মাথা নাড়িয়ে দেওয়া ‘সিনপাট’
এককথায় যদি বলি – এটা একটা মাথানাড়া দিয়ে দেওয়া একটা সিরিজ। মাস্টারপিস কি না, সে তর্কে যেতে চাচ্ছি না। কিন্তু নি:সন্দেহে এটা একদম নতুন কিছু।
নতুন মানে খুবই নতুন, এমনকি “শাটিকাপ” ইউনিভার্সের অংশ হওয়া সত্ত্বেও, সিনপাটের ট্রিটমেন্ট শাটিকাপ থেকে অনেকখানি আলাদা। এটা এমন কিছু, যা দেখার পর মনে এক অন্যরকম পৈশাচিক তৃপ্তি চলে এসেছে। মনে হচ্ছে এই সিরিজের ২/১টা সিকোয়েন্স আমার স্মৃতিতে অনেকদিন থেকে যাবে, এতোটাই ইউনিক। সিরিজ শেষ করে অনুভুত হচ্ছে, আজকে ‘কিছু একটা’ দেখেছি!
এই সিরিজের ওপেনিং এবং এন্ডিং – আমার মতে সবথেকে সুন্দর! ওপেনিং হয় একটা বিয়েবাড়ির গ্যাঞ্জাম দেখানোর মাধ্যমে। এখানে স্যাটায়ার ট্রিটমেন্টে গ্রামের বিয়েবাড়ি দেখানোটা মারাত্মক বিনোদন দিয়েছে। আর শেষটা করা হয়েছে খুবই কড়া একটা পয়েন্টে। এরকম একটা ক্লাইম্যাক্স এই সিরিজ ডিজার্ভ করে। খুবই ন্যাচারাল কিন্তু আনপ্রেডিক্টেবল। সিরিজের ৭ম বা শেষ পর্বটি যেনো সিরিজটিকে এক লেভেল উপরে উঠিয়ে দিয়েছে।
সিনপাটের মধ্যে অনেক রেফারেন্স ‘শাটিকাপ’ থেকে এসেছে। তো অবশ্যই আমি বলবো, এই সিরিজটি দেখার আগে এই পরিচালকের আগের সিরিজ “শাটিকাপ” টা দেখে নিলে ভালো হয়। অবশ্য শাটিকাপ না দেখে স্টার্ট করলেও মোটামুটি ৭০-৮০% এনজয় করতে পারবেন৷ আর শাটিকাপ দেখা থাকলে কিছু বিষয় আপনার কাছে আগেই ক্লিয়ার থাকবে। যেমন: ফাজু কে? ফাজুর চরিত্রটি আসলে কি রকম? এরপর, দুরু আপা কে? বাবুভাইয়ের নাম সিরিজে অনেকবার এসেছে.. সেই বাবুভাইটা কে? উনি এখন কই, কি করেছে.. এই ব্যাপারগুলো ক্লিয়ার হবে।
চরকি এবার মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামকে ভালো বাজেট দিয়েছে, দেখে এটা বোঝা যায়। তাই প্রডাকশন কোয়ালিটি আগের থেকে আরো বেটার হয়েছে। এছাড়া সিরিজটি ১৮+, ড্রাগ নিয়ে প্রচুর সিন ও ডায়লগ রয়েছে, রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষার গালাগালি আছে।
আর অভিনয় নিয়ে সত্যি আমি ভাষাহীন হয়ে গিয়েছি। লীড তিনটি চরিত্র (সোহেল, ফাজু, দুরু আপা) আমার কখনো মনেই হয়নি যে এরা অভিনয় করেছে। আমার তাদেরকে আসলেই ছিনতাইকারী কিংবা হিরোইনখোর লেগেছে। একদম শতভাগ ন্যাচারাল পারফরম্যান্স!
SINPAT is 100% raw, 100% honest & 100% root level এর গল্প বলা একটা বাংলাদেশী সিরিজ! বাংলা কিংবা বাংলাদেশী কনটেন্ট বিবেচনায় একদম ফ্রেশ কিছু!
রেটিং: ৯/১০