Select Page

যাপিত জীবন: শুটিং চলছে বাবা-মেয়ের প্রথম ছবির

যাপিত জীবন: শুটিং চলছে বাবা-মেয়ের প্রথম ছবির

কথাসিাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানে ‘যাপিত জীবন’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। ছবির নায়িকা হিসেবে নিয়েছেন মেয়ে আশনা হাবিব ভাবনাকে। তাদের শোবিজ ক্যারিয়ার পুরোনো হলেও বাবা-মেয়ে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করছেন।

উপন্যাসটি সেলিনা হোসেন রচনা করেন সত্তরের দশকে। যেখানে উঠে এসেছে ব্রিটিশ ভারত ভাগের যন্ত্রণা আর পাকিস্তানী শাষক গোষ্ঠীর বাংলা ভাষাকে কণ্ঠ রোধ করবার চেষ্টা।

গত ২২ নভেম্বর রাজবাড়ি জেলায় শুরু হয়েছে ‘যাপিত জীবন’ এর দৃশ্য ধারণ। টানা শুটিংয়ে প্রথম লটের কাজ শেষ হবে। সব ঠিক থাকলে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে হবে শুটিং।

যেহেতু ৭০ বছরের আগের প্রেক্ষাপট, তাই শুটিং সেটও চাই সেই সময়ের! চরিত্রের পোশাকপরিচ্ছদ থেকে শুরু করে আসবাব- সমস্ত কিছুই হওয়া চাই নিঁখুত। সেভাবেই প্রস্তুতিও নেয়া।

মেয়ে ভাবনাকে দিয়ে ‘যাপিত জীবন’ এর ক্যামেরা ওপেন করেন হাবিব। প্রথম দৃশ্যে ভাবনা ছাড়াও শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, আবুল কালাম আজাদ, তূর্য, সাদ সহ বেশ কয়েকজন।

এই সিনেমায় আরো আছেন ডলি জহুর, আফজাল হোসেন, রোকেয়া প্রাচী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, গাজী রাকায়েত, তানভীর হোসেন প্রবাল, অতিথি শিল্পী হিসেবে আছেন কাজী হায়াৎ। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর যুবক বয়সের চরিত্রে আছেন সমাপ্তি মাসুক।

পিরিওডিক্যাল সিনেমা বলে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও আত্মবিশ্বাসী নির্মাতা। চ্যানেল আইকে বলেন,‘কঠিন জার্নি মনে হচ্ছে, বিশেষ করে সেই সময়টাকে ধরা। ৭০ বছর আগের সবকিছু তুলে ধরা, চায়ের কাপ থেকে শুরু করে সবকিছু। আর্টিস্ট কোনো কিছু নিয়ে এসে অভিনয়ের সুযোগ এই সিনেমায় পাচ্ছেন না। সবকিছু অ্যারেঞ্জ করতে হচ্ছে আমাদেরই। অসম্ভব চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও সেই সময়ের কাছাকাছি যেতে পারছি বলে মনে হচ্ছে।’

মেয়ে ভাবনা প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘আমার কন্যা হিসেবে বলছি না, ও অসম্ভবরকম সহায়তা করছে আমাদের। প্রথম দিন ভোরবেলা শুটিং ছিলো। কিছুটা শঙ্কা ছিলো। কিন্তু শুটিং শুরুর ভোরে সবার আগে উঠেছে সে। উল্টো আমাকেই কল টাইম সম্পর্কে অবহিত করেছে। আমি খুব আবেগ আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম। বাবার সিনেমা মনে করে সবার শেষে উঠতে পারতো, সেটে আসতে পারতো সবার শেষে, সবার শেষে মেকাপ করতে পারতো- কিন্তু সেটা সে করেনি। তার এমন পেশাদারী আচরণ আর সিনেমা নিয়ে তার এমন আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি।’

এর আগে কিছু নাটক ও ‘রাত্রীর যাত্রী’ নামের সিনেমা নির্মাণ করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব।


Leave a reply