যৌথ প্রযোজনা : এক ফেনসিডিলের নাম
খুব অবাক হচ্ছেন শিরোনাম পড়ে? অবাক হওয়ারই কথা, চলচ্চিত্রের সাথে ফেনসিডিলের সংমিশ্রণ কী করে! আচ্ছা ঠিক আছে, খানিক বাদে না হয় সে কথা আলোচনা হবে। তার আগে ফেনসিডিল সম্পর্কে একটু জেনে আসি।
ফেনসিডিল কী? এক ধরনের ঔষধ; কাশির ঔষধ। এতে থাকে codeine phosphate, pseudoephedrine ও chlorpheniramine maleate। সাধারণত ইন্ডিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশের লোকদের মাঝে এর আসক্তি দেখা যায়। তবে বাংলাদেশেই সেবন খুব বেশি।
এবার ফিরে আসি মূল কথায়, মানে বাংলা চলচ্চিত্রে। বাংলা চলচ্চিত্রের আকাশে বেশ কয়েকবছর ধরেই যৌথ প্রযোজনার ঢাকঢোল শোনা যাচ্ছে। বড় সিনেমা মানেই যৌথ প্রযোজনা। কেউ কেউ তো বলেই দিচ্ছেন যৌথ প্রযোজনা ছাড়া মানসম্মত সিনেমা তেমন হয় না। আচ্ছা, তর্কের খাতিরে সে কথা মেনে নিলাম। ঠিক যেমন মেনে নিয়েছি ‘ফেনসিডিল’ কাশির উপশমকারী সিরাপ। যার অত্যধিক ব্যবহার যেমন একে নেশাদ্রব্যে পরিণত করছে, সেভাবে যৌথ প্রযোজনার লাগামহীন প্রয়োগ ও অপনীতি একে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নেশাদ্রব্যের বস্তুতে পরিণত করছে। বস্তুত ভালো দিকে ব্যবহারের জন্য নীতি নির্ধারণ করা হলেও, ফেনসিডিলের মতো মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে যৌথ প্রযোজনা ‘চলচ্চিত্র আগ্রাসন ব্যাধি’ নামে পরিচিত হচ্ছে।
আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প একসময় খুব মানসম্মত ছিল। ৭০, ৮০, ৯০ দশক এমনকি বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেও আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিন ছিল। ছিল ১০০০ এর উপর হল, মানসম্মত দর্শক, ভালো পরিচালক ও নিখুঁত গল্পের বুনন। সময়ের পরিক্রমায় ও অশ্লীলতার জোয়ারে আমাদের বহুদিনের চলচ্চিত্র ইতিহাস কয়েক বছরে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে। আসলে বাস্তবতা এমনই— দুর্যোগ যখন আসে তখন সবকিছু বিলীন করে দিয়ে যায়, যেখান থেকে কাটিয়ে ওঠা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হলেও অসম্ভব কিছু নয়।
সোনালী যুগের দিনগুলো মনে করা যায়, স্মৃতিচারণ করা যায়, তাই বলে সোনালী অতীত আকড়ে পড়ে থাকলে উন্নতি হবে না। একটা ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে উন্নত করতে পারে তার অন্যতম উদাহরণ মোচওয়ালা, ভুড়িওয়ালা বলে আমাদের দেশের লোকেরা যাদের সিনেমা দেখে নাক সিটকায় সেই সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম ও কন্নড়)। তারা গ্ল্যামারের থেকেও বেশি মনোযোগ দেয় গল্পে, কারণ কাহিনীই সিনেমার প্রাণ। বাদ দিলাম সে কথা— টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির কথা বলি মানে আমাদের মা-বোনের প্রাণের কলকাতা বাংলা সিনেমার কথা। বহুকাল আগে যখন আমাদের এখানে মানসম্মত সিনেমা হতো, তখন সেখানে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রতিনিয়ত ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখার জন্য একের পর এক সিনেমা করে গেছেন। বেহাল অবস্থা যাকে বলে ঠিক তাই ছিল কিন্তু সেখান থেকে তারা উঠে এসেছেন, সেই প্রসেনজিৎ এখনো সিনেমা করেন কিন্তু তার সময়ে কিংবা তার পরে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যারা এসেছেন তাদের অনেকেই এখন চলচ্চিত্র জগৎ থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন। ব্যর্থ হয়েছি আমরা, উন্নত হয়েছে টালিগঞ্জ।
[su_note note_color=”#ecf0f5″ text_color=”#ffffff” radius=”5″]
এই লেখাটি বিএমডিবি ঈদ সংখ্যা ই-বুক ২০১৭ এর অংশ। পুরো ই-বুক টি ডাউনলোড করুন এখানে
ডাউনলোড করুন[/su_note]
তাদের ওখানে যখন নির্মিত হয়েছে ডিজিটাল সিনেমা তখনো আমাদের এখানে চলেছে ৩৫ মি.মি.-এর ছবি। তাদের সিনেমা হলগুলো ভেঙে মাল্টিপ্লেক্স হয়েছে, সিনেপ্লেক্স হয়েছে কিন্তু আমাদের হলগুলো হারিয়ে গেছে। আমরা সিনেমা হল হারিয়েছে কিন্তু জামা-কাপড় কেনার জন্য মল মানে শপিং মল পেয়েছি। শুধু মাঝ দিয়ে সংস্কৃতি প্রদর্শনের স্থান হারিয়েছি। আমরা প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যেতে পারিনি; তারা এগিয়েছে, উন্নত করেছে তাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে। মানছি তারাও সর্বভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষিতে কোনটাসা নানা কারণে, তা সত্ত্বেও এগিয়ে যাওয়াটা চোখে পড়ার মতোই।
আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের এরূপ বেহাল অবস্থা থেকে মুক্তির পথ প্রদর্শন করল তথাকথিত যৌথ প্রযোজনা। সিনেমার কোয়ালিটি ও নির্মাণশৈলী বাড়লেও কাহিনীতে তেমন বৈচিত্র আসেনি। কপি বা নকল সিনেমা দিয়ে এসব যৌথ প্রযোজনা নির্মিত হলেও বাংলাদেশের কিছু মানুষকে হলমুখী করতে পেরেছে। যৌথ প্রযোজনার একটি ভালো দিক হলেও তার খারাপ দিকগুলো কিছু বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের চোখে ধরা পড়ছে। লেখার শুরুতে বলেছিলাম ফেনসিডিলের কথা, কাশির ঔষধ হিসাবে ব্যবহার শুরু হলেও পরে মানুষ ব্যবহার শুরু করে নেশাদ্রব্য হিসাবে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য যৌথ প্রযোজনা পরোক্ষভাবে কাজ করার কথা থাকলেও তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। ফেনসিডিলের মতো দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের স্বকীয়তা নষ্ট করছে। শুধুমাত্র যৌথ প্রযোজনার জন্য অনেকে দেশের পরিচালকদের ছোট করছেন, নিজের ইমেজ নষ্ট করছেন, বিতর্কিত কথার জন্ম দিচ্ছেন। অনেকটা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো অবস্থা। ভুলে যাচ্ছেন নিজের শেকড়ের কথা, কেউ কেউ আবার যৌথ প্রযোজনার পক্ষ নিয়ে কথা বলে নিজেকে দালাল হিসাবে জনগণের কাছে উপস্থাপন করছেন।
যৌথ প্রযোজনার মধ্যে দিয়ে সব থেকে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। তাদের কাজ ও কথার মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখা গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, জাজ বাংলাদেশে কলকাতার সিনেমার ডিস্ট্রিবিউটর। একথা বলার সুযোগ জাজ নিজেই করে দিয়েছে। কারণ হিসাবে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাবো— ১৯৮৬ সালের