‘রাজাবাবু’ ও ‘আশিকী’ তারকার ঈদ
কোরবানির ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘রাজাবাবু’ ও ‘আশিকী’। দুই সিনেমায় অনেক তারকার সমাবেশ ঘটেছে। তারপরও বলতে হবে ‘রাজাবাবু’ মূলত শাকিব খান ও ‘আশিকী’ শুধু নুসরাত ফারিয়ার সিনেমা। ঈদের আনন্দের পাশাপাশি সিনেমা মুক্তি দুইজনের খুশি বাড়িয়ে দিয়েছে।
আসুন তাদের মুখে শুনে নিই ছোটবেলার কোরবানির স্মৃতি। আর অভি মঈনুদ্দীনের লেখনিতে পাওয়া স্মৃতিচারণটি প্রকাশ হয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছে বিএমডিবি।
শাকিব খান
ছোটবেলার কোরবানির ঈদের কথা আজ এই বড় বেলায় এসে খুব মনে পড়ে। মনে পড়ে, ছোটবেলায় আব্বুর কাছে বায়না ধরতাম কোরবানির গরু কিনতে হাটে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আব্বু আমাকে কখনোই নিয়ে যেতেন না। একবার কোরবানির গরু কিনতে যাওয়ার আগে আব্বুর কাছে আমি বায়না ধরেছিলাম যে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। কিন্তু আব্বু আমাকে কোনোভাবেই হাটে নিতে চাননি। আমার কান্নাকাটির এক পর্যায়ে আব্বু আমাকে বাড়ির কাছেই একটি বড় গরুর হাটে নিয়ে গেলেন। সেখানে গরু কেনাবেচা দেখতে দেখতে একসময় দেখলাম একটি গরু কীভাবে যেন ছাড়া পেয়ে দৌড় দিল। আমি ভয়ে দিলাম দৌড়। আমাকে তখন খুঁজে পাওয়াই যেন মুশকিল হয়ে পড়ল। কিন্তু কিছু করার ছিল না। পরে অবশ্য গরুর শিংয়ের গুঁতা থেকে বাঁচার জন্য এক জায়গায় লুকিয়েছিলাম আমি। সেখান থেকে আব্বু আমাকে খুঁজে বের করেন। সেই স্মৃতি মনে পড়লে আজও আমার খুব হাসি পায়। আর বড়বেলায় এসে আমি এতই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে আর কখনোই গরুর হাটে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি আমার। তবে ছোটবেলার কোরবানির ঈদ খুব মিস করি। পাড়ায় পাড়ায় গরিব দুঃখীদের গরুর গোস্ত বিলানো ছিল আমার বেশ ভালোলাগার বিষয়।
কোনোদিনই আমার কোরবানির হাটে যেতে ইচ্ছে করেনি গরু কেনা দেখার জন্য। কারণ কোরবানির ঈদে গরু কোরবানি দেওয়া ইসলামি রীতি অনুযায়ী ঠিক আছে। কিন্তু যখন গরুটাকে কোরবানি দেওয়া হয়, তখন আমার খুব কষ্ট হয়… কান্না পায়। আমাদের ক্যান্টনমেন্টের বাসার নিচেই ছোটবেলা থেকে গরু কোরবানি দেখে আসছি। যখন থেকে আমি বুঝি, তখন থেকেই আমি কোরবানির সময় গরু জবাই দেওয়া দেখে কান্না করতাম। আমার খুব কষ্ট লাগত। এই যে এত বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি আমি, বুঝতে শিখেছি, তারপরও কান্না পায় আমার। আমি কোনোভাবেই কারো কষ্ট মেনে নিতে পারি না। তাই হয়তো আমার কান্না পায়। ছোটবেলায় ঈদ খুব মজা করে কাটত আমাদের। আমরা একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছি। তাই বলা যায়, আমাদের বাসার মধ্যে শুধু ঈদেই নয়, ঈদ ছাড়া নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো। যে কারণে নানা ধরনের আনন্দ লেগেই থাকত। সবচেয়ে বড় কথা কী, নিজের মনে সুখ থাকলে পৃথিবীর যেকোনো স্থানেই আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায়। আমি আমার পরিবারের মাঝে সবসময়ই ঈদের আনন্দ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি।