Select Page

যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়াই শাকিবের লক্ষ্য?

যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়াই শাকিবের লক্ষ্য?

একজন পরিচিত সিনে সাংবাদিকের ওয়াল থেকে তথ্য পেলাম আমাদের নায়ক শাকিব খান আমেরিকায় স্থায়ী হবার জন্য অ্যাপ্লাই করেছেন। আমাদের ক্রিকেটের সেরা ব্র্যান্ড সাকিব আল হাসানের আমেরিকা ভিজিটের নমুনা দেখে মনে হচ্ছে সেও মাইন্ডসেট করেছে ওখানেই স্থায়ী হবার। এ বিষয়ে আগেও লিখেছি আবারও লিখছি। লুটেরা ব্যাংক ডাকাত আর টাকা পাচারকারীদের কথা আলাদা। সুযোগ পাওয়া মাত্রই আমাদের দেশের স্পোর্টস আর বিনোদন সেক্টরের সেলিব্রিটিগণ আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছেন ইউরোপ আমেরিকা কানাডা অষ্ট্রেলিয়ার মত সোশ্যালি সিকিওরড দেশগুলোতে। এই ধরনের মাইগ্রেশন নতুন কিছু নয়, এক পা দেয়া আছে দেশের বাইরেই। উদাহরণের চেয়ে দেশান্তরীর তালিকা আরও সমৃদ্ধ— এ কথাগুলো গায়ক আসিফ আকবরের। চলতি মাসেই ফেসবুকে কথাগুলো লেখেন তিনি।

অবশ্য শাকিবের আমেরিকাবাসী হওয়ার স্বপ্ন আরও পুরোনো বলে জানায় সংবাদমাধ্যমগুলো। যেমন; গত বছরের ১২ জানুয়ারি ‘আমেরিকায় স্থায়ী হচ্ছেন শাকিব খান’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করে জাগো নিউজ, যা বেশ হইচই ফেলে দেয় ঢালিউডে। তখন নিজের বক্তব্যে সেই গুঞ্জনকে হেসে ‘ভুয়া’ ও ‘মনগড়া সংবাদ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন শাকিব খান। প্রকাশ করেছিলেন ক্ষোভও।

কিন্তু চ্যানেল আই-এর মিউজিক অ্যাওয়ার্ডকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে শাকিবের আমেরিকা সফর ও সেখানে টানা ছয় মাস থাকার খবর প্রকাশের মধ্য দিয়ে একই গুঞ্জন উঠেছে। এমনকি সেই খবর স্বীকার করেছেন নায়কের এক প্রযোজক।

শাকিবের হাতে থাকা অন্যতম ছবি এসএ হক অলিকের ‌‘গলুই’। সপ্তাহ দুয়েকের কথা বলে নায়ক দেশ ছাড়লেও সহসা আসছেন না শুনে এরমধ্যেই এই নির্মাতা পৌঁছেছেন নিউ ইয়র্কে। তিনি শুধু ডাবিংয়ের জন্য নায়কের কাছে ছুটে গেছেন।

এ প্রসঙ্গে ছবির প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু জানালেন, ‘শাকিব আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন। যে কারণে তাকে ছয় মাস সেখানে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে এক মাস হয়েছে। যদি সব ঠিকঠাক থাকেও তাও মিনিমাম আরও চার মাস তাকে সেখানে থাকতে হবে।’

এদিকে জানা যায়, একটি নয়, দুই বা ততধিক ছবির শুটিং আমেরিকায় করবেন শাকিব খান। এরমধ্যে দুটি সিনেমা পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ। যার একটির নাম ‘মায়া’।

শাকিবের ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন, এবার নায়কের পরিকল্পনা বেশ সুদূরপ্রসারী। শুধু ছবিতে অভিনয় নয়, চাক্ষুষ দাঁড়িয়ে ব্যবসা করতেই নিজের এসকে ফিল্মস থেকে চারটি ছবি নির্মাণের কথা ভাবছেন। এরমধ্যে একটি অথবা দুটি সিনেমার শুটিং, এডিটিং ও ডাবিং শেষে আগামী রোজার ঈদে সেখানকার হলে মুক্তি দেবেন কিং খান। আর সেই ব্যবসার লাভসমেতই দেশে ফেরার পরিকল্পনা তার। সঙ্গে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের সনদটাও হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা তার। 

অবশ্য শাকিব নিজেই সে ইঙ্গিত দিয়েছেন। নিউ ইয়র্কে অংশ নেওয়া একটি পুরস্কার অনুষ্ঠানে গত ১৪ নভেম্বর জানান, যুক্তরাষ্ট্রে তিনি রোজার ঈদ উদযাপন করতে চান এবং ঈদ উপলক্ষে একটি সিনেমা করতে চান, যেটি বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও মুক্তি পাবে। তবে সেটা যে এতটা পরিকল্পিত তা হয়তো হাত দূরত্বে থাকা মানুষটিও বুঝতে পারেননি!

ঢাকার টিভি ও সিনেমার তারকাদের বিদেশপ্রীতি অন্যান্য ক্ষেত্রের ভিআইপিদের চেয়ে কম নয়। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় থিতু হয়েছে কয়েক ডজন তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের আছেন বাংলা সিনেমার বড় মুখ শাবানা। বর্তমানে মেয়েকে নিয়ে সে দেশে অবস্থান করছেন মৌসুমী, তার মেয়ে জন্মসূত্রে সে দেশের নাগরিক। অন্যদিকে অনেকদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন শাবনূর।

তবে শাকিবের যুক্তরাষ্ট্রের থিতু হওয়া নিয়ে গুঞ্জনের নানান কারণ রয়েছে। এর একটি হলো, এ নায়কের ওপর ঢালিউডের নির্ভরশীলতা।

/ফেসবুক,জাগো নিউজ ও বাংলা ট্রিবিউন


মন্তব্য করুন