রাজ্জাক কি শুধু মধুমিতা সিনেমা হলের নায়ক ছিলেন?
‘রাজ্জাক কি শুধু মধুমিতা সিনেমা হলের নায়ক ছিলেন? মধুমিতা ”আগুন” দেখাতে পারলে বাকি হলগুলো কি অবুঝ মন, ছুটির ঘন্টা কিংবা বাবা কেন চাকর দেখাতে পারতো না? …বাঙালি বিদেশিদের জন্য কাইন্দা মরে অথচ নিজের দেশের রত্নগুলোকে ব্রান্ডিং করতে পারেনা এটাই বাঙ্গালীর চিরদিনের স্বভাব।‘— কথাগুলো চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক ও সংগ্রাহক ফজলে এলাহীর।
সদ্য প্রয়াত নায়ককে সম্মান জানাতে রাজধানীর মধুমিতা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আগুন’। মোহসীনের পরিচালনায় এতে রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাবানা।
প্রথমদিন থেকে সিনেমাটি দেখতে মধুমিতায় ভিড় করছেন দর্শক। অনেক বয়স্ককে দেখা গেছে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে হলে আসতে। এদের অনেকেই কয়েক দশক পর সিনেমা হলে আসলেন।
তাদের সিনেমাটির সঙ্গে একাত্ম হতে দেখা যায়। প্রধান চরিত্রগুলোর সুখে-দুঃখে মিলে গেছে তাদের অনুভূতি।
কেউ কেউ বলছেন, এতো নিটোল গল্প বলার ক্ষমতা এখানকার নির্মাতাদের নেই। আবার কেউ বলছেন, বাংলা সিনেমার গল্প সত্তর দশকেই রয়ে গেছে। ‘আগুন’ যে সময় নির্মাণ হয়েছিল— তখন আধুনিক কাহিনীই ছিল এটি। অথচ সে সব গল্পের বাইরে যেতে পারেনি নির্মাতা। উল্টো গল্প বলার ধরন ও নির্মাণ হয়েছে দুর্বল!
ফজলে এলাহীর প্রশ্নটিও বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পকে আঘাত করতে যথেষ্ট। প্রদর্শকরা রাজ্জাকের সিনেমা চালিয়ে একসময় লাভবান হলেও তাকে ন্যূনতম শ্রদ্ধা জানাতেও যেন তাদের অনিহা। এটা তো ধ্বংসেরই লক্ষণ।
এদিকে জানা গেল নায়করাজ স্মরণে, নারায়নগঞ্জের গুলশান সিনেমা হলে প্রতিদিন একটি করে সিনেমা চালানো হচ্ছে। মোট সাতদিন চলবে নায়ক রাজ শো । শুক্রবার: আমাদের সন্তান। শনিবার: লাইলি মজনু। রবিবার: বাবা কেন চাকর। সোমবার: রংবাজ। মঙ্গলবার: পিতা মাতার আমানত। বুধবার: বেঈমান। বৃহঃপতিবার: কোটি টাকার ফকির।