নীতিমালায় বলা আছে, যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণে নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলী দুদেশ থেকে সমহারে থাকতে হবে। দু’দেশে শুটিং হতে হবে। কিন্তু ২০১২ সালের পরিবর্তিত নীতিমালায় উল্লেখ আছে দুদেশের নির্মাতা আলোচনার ভিত্তিতে সব বিষয় চূড়ান্ত করবে। আসলে এটি শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নায়ক বা নায়িকা ছাড়া মুখ্য চরিত্রে বাংলাদেশের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না, সেখানে সমহার চিন্তা করাতো অনেক দূরের কথা। আবার এদেশের বাজার ধরার জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নায়ক দিয়ে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করিয়ে একই সাথে মুক্তি না দিয়ে বাংলাদেশে আগে ও ভারতে পরে মুক্তি দেওয়া হয়। হিসাবটাও খুব সোজা, যৌথ প্রযোজনার অধিকাংশ সিনেমার অর্থ লগ্নির বেশির ভাগ করা হয়েছে ওপার থেকে, তাই এদেশের নায়কের সিনেমা ওপারে বেশি না চললেও বাংলাদেশে ঠিকই চলবে। মাঝ দিয়ে ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও তাদের অন্য কলাকুশলীরা আর্থিকভাবে লাভবান হলো। একই সাথে তাদের ব্র্যান্ডিং ও অর্থ উপার্জন দুই থাকল।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের প্রধান নায়ক-নায়িকার সিনেমা আমাদের দেশে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে (আমি শুধু চেয়েছি তোমায়, প্রেম কি বুঝিনি, বস টু)। এতে সুবিধা কী? এক্ষেত্রে সুবিধা দ্বিগুণ বলা যায়। কারণ মূল অর্থ লগ্নিকারী কে, সেটা কেউ জানে না। একই সাথে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে সিনেমা রিলিজ হয়, আমাদের দেশের মানুষের কাছে ওপারের নায়কেরা বেশ জনপ্রিয়, তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে সিনেমা হলে। ওপারে যা ইনকাম হয় তার থেকে কোন অংশে কম ইনকাম বাংলাদেশ থেকে হয় না। ফলাফল আবারো তাদের দেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এবার যদি বলেন তাহলে আমাদের দেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কি কোন লাভ নেই? লাভ ছাড়া কেউ কোন কাজ করে না, সুতরাং তার লাভ আছে। কিন্তু তার লাভ দিয়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কোন উন্নতি হচ্ছে না, এখনো সেই রুচিহীন গল্প কিংবা জোড়াতালি গল্পের সিনেমা চলছে। তাহলে যৌথ প্রযোজনা দিয়ে আমাদের লাভ কী হল? মাঝ দিয়ে দেশের অর্থ অন্যখানে চলে যাচ্ছে, অন্য ইন্ডাস্ট্রি উন্নত হচ্ছে। আর আমরা সেই পূর্বের অবস্থাতে রয়ে গেছি। বরং নিম্ন থেকে নিম্নতর অবস্থায় যাচ্ছি, না হলে আমাদের আর একটা মনপুরা তৈরি হতো, আরো অনেকগুলো আয়নাবাজি, জিরো ডিগ্রী নির্মিত হতো।
যৌথ প্রযোজনা প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করার পরিবর্তে প্রতিযোগিতার মনোভাব নষ্ট করে দিচ্ছে। তার উপর রয়েছে হল নিয়ে রাজনীতি, যৌথ প্রযোজনা হল টিকিয়ে রেখেছে এমন বলা হয়ে থাকলেও আজ পর্যন্ত একটা নতুন হল নির্মাণের কথা শোনা গেল না, উপরন্তু কারওয়ানবাজারের পূর্ণিমা হল এখন বন্ধ!
