Select Page

‘মুখ ও মুখোশ’ নির্মাণকালে দেশে সিনেমা হল ছিল ৯০টি!

‘মুখ ও মুখোশ’ নির্মাণকালে দেশে সিনেমা হল ছিল ৯০টি!

দেশে একসময় ১২০০ থেকে ১৪০০ সিনেমা হল ছিল; এমনটা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু এখন নিয়মিত সিনেমা হলের সংখ্যা ১০০ এর নিচে নেমে এসেছে। কয়েক বছর আগেও ঈদের মৌসুমে ২৫০ প্রেক্ষাগৃহের কথা শোনা গেলে, এখন সেই সংখ্যা টেনেটুনে ১৫০ এর ঘরও পার করতে পারে না।

১৯৫৬ সালে মুক্তি পায় ঢাকার প্রথম সবাক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আবদুল জব্বার খানের ‘মুখ ও মুখোশ’। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিনেমাটির নির্মাণ শুরু হয়। এ নির্মাতার জবানিতে জানা যায়, ১৯৫৩ সালের এক ঘটনায় ‘মুখ ও মুখোশ’ নির্মাণের চ্যালেঞ্জ হাতে নেন তিনি। তখন দেশে ভারতীয় ও পশ্চিম পাকিস্তানি ছাড়াও বিদেশী সিনেমা প্রদর্শিত হবে। ওই সব সিনেমা দেখানোর জন্য ‘পূর্ব পাকিস্তানে’ প্রেক্ষাগৃহ ছিল ৯০টির মতো। অবাক করা বিষয় হলো, সেই ঘটনার ছয় দশক পরও বাংলাদেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ৯০ এ নেমে এসেছে।

পূর্ব পাকিস্তান শব্দটিতে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করার কারণ হলো নিচে উল্লেখিত তথ্যসূত্রে সুনির্দিষ্টভাবে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নেই, সেখানে বলা হয়েছে ‘দেশে’।

সাযযাদ কাদির সম্পাদিত পাক্ষিক তারকালোক পত্রিকার ১৫-৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ এবং ১-১৪ জানুয়ারি ১৯৮৭ সংখ্যায় আবদুল জব্বার খানের আত্মকথা ‘আমার কথা’ শিরোনামে ছাপায় হয়েছে।

সেখানে তিনি বলেন, “১৯৫৩ সালের জানুয়ারি। পরিসংখ্যান বিভাগের ডাইরেক্টর ড. আবদুস সাদেক একটা মিটিং ডাকলেন। দাওয়াটা ছিল চা-চক্রের। এতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সংম্পাদক সিনেমা হলের মালিক, পরিবেশক প্রমুখ। আমি ও নুরুজ্জামান সাহেবও গেলাম। তখনকার সেক্রেটারিয়েট, ছনের ঘর। এর ভেতর ৪০/৫০ জন লোক। সাদেক সাহেব খুব আবেগপ্রবণ ভাষায় বললেন, ‘আমাদের দেশে ৯০টি সিনেমা হল আছে। এগুলোতে লাহোর, কোলকাতা, বোম্বের ছবি চলে। চলচ্চিত্র শিল্পকে গড়ে তুলতে, হলগুলোকে বাঁচাতে হলে আমাদের পূর্ব পাকিস্তানে ছবি তৈরি করতে হবে।”

গত দুই দশকে দেশে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছর সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা এলেও এ খাতে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তবে ধীরে ধীরে আকার বড় করছে দেশের প্রথম ও একমাত্র মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স।


Leave a reply