‘মুক্তির গান’র বিপুল ভট্টাচার্য আর নেই
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী বিপুল ভট্টাচার্য আর নেই। প্রায় তিন বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার (৫ জুন) সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিপুল ভট্টাচার্য একাধারে একজন গণসঙ্গীতশিল্পী, লোকসঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীতশিক্ষক ও সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৭১ সালে কণ্ঠযোদ্ধা বিপুল ভট্টাচার্যের বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। সেই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিপুল ভট্টাচার্যের গাওয়া গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তার দেশপ্রেমমূলক এবং বিদ্রোহাত্মক গানে শরণার্থী শিবিরের হাজার হাজার মানুষের মনে সাহস সঞ্চারিত হয়েছিল। তিনি মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থার সদস্য ছিলেন। তিনি গানে গানে যুদ্ধ করেছিলেন।
তারেক মাসুদ পরিচালিত ‘মুক্তির গান’ নামক চলচ্চিত্রে তার কাজ তুলে ধরা হয়েছে। ‘মুক্তির গানে’ ১১টি গান আছে। এর অধিকাংশই লোকসুরভিত্তিক। এ গানগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সব গানই বিপুল ভট্টাচার্য গেয়েছেন। ‘মুক্তির গান’ ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায়। ‘মুক্তির গান’র গানের কথাগুলো লিখেছিলেন মোশাদ আলী। বিপুল ভট্টাচার্যের একক কণ্ঠেই গানগুলো রেকর্ডিং করা হয়েছিল।
‘মুক্তির গান’র প্রতিটি গানই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। বিপুলের গাওয়া ‘এই না বাংলাদেশে গাইতে রে, দুঃখে আমার পরান কান্দেরে’ গানটি কোনোদিন ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ‘৭১-এ বিপুলের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সত্যিই যেন গর্জে উঠেছিল।
এক পলকে বিপুল ভট্টাচার্য
নাম : বিপুল ভট্টাচার্য
জন্ম : ১৯৫২ সাল
জন্মস্থান: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়
সহধর্মিণী : কুমকুম ভট্টাচার্য
সন্তান : এক ছেলে এক মেয়ে
অর্জন : ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় লোকসঙ্গীত বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান : ১৯৭১ সাল
পেশা : সঙ্গীতশিল্পী এবং সঙ্গীতশিক্ষক
বয়স : ৬১ বছর
মৃত্যু : ৫ জুলাই, ২০১৩
জন্ম : ১৯৫২ সাল
জন্মস্থান: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়
সহধর্মিণী : কুমকুম ভট্টাচার্য
সন্তান : এক ছেলে এক মেয়ে
অর্জন : ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় লোকসঙ্গীত বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান : ১৯৭১ সাল
পেশা : সঙ্গীতশিল্পী এবং সঙ্গীতশিক্ষক
বয়স : ৬১ বছর
মৃত্যু : ৫ জুলাই, ২০১৩
সুত্র: যায় যায় দিন