Select Page

ভায়োলেন্স আর অস্বস্তির ক্যামেরায় বিহারি ক্যাম্পের গল্প ‘রিফিউজি’

ভায়োলেন্স আর অস্বস্তির ক্যামেরায় বিহারি ক্যাম্পের গল্প ‘রিফিউজি’

জেনেভা ক্যাম্পে যখন কেউ প্রথমবারের মতো যান, তখন তাকে বেশকিছু ব্যাপারেই কিছুটা অস্বস্তি এবং বিস্ময়ে পড়তে হয়। যেমন ধরুন, এখানকার মানুষগুলো আপনার সাথে বেশ সাবলীলভাবে বাংলায় কথা বলছেন, কিন্তু তাদের নিজেদের ভেতরে কথা বলছেন উর্দুতে। এখানকার বাসিন্দারা খুপরি ধরনের জায়গায় বসবাস করেন, জীবনযাত্রার মান যতটুকু হওয়া উচিৎ তার অনেকখানি নিচে। এমন আরও বেশকিছু দৃশ্য আপনার মনে সবার আগে প্রশ্ন তুলবে- তারা এমন কেন? হয়তো একটু খুঁজলেই পাবেন নতুন এক সত্যের সন্ধান। তারা আলাদা জাতিসত্ত্বার লোক। তারা বিহারি। তাদের আদিনিবাস বিহারে। ঘটনাচক্রে তারা বাংলাদেশে আটকা পড়েছেন। সেই বিহারিদের জেনেভা ক্যাম্পের এক গল্প নিয়ে ইমতিয়াজ হোসাইন পরিচালনা করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘রিফিউজি‘। ‘হইচই অরিজিনাল’ এই ওয়েব সিরিজটি প্রযোজনা করেছেন আলী আফজাল উজ্জ্বল।

৬টি এপিসোডে এই ওয়েব সিরিজটি মূলত একটি ‘ভায়োলেন্স সিরিজ’। ক্যাম্পে হঠাৎ এসে ঠাঁই নেওয়া এক ব্যক্তির সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন একজন গোয়েন্দা অফিসার। দুই বিহারি যুবককে ঘিরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডকে নিয়েই এগিয়েছে গল্পটা। ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা অফিসার মারিয়া বিহারি ক্যাম্পের ইকবালকে ইনফরমার হিসেবে নিয়োগ দেন। ইকবালের শান্তশিষ্ট ছোট ভাই ‘গ্যাং ওয়ারের’ ভেতরে ফেঁসে যাওয়া ইকরামকে জেল থেকে ছাড়ানোর লোভে ইকবালও সাহায্য করতে থাকে তাকে। কিন্তু ‘কার্বন’ নামক ওই ওয়ান্টেড আসামীর ছবি স্ক্রিনপ্লে’তে স্থান করে নেওয়ার পর থেকে, বেশকিছু পরাবাস্তবতার কাঠিন্যে বারবার একে অন্যের মুখোমুখি হতে শুরু করে দেয় দুই বন্ধু ওয়াসিম আর ইকবাল। সে মুখোমুখি হওয়া কোথায় নিয়ে গিয়ে ফেলবে তাদের দুজনকে, তা জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে এই সিরিজ।

পুরো সিরিজের ৬টি এপিসোড ৬টি আকর্ষণীয় নামে তৈরি হয়েছে। গল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে এই সিরিজের নির্মাতারা একদম নিজস্ব পথে এগিয়েছেন। গোটা সময়জুড়ে বারবার এখানটায় ‘কন্টিনিওয়াস ফ্ল্যাশব্যাক’ দেখা গেছে, কখনোবা একটা সিনে অন্য সিনের ভয়েস এসে স্ক্রিন শেয়ার ছাড়াই জায়গা করে নিতে পেরেছে গল্পের ভেতরে। তৈরি করতে পেরেছে গল্পের ভেতরকার ‘ইন্টারচেইঞ্জ’। যেমন ধরুন, অফিসার মারিয়া যখন তার এই প্রজেক্ট থেকে ফায়ারড হন, সেটা আমাদেরকে দেখতে হয়নি, মারিয়ার গাড়ি চালানোর সময়েই ব্যাকগ্রাউন্ডে তার উপরস্থ অফিসারের ডায়ালগ থ্রো দেখেই বুঝে নেওয়া যায় ঘটনাটি। এমন নয় যে এধরনের কাজ প্রথমবার হচ্ছে, কিন্তু এত সাবলীলতার সাথে এর আগে হয়তো আমরা দেখিনি।