ব্যাপারটা অনেকটা এমন, যারা ফেনসিডিল খায় তারা প্রথমে এক্সপেরিমেন্ট হিসাবেই শুরু করে, এরপর যখন এর মাদকতা পায় তখন শুরু করে নিয়মিত সেবন। কারণ ফেনসিডিলের প্রভাব যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ সে পৃথিবীর অন্যতম সুখী মানুষ। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক হচ্ছে, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, রুচি নষ্ট হওয়া, এবডোমিনাল পেইন, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া এবং একটা সময় মানসিকভাবেই অসুস্থ্ হয়ে যায়। যে কোন কাজের প্রতিই তাদের আগ্রহ কমে যায়। যার ফলশ্রুতিতে দেখা যায়, ফেনসিডিলখোরদের চাকরি চলে যায়, ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যায়। যৌথ প্রযোজনাও ঠিক ফেনসিডিলের মতো, প্রথমে খুব ভালো লাগবে এক্সপেরিমেন্ট হিসাবে কিন্তু কখন এটি আকর্ষণ তৈরি করে মোহাচ্ছন্ন করে ফেলবে আমাদের দেশের আমজনতা তা বুঝতেও পারবে না। মাঝখান দিয়ে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র।
মূলত অর্থ পাচারের জন্যই ছবিগুলোর বাংলাদেশি ভার্সনে যৌথ প্রযোজনা নাম দেয়া হয়। অর্থ পাচারে এর থেকে ভালো কোন উপায় এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি। তারা আমাদের শিল্পীদের নামে মাত্র কাস্টিং করেন এদেশে বাজার ধরার জন্য। এখানে সংস্কৃতির কোন বিনিময় হচ্ছে না, হচ্ছে শুধু ব্যবসা।
অঞ্জন দত্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা ব্যবসা ‘হুমকি’র মুখে পড়েছে। তামিল ও হিন্দি সিনেমার প্রতিই ঝুঁকছে পশ্চিমবঙ্গের দর্শক। তাই তাদের অনেকের নজর বাংলাদেশের বাজারে।”
এ মন্তব্য অনুধাবন করলেই বোঝা যাবে বাংলাদেশের দর্শকদের প্রতি কলকাতার নির্মাতাদের আগ্রহ ও নজর কতটুকু। সরাসরি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করতে না পারা এসব নির্মাতারা এক প্রহসনমূলক নিয়মের আশ্রয় নিচ্ছেন। যার নাম ‘যৌথ প্রযোজনা’।
যৌথ প্রযোজনার সিনেমার ট্রেলারের দুই দেশের ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে দুই দেশের পরিচালক, প্রযোজক, সংগীতশিল্পীদের নাম থাকবে এমনি আশা করে সবাই। কিন্তু বাস্তবতা হল অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অংশে দুই দেশের নাম থাকলেও ভারতীয় অংশে থাকে না। এমনভাবে ট্রেলার বা পোস্টার প্রচার করা হলে কী করে যৌথ প্রযোজনা হয় তা কোনভাবেই বোধ্যগম্য নয়। আমাদের চোখে কালো চশমা পরিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে বাংলাদেশি নায়কদের পরিচিতি বাড়ানোর লোভ দেখিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে ধ্বংসের নীল নকশা আমাদের অজান্তে এঁকে ফেলা হচ্ছে। কারণ যৌথ প্রযোজনার যাদের হাত ধরে নবজাগরিত হলো, তাদের মুখে এখন শুনতে হয়—
‘ব্যবসা করতে এসেছি, শিল্প চর্চা করতে নয়’
এরূপ বাণী দেওয়া গোষ্ঠীকেও সাপোর্ট দিয়ে এসেছে অনেকে যেন ২-৩টা দেশি সিনেমা দেখতে পারে। সেই আশায় গুড়েবালি, যখন দেখে তারা যৌথ প্রযোজনার নাম করে অত্যন্ত সুকৌশলে ভারতীয় ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছে। কলকাতা দখল করতে গিয়ে হয়তো দেশের শিল্পটা বেচে দিয়ে আসছেন। সেখানে সাথে পাচ্ছেন দেশের সবচেয়ে দামী তারকাদের। তখন আসলেই মন থেকে বের হয়ে আসে—
‘“কবে এই কফিনে শেষ পেরেক ঠুকা হবে।’
যখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বলে কিছু থাকবে না তখন এ শিল্প ধ্বংস হওয়ার গোপন রহস্য কেউ জানবে না, বুঝতেও পারবে না আমরা নিজেদের পায়ে কীভাবে নিজেরা কুড়াল মেরেছি। এতকিছুর পর একটু হলেও কয়েকটা অজ্ঞাতনামা, আয়নাবাজি, মনপুরা, টেলিভিশন, জিরো ডিগ্রী হচ্ছে যেগুলোতে বাংলার ঘ্রাণ পাওয়া যায়। উচ্চ বাক্যে বলা যায় এটা শুধু আমাদের ছবি, আমাদের অস্তিত্বের ছবি। আসুন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখি, চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচায়। সঠিক যৌথ প্রযোজনা চাই, স্বচ্ছ যৌথ প্রযোজনা চাই। ফেনসিডিলরূপী যৌথ প্রযোজনার প্রহসনকে রুখে চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষা করি।
আবদুল্লাহ আল-মানী : চলচ্চিত্র-সহ নানা বিষয়ে লেখালেখি করেন।