মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন- বেটার দ্যান সিন্ডিকেট
‘
বিদেশে যখন বেটার কল সল কিংবা স্পেশাল অপস ১.৫ এর মত স্পিন অফ সিরিজ হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে কখনও স্পিন অফ সিরিজ হবে তা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করি নি; অন্তত কয়েকবছর আগেও না। ওটিটির কল্যাণে সেই ব্যাপারটাই এখন বাস্তব।
গত ঈদে শিহাব শাহীন নির্মাণ করেছিলেন সিন্ডিকেট নামের সিরিজ, মোটামুটি উপভোগ্য লেগেছিল বিশেষ করে আফরান নিশো আর নাসির উদ্দীন খানের অভিনয়ের জন্য। নাসির উদ্দীন খান সিরিজের শেষের দিকে এসে চমকে দিয়েছিলেন আর বেশ সাড়া জাগিয়েছিল চট্টগ্রামের ভাষায় কথা বলা এই ক্যারেক্টার। এবার শুধু সেই ক্যারেক্টার নিয়েই একটা গোটা সিরিজ!
সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর অ্যালেন স্বপন নামের মাদক চোরাকারবারি কীভাবে গা ঢাকা দেয় আর কীভাবে ঢাকায় এসে একজন ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা হয়ে যায়, তাই নিয়েই এগিয়েছে ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন‘-এর গল্প।
শিহাব শাহীনের অন্য যেকোনো কাজের চেয়ে এই প্রোডাকশনের মেকিং, ন্যারেটিভ স্টাইল সবই আলাদা আর বেশ ডিটেইলে কাজ করেছেন তিনি। দেশের প্রথম স্পিন অফ সিরিজ, একটু এদিক সেদিক হলেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তবে সেটি হয়নি। নাসির উদ্দীন খান এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের বেস্ট পারফরম্যান্স দিয়েছেন। একটি টর্চার সিনের জন্য নাসির উদ্দীন খান পুরোপুরি উলঙ্গ হয়েছেন যা আজ পর্যন্ত মনে হয় না এই দেশে কোন অভিনেতা করার সাহস করেছেন। মিথিলা অনেকদিন পর অসাধারণ এক পারফরম্যান্স দিলেন। স্বপ্পনের বন্ধুর চরিত্রে রাফিউল কাদের রুবেল কিংবা স্বল্প সময়ে সুমন আনোয়ার ছিলেন চমৎকার। ফরহাদ লিমনও বিশ্বাসযোগ্য!
সিরিজের প্রথম তিন এপিসোড স্লো বার্ন প্রোসেসে আগায়, ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং এ এতটুকু সময় দরকার ছিল। এরপরেই গতি বাড়ে। সুতরাং এপিসোড তিনপর্যন্ত কিছুটা ধৈর্য্যের সাথেই দেখা লাগবে। আবদুল্লাহ আল সেন্টুকে আরেকটু দেখতে পারলে ভালো লাগতো, তার ডাবিংটাও তার নিজের কন্ঠে শুনতে পারলে আরও রিলেট করতে পারতাম। এসব দিক বাদ দিলে গল্পের বুনট বলি বা চরিত্রায়ন সবদিক থেকেই ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ শুধুমাত্র শিহাব শাহীনেরই নয়, চরকিরও অন্যতম বেস্ট প্রোডাকশন।