তিনজন নির্মাতা একত্রে কাজ করেছেন এই ওয়েব সিরিজে। আদনান হাবীব, ইমতিয়াজ হোসাইন এবং আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। এই তিনজনেরই ‘মেইকিং সেন্স’ কখনো আপনাকে হতাশ করবে না। তার উল্লেখযোগ্য কারণ, তারা কাজের জন্য যে পরিবেশটা তৈরি করে নেন, সেটা সত্যিকারের মতোই হয়। এই ওয়েব সিরিজে বিহারি ক্যাম্পের সব দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পেই। তাতে সবচেয়ে বেশি লাভটা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর, ভাষা, চাহনি সবকিছুতেই বিহারি বৈচিত্র‍্য ফুটে উঠেছে। এই সিরিজের ৭০% ডায়ালগ উর্দুতে। ভয়েসওভারের জন্য ডাবিং করা হয়েছে, তা স্পষ্টই। কিন্তু ঠোঁটের নড়াচড়া খেয়াল করতে গিয়ে অবাক হতে হয়েছে৷ প্রায় সবাইই এত নিখুঁতভাবে উর্দু ডায়ালগ থ্রো করছিলেন কীভাবে? সবাইই তো বাংলায় কথা বলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ক্যাম্পেরই একজনকে ‘স্পিচ স্পেশালিস্ট’ হিসেবে পুরো সিরিজের শ্যুটিংয়ের সময়জুড়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। পুরো সময়েই কেমন একটা অস্বস্তিতে আপনি থাকবেন এত বেশি ভিন্ন ভাষার কোলাজ দেখে। এমন নিষ্ঠা নিয়ে কাজের জন্য প্রশংসার দাবিদার পরিচালক এবং নির্মাতারা।

‘রিফিউজি’ ওয়েব সিরিজের অধিকাংশ সিনই হয় ইনডোর, নতুবা রাতে ধারণ করা। তাতে আলোকসজ্জার একটা বিশেষ প্রভাব সবসময়ই দরকার হতো। লাইটিংয়ের যে কাজ হয়েছে, তা সত্যিই দারুণভাবে প্রভাবিত করতে পারবে দর্শককে। বিশেষ করে রাতের দৃশ্যসমূহে, যেখানে কোথাও ডিম লাইটিং, কোথাও বা চোখ টানে মতো লাইটিং। সব মিলিয়ে আপনি অনুভব করবেন একটা অস্থিরতা, জেনেভা ক্যাম্পের মতো; যেখানে কিছুই স্থায়িত্বের নিদর্শন বহন করে না। আর ক্যাম্পে আসলেই সবসময়েই আলোর নানান রকমের সজ্জার একটা ছাপ থাকে। এই ক্যাম্প কখনো ঘুমায় না। কখনো নীরব হয় না। এই দিকটিই বেশ ভালোমতো ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা মানুষেরা।

ওয়েব সিরিজের পুরোটাজুড়ে একটা একই ধাঁচের কালার গ্রেডিং লক্ষ্য করা যায়। মনোরোম, কিছুটা রোমাঞ্চকর আর বেশিরভাগই অস্বস্তিতে ফেলার মতো। বেশ কয়েকটা জায়গায় সম্পাদনার কাজে খুঁত ধরা পড়লেও, পরের সিনগুলোর কারণে তা বিশেষ চোখে পড়বে না। ওয়াসিমের বাবার দুপুরবেলা খাবার খাওয়া নিয়ে যে দৃশ্য, তা বেশ ‘র’ অবস্থাতেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সে জায়গায় কিছুটা ‘ডার্ক ইফেক্ট’ রাখতে পারলে হয়তো ভালো হতো।

সুর ও শব্দের কাজ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। সহকারি পরিচালক ইয়াসির আল হকের লিরিক্সে এবং টিনু রশীদের কম্পোজিশনে ওয়েলকাম নোটে একটা উর্দু গান পাওয়া যায়। মিউজিক, লিরিক্সের সাথে সাথে বিহারি ক্যাম্পের বেশকিছু সিন মিলিয়ে এটি দারুণ এক ‘মিকশ্চার’ হয়েছে। এছাড়াও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের ব্যবহারগুলো বেশ ‘পারফেক্ট কম্বিনেশন’ তৈরি করেছে সিরিজের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু প্রথম এপিসোডেই ইকবালের গেইট খোলার সময় দৃশ্যটা সাউন্ডের সাথে একটু আগে-পরে হয়ে গেছে।

