Select Page

ছাড়পত্র পেয়েছে ‘খাঁচা’, ডিসেম্বরে মুক্তি

ছাড়পত্র পেয়েছে ‘খাঁচা’, ডিসেম্বরে মুক্তি

৩১ আগস্ট সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে আকরাম খান পরিচালিত ‘খাঁচা’।  ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া ভাগের ওপর ভিত্তি করে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক রচিত একই নামের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। নির্মাতা জানিয়েছেন ডিসেম্বরেই মুক্তির পরিকল্পনা করছেন। খবর বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

২০১১-১২ সালে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন, “চলচ্চিত্রটির অনুদান যখন আমরা পাই, তখন আমি আমার চলচ্চিত্র ‘ঘাসফুল’ নির্মাণ করছিলাম। সে কারণে এ ছবিটা শেষ করে ‘খাঁচা’ নির্মাণকাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়। ‘ঘাসফুল’ নির্মাণের পর আমি কিছুটা অর্থনৈতিক সংকটেও পড়ি। আমরা যে ধরণের ছবি করি তাতে তো আসলে টিকেটের টাকা থেকে লগ্নি উঠে আসা সম্ভব নয়। ফলে একটি চলচ্চিত্র শেষ করার পর দীর্ঘদিন একটা খারাপ সময় যায়। অনুদানের টাকায় তো পুরো ছবি নির্মাণ সম্ভব নয়। ফলে নতুন করে অর্থায়ন যুক্ত করতেও কিছুটা সময় লাগে।”

সিনেমাতে দেখা যাবে, ১৯৪৭ সালে অম্বুজাক্ষের পরিবার তাদের বসত-ভিটা বিক্রি করে দিয়ে ভারতে চলে যেতে চায়। ভারত থেকে আসা মুসলিম পরিবারগুলো অম্বুজাক্ষদের বাড়ি কিনতে এসে ফিরে যায়। অম্বুজাক্ষ স্বপ্ন দেখে, ভারতে গেলে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। সরোজিনী নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আগলে রাখে অম্বুজাক্ষের সংসার। দিনবদলের স্বপ্ন তার চোখে।

শুধু লগ্নিই নয়, ১৯৪৭ সালের প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্রটির লোকেশন বাছাই নিয়েও দুর্ভোগে পড়তে হয় নির্মাতাকে। তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে একটা পরিবারকে দেখিয়েছি, এমন একটা গ্রাম ও একটা পড়ো বাড়ি দরকার ছিলো, যাতে সময়টা ধরা যায়। এমন একটা জায়গা খুঁজে পেতেও দেরি হয়ে যায়। প্রায় দুই বছর খোঁজাখুঁজির পর লোহাগড়ার ইটনা নামের একটা জায়গায় আমরা লোকেশন স্থির করি। নাটোরের রানীভবানীর জমিদার বাড়ির কিছু অংশে, দোহারেও একটা জায়গায় আমরা শুটিং করি।”

সিনেমাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া আহসান, আজাদ আবুল কালাম, মামুনুর রশীদ, আতাউর রহমান, কায়েস চৌধুরী. পিদিম ও রাণী সরকার। চলচ্চিত্রটিতে ব্যাবহৃত দুটি গানে খালি গলায় কণ্ঠ দিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাগরিকা জাহান।


মন্তব্য করুন