন লাভের পর ডেট দেয়া ছিলো ‘নেত্রী দ্য লিডার’ সিনেমার জন্য। কিন্তু অনন্ত ভাই যেহেতু এই সিনেমাটি এখন করতে চাইছে, তাই ডেট নিয়ে আমার দিক থেকে একটা জটিলতা আছে। সে কারণেই অনন্ত ভাইয়ের সাথে কথা বলেই এই ছবিটি ছেড়ে দিলাম আমি।”
তবে নিজের ফেসবুক পেজে ইফতেখারের দাবি অস্বীকার করেন অনন্ত। তিনি বলেন, “বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যেখানে উল্লেখ রয়েছে, ‘ব্যস্ততার জন্য অনন্তর ছবি ছেড়ে দিলেন ইফতেখার চৌধুরী’। তার প্রতি সম্মান রেখে এ বিষয়ে আমি পরিস্কার করে বলতে চাই ‘নেত্রী দ্য লিডার’ ছবিটি পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশ থেকে কারো সঙ্গে কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি, এমনকি ইফতেখার চৌধুরীর সঙ্গেও নয়। মৌখিকভাবে বলা কোনো কিছু চুক্তি নয়।”
আরও বলেন, “নেত্রী দ্য লিডার’ একটি আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট। তাই অফিসিয়ালি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই ছবিটি আমি পরিচালনা করছি, বা ব্যস্ততার কারণে ছেড়ে দিয়েছি, এটা বলা যায় না। আর যেখানে কোনো চুক্তিই হয়নি, সেখানে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ই আসে না। সুতরাং, এ ধরনের ভুল তথ্যে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।”
বাংলাদেশ ও তুরস্কের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘নেত্রী দ্য লিডার’। যার ৯৫ শতাংশ শুটিং হবে তুরস্কের বিভিন্ন লোকেশনে, আর ৫ শতাংশ শুটিং হবে ঢাকায়।