Select Page

যে কারণে ধন্যবাদ পাবেন প্রিয়তমা ও সুড়ঙ্গের নির্মাতা

যে কারণে ধন্যবাদ পাবেন প্রিয়তমা ও সুড়ঙ্গের নির্মাতা

অন্য যেকোনো ব্যবসার মতো সিনে ব্যবসায়ও ভোক্তাদের শিডিউল মতো পণ্য সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু বাংলা সিনেমা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। একটি সিনেমার ঘোষণা আসে; শুটিং শুরু ও শেষ হয়— এর পর বারবার মুক্তির তারিখ ঘোষিত হয়। কিন্তু সিনেমা আলোর মুখ দেখে না। আর যখন মুক্তি পায়, ততদিনে দর্শকের বড় অংশ মুখ ফিরিয়ে নেন।

নিয়মানুবর্তিতা না থাকা যেন সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। বড় তারকা বা বড় নির্মাতা কেউ এই ঢিলেমির বাইরে নেই। এই দিক থেকে ধন্যবাদ পেতে পারেন ঈদুল আজহায় মুক্তি প্রতীক্ষিত দুই সিনেমার ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’-এর নির্মাতা।

অবশ্য প্রিয়তমার ঘোষণা এসেছিল বছর ছয়-এক আগে। সে সময় নায়িকা নির্ধারিত ছিলেন শবনম বুবলি। এই নিয়ে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সাবেক স্বামীর জটিলতাসহ নানান কাহিনি সবাই জানে। কিন্তু হিমেল আশরাফের ‘প্রিয়তমা’ যে আলোর মুখ দেখবে সেটা খুব কম দর্শকই বিশ্বাস করেছিলেন। এবার ঘোষণা তাই সবাইকে অবাক করেছে।

গত এপ্রিলের শেষ দিকে ‘প্রিয়তমা’র ঘোষণা দেন হিমেল আশরাফ। জানান, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এত অল্প সময়ে সিনেমা বানিয়ে মুক্তি দেয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল সবার মাঝে। কিন্তু সবার আন্তরিক শঙ্কাকে আশাবাদে পরিণত করল। অন্তত শাকিবের সাম্প্রতিক আর কোনো সিনেমা নিয়ে এতটা হাইপ উঠেনি। এরই মধ্যে পোস্টার, ফার্স্টলুক বা গান আলোচনা জুগিয়েছে। দু-একটা প্রচার ভিডিওতে দেখা গেছে শাকিবকে, উল্টো দিকে ঘনঘন বিভিন্ন মিডিয়ায় মুখ দেখেছিলেন পরিচালক হিমেল আশরাফ। পোস্ট-প্রডাকশন বাকি থাকতেই মিলেছে সেন্সর সনদ। ঈদের আর দুদিন বাকি থাকলেও টিজার বা ট্রেলার মুক্তি পায়নি। অন্তত ততটা সময় মেলেনি সিনেমার টিমের। এমন অপেশাদার আচরণ সত্ত্বেও শিডিউল মোতাবেক ‘প্রিয়তমা’ মুক্তির জন্য ধন্যবাদ জানাতে হয় নির্মাতাদের।

এদিকে গত নভেম্বরের শেষ দিকে আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’র ঘোষণা দেন রায়হান রাফী। তখন অবশ্যই ঈদ বললেও নিশ্চিত করেননি কোনটি। তবে ঈদুল আজহার বেশ আগেই তারা ধাপে ধাপে কাজ শেষ করেছেন। বিভিন্ন প্রচার কনটেন্ট থেকে মনে হচ্ছে, রাফীর সাম্প্রতিক ওয়েব কনটেন্টের মতো তাড়াহুড়ো ছিল না। সেই দিক থেকে শিডিউল মেনে ঈদের আগেই একাধিক প্রচার উপকরণ রিলিজ করেছেন। যদিও তারা ট্রেলার মুক্তি দিতে পারেননি। কিন্তু টিজার, গান, পোস্টার দর্শকদের আকর্ষিত করেছে।

সিনেমা পুরো সেদ্ধ না আধা সেদ্ধ সেটা মুক্তির বোঝা যাবে। তার আগেই নির্মাতাদের ধন্যবাদ জানানো যেতেই পারে। এভাবে যদি অন্য নির্মাতাও একটা শিডিউল লক্ষ্য করে পরিকল্পনা মতো সিনেমা মুক্তি দেন- তাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কিছুটা হলেও বদলাবে। আসবে পেশাদারিত্ব।


Leave a reply