মালতীরা প্রিয় থেকে যায়
মালতীকে পরিচিত করানো যায় রবিঠাকুরের কবিতা দিয়েই ‘পরনে ঢাকাই শাড়ি কপালে সিঁদুর’..
মালতী প্রিয় থেকে যায় কারণ মালতী যতক্ষণ সম্ভব জীবনের সাথে লড়ে যায় জীবন যতই সংগ্রামমুখর হোক না কেন!
মালতী স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নকে সফল করতে এগোতে থাকে পথে বাধা আসলে ভয় পায় না, বাধাকে জয় করতে মালতী আরো এগিয়ে যেতে থাকে।
মালতী ভালোবাসে, ভালোবাসার ফসলকে জীবনের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তু ভাবে আর তার স্বপ্ন আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়।
মালতী পোড় খায় নিয়তির হাতে, সে নিঃস্ব হতে হতেও আরো বেশি বাস্তবকে বরণ করে আবার লড়তে থাকে এতই তার মনোবল।
মালতী প্রশাসনের মারপ্যাঁচের কাছে ধরা পড়ে যায় কাগজের জোরে যারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে মালতী দাঁড়িয়ে যায়।
মালতীকে আটকাতে নতুন নতুন শক্তির উদয় ঘটে তবুও মালতী আটকায় না কারণ সে লড়াকু।
মালতী তালাবন্ধ ঘরের ভেতরে ঢোকার জন্য আকুল, সেই ঘরই তার বাস্তবতার উপাদান যেখানে মালতীর সামনে সবসময় একটা দরজা দাঁড়িয়ে থাকে। ঠকঠক আওয়াজ হয় না সে দরজার তবুও তা শক্তিশালী বাস্তবতার ভেতরে।
- লেখাটা ভালো হয়নি তবে লাভ সাইনটা ভালো হইছে
- লাভটাই মেইন
মালতী ‘লাভ সাইন’-কেই তার সমস্ত সত্তায় ধারণ করে এগিয়েছে যেখানে ভালোবাসার জন্য সে সব বাস্তবতা হাসিমুখে মেনে নিয়েছে। - একটা সেলাই মেশিন কিনা দাও নায়িকা শাবানার মতো সেলাই করতে করতে বড়লোক হয়ে যামু
- নায়ক জসিমের মতো ঠেলাগাড়ি চালিয়ে আমিও ভাগ্য বদলামু
শাবানা মালতীকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে জীবনে বড় হওয়ার তার জসিমের প্রতিষ্ঠার জন্য। শাবানা, জসিম ও মালতী পারস্পরিক এক নির্ভরতা যেন গল্পে।
মালতীরূপে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো মালতীকে জীবন্ত করে তুলে ধরে পর্দায় প্রথমবারই জিতে গেছে মেহজাবিন।
‘মালতী’-কে জীবন্ত করে সংলাপে, অভিনয়ে, কারিগরি কাজে সর্বেসর্বা করেছে শঙ্খ দাশগুপ্ত।
আর মালতী-রা প্রিয় থেকে যায় আমাদের সত্তায় সংগ্রামী নারীর প্রতিচ্ছবিতে যাকে কবি বলেন-
‘তাজমহলের পাথর দেখেছ দেখিয়াছো তার প্রাণ
অন্তরে তার মমতাজ নারী বাহিরেতে শাজাহান’
সব শাজাহানের জন্য একজন করে মালতী থাকুক।
রেটিং – ৮.৫ /১০