সিনেমাটোগ্রাফি প্রশংসা করতেই হয়। তুহিন তামিজুলকে আমরা এর আগে রেহানা মরিয়ম নুরে ‘হ্যান্ডহেল্ড শট’ এ পারদর্শিতার প্রমাণ করতে দেখেছি। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ইকবালকে আসগররা মারার সময়ে ক্যামেরার কাজটা বেশ ভালো ছিলো। প্যান শট তেমন একটা নেই। ক্লোজ শট আর ওয়াইড শটের ভারসাম্য দেখা যায় পুরো সময়েই। আর বেশ অদ্ভুত কিছু অ্যাঙ্গেল থেকে ফ্রেম নেওয়া হচ্ছিলো, যেটা বেশ দারুণ লেগেছে। চিন্ময় রায়ের সবুজাভ কালার গ্রেডিং, তুহিন তামিজুলের কিছুটা কম্পমান ধাঁচের সিনেমাটোগ্রাফি; দুইয়ে মিলে এই ওয়েব সিরিজকে একটা আলাদা পলিটিক্যাল মেটাফোর হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। সে প্রসঙ্গে আসছি পরে।

মারিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম। তার অভিনয় নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। তিনি বরাবরই তার সুনামের স্বাক্ষর বহন করে গেছেন। তবে তার আধপাকা চুলের মেকাপটা ‘ন্যাচারাল’ লাগছিলো না লাইটিংয়ের কারণেই। এর বাইরে গোটা সময়জুড়েই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে অভিনয় করে গেছেন। তার গোয়েন্দা প্রফেশনের বাইরেও পারিবারিক টানাপোড়েনের দিকেও দর্শককে ফোকাসড রাখতে সফল হয়েছেন। সবকিছুতেই একটা সহজাতবোধ ছিলো তার কাজে।

ইকবাল চরিত্রে সোহেল মণ্ডল এই ওয়েব সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী অভিনেতা। একটা গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে যখন সে তার বন্ধু ওয়াসিমকে আক্ষেপ করে বলছিল, তার মায়ের জীবনে শান্তি না পাওয়ার কথা; সেই আক্ষেপের অন্য পিঠে যেন ভাসছিল ইকবালেরই ছবি। যে যুবকটির বিশেষ চাহিদা নেই, নেই পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার তাড়া, অল্পে সন্তুষ্ট যে- যার একান্ত স্বপ্ন ছিলো ভাইকে বিদেশে পাঠাবে, নিজে ব্যবসা করবে, বড়লোক হবে, টাকা দিয়ে মুছবে নিজের বিহারি পরিচয়। অথচ শেষমেশ তার কিছুই হওয়ার থাকে না। ‘রিফিউজি’র ইকবালকে বেশ অনেকদিন মনে রাখবেন দর্শকরা।

ওয়াসিম চরিত্রে শরীফ সিরাজও একদম মানানসই চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তার বাবাকে হারানো, পাকিস্তান ফিরে যেতে চাওয়ার আকুলতা, বন্ধুর সাথে টানাপোড়েন- সব মিলিয়ে একটা বিষাদময় ক্যারেক্টারই সে।

এই ওয়েবসিরিজে প্রোটাগনিস্ট হওয়ার সুযোগ ছিলো আফজাল হোসেনের। সে হিসেবে নামের প্রতি পূর্ণ সুবিচার করতে পারেননি তিনি। একদিকে ‘কার্বন’ চরিত্রের যে একটা ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি করার কথা, তার জন্য আফজাল হোসেন প্রয়োজনীয় সময়টুকু পাননি, অন্যদিকে যেটুকু স্ক্রিন শেয়ারের সময় পেয়েছেন তার বেশিরভাগ সময়েই তিনি মত্ত ছিলেন ঘর গড়ার খেলায়। সত্যি বলতে কী, ওই খেলা এখানে বিশেষ একটা প্রভাব রাখে না।

‘রিফিউজি’র আন্ডাররেটেড ক্যারেক্টার ইকরাম। ইকরাম চরিত্রে তানভীর নাহিদ তার সম্পূর্ণটা দিয়েছেন। জেনেভা ক্যাম্পের বাস্তবতার বাইরের কিছু বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে আসে ইকরাম নামক চরিত্র। যে বাস্তবতায় দর্শক দেখতে পান ন্যায়বিচার আসলে মরীচিকার মতন। সেইসাথে ঝুনা চৌধুরী, আমিনুর রহমান মুকুল, মনির খান শিমুলরাও যার যার জায়গায় ভালো করেছেন।

