হল থেকে আয় না করেও যেভাবে ‘আব্বাস’ ব্যবসাসফল
গত বছর মুক্তি পায় সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘আব্বাস’। নিরব ও সোহানা সাবা অভিনীত সিনেমাটির সাকসেস পার্টি করলে অনেকেই চোখ কপালে তুলেছিলেন। প্রেক্ষাগৃহ থেকে সিনেমাটিতে লগ্নিকৃত অর্থ তুলে আনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা।
সম্প্রতি চ্যানেল আই অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘আব্বাস’-এর সাফল্য নিয়ে মুখ খোলেন সাইফ চন্দন।
তিনি বলেন, “৩২ লাখ টাকা বাজেটের ছবি ‘আব্বাসে’ ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ ছবি নয়। বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করার ফলে টাকা উঠে আসে। ডিজিটাল রাইটস, বেঙ্গলগ্রুপ, স্টার পাইপসহ কয়েকটা স্পন্সর মিলিয়ে ২৭ লাখ টাকা পাই। এছাড়া প্রথম সপ্তাহে হল থেকে পাই ১২ লাখ টাকা। পরে একমাস অল্প কয়েকটা হলে চলেছিল। ৫০ হাজার, ৮০ হাজার করে কয়েক কিস্তিতে টাকা পেয়েছি। সিনেমা হল থেকে পুরো টাকা তুলতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই। আমার খরচ হয়েছিল যেটা সেটা বিভিন্নভাবে তুলে নিয়েছি। তাই আবার বলছি, আব্বাস পুরোপুরি ব্যবসাসফল ছবি।”
বর্তমানে ‘ওস্তাদ’ নামের আরেকটি সিনেমা বানাচ্ছেন সাইফ চন্দন। এ সিনেমা সম্পর্কে জানান, মুক্তির আগেই লগ্নির অর্ধেকের কাছাকাছি বেশি টাকা ঘরে চলে এসেছে!
চন্দন বলেন, “নির্মাণাধীন ‘ওস্তাদ’ ছবিও ৪০ লাখ টাকার ছবি। তাই বলে ছবির কোথাও অ্যারেঞ্জম্যান্ট বা শিল্পী তালিকা দূর্বল মনে হবে না। আমার কাজের পলিসি খুব সহজ। যে কয়দিন শুটিং করি শিল্পীদের কল টাইম থাকে সকাল ৬ টায়, আর প্যাকাপ টাইম রাত ১১ টায়। একটু কষ্ট হয় কিন্তু টাকা নষ্ট করতে তার চেয়ে বেশী কষ্ট হয়। এভাবে কাজ করলে কম টাকায় ছবি সম্ভব।”
আরও বলেন, “ওস্তাদ’ ছবিতে খরচ হচ্ছে ৪০ লাখ টাকার মতো। শুটিং শেষের আগেই ১৮ লাখ টাকার মতো ডিজিটাল রাইটস, স্পন্সর দিয়ে তুলে নিয়েছি।”
লকডাউনের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলেন, “সিনেমার চিত্রনাট্য ও গল্প প্রেজেন্টেশনের উপর অনলাইন কোর্স করেছি। করোনায় ঘরবন্দী সময়ে মাথায় নতুন নতুন গল্প এসেছে। নতুন একটির চিত্রনাট্য শেষ করেছি। কোরবানি ঈদের পরই কাজ শুরু করবো। আরও একটা ছবির চিত্রনাট্যের লাইন আপ শেষ করেছি। সেপ্টেম্বর এটার কাজ শুরু হবে। লকডাউনের মধ্যেই প্রযোজককে গল্প দিয়েছি। উনি পছন্দ করেছেন এবং সাইনিং মানিও পাঠিয়েছেন।”