যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ‘আপনজন’ চিনলেন শাকিব খান
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আপন মানুষের দেখা যেমন পেয়েছেন শাকিব খান, তেমনি এত দিন যাদের আপন মনে করতেন, তারা কেউ তাঁর সত্যিকার অর্থে আপন ছিলেন না বলেও জানান দেশের চলচ্চিত্রের এই প্রভাবশালী তারকা।
৯ মাস যুক্তরাষ্ট্রে থেকে প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করে মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বিমানে চড়েছেন জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।
এই ৯ মাসে সেখানে অনেক মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ তৈরি হয়েছে, যারা তাকে পরিবারের মানুষ ভেবে আপন করে নিয়েছেন এবং সমর্থন করেছে মানসিকভাবেও। এই উপলব্ধির কথা তিনি জানিয়েছেন তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।
শাকিব খান লিখেছেন, ‘জীবন যখনই আমাকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে অথবা নিজেই যখন নিজেকে ভেঙে গড়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছি— ওপরওয়ালার রহমতে এবং আমার লাখো–কোটি ভক্তের ভালোবাসায় সব সময় আমি জয়ী হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে বিগত ৯টা মাসও আমার জীবনে ছিল একটি চ্যালেঞ্জের মতোই এবং আবারও আমি আপনাদের ভালোবাসায় তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।’
‘এই ৯ মাস ছিল অনেকটা অদৃশ্য শিকলে বাঁধা পড়ে থাকা জীবনের মতো। খেয়াল করেছি, মহান ব্যক্তিরা যখন বড় কিছু করেন, তার আগে এমন বিচ্ছিন্ন থাকেন! তারা যখনই নতুন উপলব্ধি নিয়ে আবার শুরু করেন, তখনই তাঁদের সকাল!’
‘দূরদেশে এ সময় অনেককে পেয়েছি, যারা আমাকে তাদের পরিবারের মানুষ ভেবে আপন করে নিয়েছে, সাপোর্ট দিয়েছে মানসিকভাবে। অন্যদিকে এ–ও বুঝেছি, যাদের এত দিন আপন মনে করতাম, তারা কেউ কেউ সত্যিকার অর্থে আমার আপন ছিল না। এর মাঝেও আমার এগিয়ে চলার এই জীবনে অন্ধের মতো সবচেয়ে বড় সাপোর্ট ছিল, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা লাখো-কোটি ভক্ত-অনুসারী—যারা সব সময় আমার পাশে থেকেছে, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসেছে।’
শাকিব জানান, নিজেকে নিজে ভালোভাবে চেনা ও জানার তাঁর দূরদেশে থাকা সময়টা দরকার ছিল। তিনি বলেন, ‘কেন জানি মনে হয় নিজের জীবনদর্শন, বাস্তবতা ও সবকিছুকে নতুন করে চেনা-জানা এবং বোঝার জন্য আমার এই পরিবর্তন ভীষণ প্রয়োজন ছিল। এ সময় খুব কাছ থেকে নিজের জীবনের সবকিছু নতুন করে কল্পনায় এঁকেছি, যেমনটা সিনেমায় করে থাকি। সময়টা আমাকে পৃথিবী ও নিজের সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করেছে।’
গেল বছরের ১২ নভেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন শাকিব খান। চ্যানেল আইয়ের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে যান এ ঢালিউড তারকা। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও দেশটিতে গ্রিন কার্ডের আবেদনের কারণে তখন আর দেশে ফেরা হয়নি তার। গ্রিন কার্ডের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় নিউইয়র্ক সময় গত ২৯ জুলাই।
গেল ৯ মাসের মধ্যে শাকিব খান নিউইয়র্কে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নতুন ছবি ‘রাজকুমার’–এর মহরতও করেন। এ ছাড়া সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি ‘মায়া’ (সম্ভাব্য নাম)–এর কাজ খুব শিগগির শুরু করবেন।