২০০৭ সালের রিফিউজি ক্যাম্পকে তুলে ধরতে বেশ কিছু দারুণ কাজ করেছেন নির্মাতারা। সেই সময়ের নকিয়া ১১০০ মডেলের মোবাইল দেখানো, ১৪ ইঞ্চি টিভি সেট, ১৯৭১ এর ফ্ল্যাশব্যাক- সবকিছু মিলে একটা দারুণ মিশেল তৈরি করেছে। কিন্তু মারিয়ার ডায়ালগে কিছু ‘স্ল্যাং’ ব্যবহার করা হয়েছে যেগুলো ২০০৭ সালের সময়ে কতটুকু প্রচলিত ছিলো তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। সেইসাথে ওই সময়ের জেনেভা ক্যাম্পে লোডশেডিং না দেখানো, কমিশনারের পোশাকে সেই সময়কে ধরতে না পারা, গোয়েন্দা অফিসার মারিয়ার গাড়ির নতুন মডেল, ড্রাগ কিনতে গিয়ে শহুরে ছেলের ‘ব্রো’ সম্বোধন, এতবার রিহার্সালের পরেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচের সিনক্রোনাইজেশন না হওয়া- এই ব্যাপারগুলো কিছুটা অস্বস্তি দিয়েছে গোটা কাজে।

‘রিফিউজি’ ওয়েব সিরিজটা দেখার সময়ে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, এটায় ধরার চেষ্টা করা হয়েছে ২০০৭ সালের সময়কার বিহারি ক্যাম্পকে। এই ওয়েব সিরিজ যেন দীর্ঘদিনের অনেকগুলো ট্যাবুকে ভেঙে আমাদের কাছে একটা আসল বিহারি ক্যাম্পকে দাঁড় করিয়ে দেয়। যেখানে এই মানুষগুলো কেবল বাঁচতে চাইছে, হোক সেটা পাকিস্তানে কিংবা বাংলাদেশে। তারা নিজেদের অধিকার চাইছে, নিজেদের আত্মমর্যাদা ফিরে পেতে চাইছে। আপনি তাদের খারাপ, ‘ভায়োলেন্ট’ ইত্যাদি বলতে পারেন। কালার এবং সিনেমাটোগ্রাফির ওই অস্বস্তিকর মিশেলে আপনি একটা ‘পাকিস্তানি’ আবহ পাবেন। কিন্তু ওই আবহের ভেতর রেখেই এই সিরিজ আপনাকে দেখিয়ে দিবে আপনি রাষ্ট্রের কার্যক্রম দ্বারা তাদের বিরুদ্ধেও কতটুকু ভায়োলেন্ট হচ্ছেন। কিংবা এই যে ভায়োলেন্স, তা ওই ক্যাম্পের কত শতাংশ মানুষেরই বা অভিপ্রায়? আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে, ভালো-খারাপ যে সব জায়গায়ই থাকে আমরা সে বিচার কি বিহারি ক্যাম্পের মানুষদের ক্ষেত্রে করি?

অতি অল্প সময়ে এতগুলো চরিত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে পরিচালক বিহারিদের এই এলাকায় থিতু হওয়ার যে ন্যারেটিভ, তা পুরোপুরি তুলে ধরতে পারেননি। আপনাকে তারা একেকটা খুনের বিপরীতে সমব্যথী হওয়ার সময়ও দেবেন না। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে কাজটা করেছেন তারা, তা হলো ন্যারেটিভের পরিবর্তন আনা। সাহস করে রাজাকারের ভিন্ন এক মুখোশ নিয়ে আসতে পারা, বিহারি ক্যাম্পের মানুষগুলো কী বলতে চায় তার ক্ষুদ্র অংশটুকুকে হলেও সামনে নিয়ে আসতে চাওয়া। এটাই তো কম কীসে! ইকরাম কিংবা ইকবালের করুণ পরিণতি দেখে কান্না করার মতো সময় এই সিরিজ আপনাকে দেবে না। কিন্তু ততক্ষণে আপনি সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা নিজেকে নিজে করে ফেলেছেন, “বিহারি বলেই কি এমনটা হলো?” এখানেই এই ওয়েব সিরিজের সার্থকতা।

*লেখাটি রোর বাংলায় পূর্ব প্রকাশিত


About The Author

সাইদ খান সাগর

সিনেমাকর্মী

Leave a reply