Select Page

পরিকল্পনার এক দশক পর আলোর মুখ দেখছে ‘কাজল রেখা’

পরিকল্পনার এক দশক পর আলোর মুখ দেখছে ‘কাজল রেখা’

‘মনপুরা’র মতো ব্লকবাস্টার উপহার পেয়েও গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দ্বিতীয় সিনেমার জন্য প্রায় এক দশক (স্বপ্নজাল) অপেক্ষা করতে হলো দর্শকদের। ছবিটি প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলেও সেলিমের চার্ম ঠিকই বজায় ছিল। কিন্তু ‘কাজল রেখা’র কী হলো?

হ্যাঁ, ‘মনপুরা’র পরপরই সেই ছবির ঘোষণা দেন ছোটপর্দা থেকে জনপ্রিয়তা পাওয়া নির্মাতা। কলকাতার নায়িকা রিয়া সেনকে নাম ভূমিকায় রাখার ঘোষণাও শোনা যায় সেই সময়।

২০০৯ সালে ডিসেম্বরে সেলিম প্রথম আলোকে জানান, পরের বছরের আগস্ট নাগাদ ছবির কাজ শুরু করবেন। বলেন, “ছবির প্রস্তুতি নিতেই এ সময়টা লাগবে। আজ থেকে ৫০০ বছর আগের সময়ে ফিরে যেতে হবে আমাকে। তাই লোকেশনের একটা ব্যাপার আছে। ওই সময়ের আবহ কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে হবে। ছবির গানের জন্য ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে সুর সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেসব থেকে গবেষণা করে ‘কাজল রেখা’র গান তৈরি করব।”

ময়মনসিংহ গীতিকার ‘কাজল রেখা’ পালা থেকেই ছবির গল্প নিচ্ছেন সেলিম। বললেন, ‘ওই সময় নয় বছর বয়স হলেই সমাজের নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ে দিতে হতো। কাজল রেখার বয়স যখন নয় হয়, তখন এক নতুন গল্প তৈরি হয়। এটাই আমার ছবির মূল গল্প। ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ বিন্যাস করছি আমি নিজেই।’

২০১৫ সালে ইত্তেফাককে বলেন, “… খুব খারাপ। কারণটা হলো চলচ্চিত্র বানাতে টাকা লাগে। আর এই ছবির বাজেট অনেক বেশি। কিন্তু এতগুলো টাকা আমাকে কোনো প্রযোজক দিতে ভরসা পাচ্ছেন না। যারা আসেন, তারা আরেকটা ‘মনপুরা’ বানাতে বলেন। কিন্তু আরেকটা ‘মনপুরা’ তো আমি বানাব না। কোনো নির্দিষ্ট বৃত্তে বন্দি হবো কেন আমি? আমি শিল্পী, চারপাশে ছড়িয়ে যাব। সে ভাবনা থেকেই ‘কাজল রেখা’ ছবিটি হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটের অভাবে এই ছবির ভবিষ্যত্ নেই বললেই চলে।”

২০১৮ সালে সেলিম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, “মনপুরা’র পর আমি প্রডিউসার পাইনি। ‘মনপুরা’র পর ‘কাজল রেখা’ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু প্রডিউসার পাইনি। অনেকদিন লেইট করেছি, প্রডিউসার না পাওয়ায় সিনেমা করিনি। এরপর ‘স্বপ্নজালে’ হাত দিয়েছি।”

অবশেষে সেই ছবির জন্য সরকারি অনুদান পেলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। কয়েক দিন আগে ২০১৯-২০ সালের জন্য অনুদান পাওয়া ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি ‘কাজল রেখা’।

মাঝে অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন জ্যাকপট নিয়ে বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন সেলিম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান সরে আসলে সিনেমাটি স্থগিত হয়। এ নির্মাতা ‘পাপ পূন্য’ নামে আরেকটি সিনেমা তৈরি করেছেন, যা বর্তমানে রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।


মন্তব্য করুন