Select Page

ময়ূরাক্ষী: পরিচালকের সঙ্গে নায়িকার হাতাহাতির গুঞ্জন!

ময়ূরাক্ষী: পরিচালকের সঙ্গে নায়িকার হাতাহাতির গুঞ্জন!

ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার পরিচালক রাশিদ পলাশের সঙ্গে নায়িকা ইয়ামিন হক ববির তুমুল দ্বন্ধের গুঞ্জন উঠেছে। এমন ঘটনা নাকি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়েছে।

বলা হচ্ছে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন সিনেমাটির পরিচালক। যে বাজেটের কথা নির্মাণের সময় বলা হয়েছিল, ‘ময়ূরাক্ষী’ শেষ করতে তার দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। এ ছাড়া ঈদে নামমাত্র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। নির্মাণের পর প্রযোজককে শুধু ঘুরিয়েছেন ওই পরিচালক। শুধু তাই নয়, প্রযোজক সব শিল্পীর পারিশ্রমিক পরিচালকের হাতে দিলেও তিনি শিল্পীদের সেটি দেননি। একের পর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন লগ্নিকারকরা। যার ফলে নায়িকার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে পরিচালকের।

জানা গেছে, নায়িকার ক্ষোভ হলো তাকে যেভাবে সিনেমাটি নির্মাণ করতে বলা হয়েছিল, তার বিন্দুমাত্র ছোঁয়াও তিনি পাননি। দুর্বল নির্মাণ, এডিটিং ও হল না পাওয়ায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পিটিয়েছেন পরিচালককে। ওই সময় নাকি সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থার সংশ্লিষ্টরাও উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউজজি টোয়েন্টিফোর। তবে সেখানে রাশিদ পলাশ বা ববির কোনো মন্তব্য দেয়া হয়নি।

ঘটনার সত্যতা শিকার করে সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক শাহাদাত হোসেন লিটন বলেন, ‘কী নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও রাগারাগি হয়েছে ঠিক আমি জানি না। তবে দুজনের রাগারাগি হয়েছে এটা সত্য। ববিকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেওয়া হয়নি আমাকে জানিয়েছিল। পলাশ বলছে— তার সাথে যেভাবে কথা হয়েছে সেভাবেই টাকা দিয়েছে। দুজনের দুই রকমের কথা।’

যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে কথা বলিনি কারণ, পুরো দায়িত্ব পলাশকেই দিয়েছিলাম। তার উপরই আমরা নির্ভরশীল ছিলাম। তবে ববি কাজটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। সিনিয়র পরিচালক হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে। যেহেতু ঘটনাটি আজ শুনেছি ব্যাপারটি নিয়ে দুজনের সাথে কথা বলে বসব।’

এর আগে ‘ময়ূরাক্ষী’ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ববি। সমকালকে তিনি বলেন, ‘শুধু আমি নই দর্শকরাও হতাশ। অনেক দর্শকই বলেছেন, আমার চরিত্রটির আরও ব্যাপ্তির প্রয়োজন ছিল। এটা তো একজন সিনেমার নায়িকার গল্প নিয়ে বানানো সিনেমা। অথচ সেই নায়িকার চরিত্রটিই ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলা হয়নি। গল্পটা যাঁকে নিয়ে, তাঁকে যদি পর্দায় এস্টাবলিশ না করেন, তাহলে এর সার্থকতা কোথায়। সেটা করতে পারলে সিনেমাটি আরও ভালো হতো। দর্শকরা তৃপ্তি নিয়ে হল থেকে বের হতে পারতেন।’

ববি আরো বলেন, ‘ডাবিংয়ের সময়ে এক রকম ছিল। তখন যেসব দৃশ্য রাখা হয়েছিল, মুক্তির পর দেখলাম তার অনেকগুলোই নেই। ভালো ভালো অনেক দৃশ্য নির্মাতা বাদ দিয়েছেন। সেগুলো বাদ না দিলে সিনেমাটি আরও ভালো হতো। ডাবিংয়ে যতটা দেখেছিলাম, ততটাও নেই সিনেমায়। অনেক ভালো ভালো সিকোয়েন্স বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরও সিনেমাটি যে খারাপ হয়েছে, তা বলছি না আমি। ভালোর তো শেষ নেই। সিকোয়েন্সগুলো রাখলে আরও বেশি ভালো হতো। যেহেতু এটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির গল্প, তাই অনেক কিছু মিসিং থাকলে দর্শকের বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা। গল্পটা খাপছাড়া হয়ে যায়। গানগুলোও পুরো রাখা হয়নি। কেটে কেটে অর্ধেক দেখানো হয়েছে, যার কোনো মানে হয় না। এডিটিংয়ে আরও জোর দিতে পারতেন।’

‘ময়ূরাক্ষী’র গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ববি ও সুদীপ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, সুমিত সেনগুপ্ত, ফারজানা ছবি, সমু চৌধুরী, দীপক সুমন, প্রণব ঘোষ, সাবিনা পুঁথি, ফারুক, মুহিন খান, মানিক শাহ, জুলফিকার চঞ্চল, রুদ্র হক, আফফান মিতুল, কস্তূরী চৌধুরী।


মন্তব্য করুন