যৌথ প্রযোজনাকে প্রতারণাই মনে হয়!
১৩ অক্টোবর এফডিসিতে র্যাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংবাদ সম্মেলন। যেখানে ছবির পাইরেসির বিরুদ্ধে কথা বলেন চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন তারকা। এর মধ্যে ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা মৌসুমী।
পাইরেসি বন্ধে নিজের মন্তব্য প্রকাশের পর যৌথ প্রযোজনার ছবি প্রসঙ্গেও মুখ খুলেন এ তারকা। তিনি বলেন, ‘নানাভাবে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ছবির পাইরেসি হওয়া ও নিয়মনীতি না মেনে যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণ করা। এখন আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র দিয়ে ব্যবসা না হওয়ায় বেশ কিছু দেশের নানা ধরনের ছবি আমাদের দেশে ঢুকছে। যৌথ প্রযোজনার নামে উল্টো নিয়ম চলছে। এগুলোর দিকেও সরকারের খেয়াল করতে হবে। অন্যথায় আমাদের এ শিল্প বেশিদূর এগোতে পারবে না।’
একই প্রসঙ্গে মৌসুমী আরো বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার নামে কী হচ্ছে তা হয়তো আমরা অনেকেই ধরতে পারছি না। কারণ সিনেমায় দেখানো হচ্ছে দুই দেশের আর্টিস্টদের মিলেমিশে নেয়া হচ্ছে। বাহ্যিকভাবে বিষয়টি দেখানো হলেও ফল শূন্য। ছবিতে আমাদের দেশের কোনো টেকনেশিনদের নেয়া হচ্ছে না। আর নিলেও সেটা নামকাওয়াস্তে। যা আমার কাছে প্রতারণা বলেই মনে হয়।’
পাইরেসি নিয়ে এ নায়িকা বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন অনেক ইন্টারন্যাশনাল মানের ছবি হচ্ছে। আগে যেসব ছবি আমরা দেখেছি এবং দেখছি, যেগুলো আমাদের দেশের সম্পত্তি, যেগুলো আমাদের শিল্পের নিদর্শন, সেসব ভালোবাসা অহংকারকে আমরা ধরে রাখতে পারছি না এই পাইরেসির কারণে। আমাদের ব্যবসা দিনদিন পড়ে যাচ্ছে। এই পাইরেসি বন্ধে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন কাজ করছে। শুধু তারা কাজ করলেই হবে না। আমাদেরও তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।’
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ, কর্নেল আনোয়ারুল লতিফসহ টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যসহ চিত্রনায়ক ফারুক, সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী রোজিনা, অঞ্জনা, কেয়া, অভিনেতা ওমর সানী, আমিন খানসহ অনেকেই।