রান আউট – প্রত্যাশার চেয়েও বেশী কিছু
তন্ময় তানসেনের রান আউট বানিজ্যিক ছবি হিসেবে সম্পুর্ন পয়সা উসুল বিনোদন
রান আউট ছবির গল্প, অভিনয়, লোকেশন, সিনেমাটোগ্রাফী, এডিটিং; সবকিছুই আধুনিক, পরিচ্ছন্ন এবং উপভোগ্য … শেষ কয়েক মিনিট বাদ দিলে কোথাও বোর হওয়ার এতোটুকু সূযোগ নেই …
সজল মোটামুটি ভালো করেছে … অন্যরাও মোটামুটি … তবে মৌসুমী নাগ একেবারে মাতিয়ে দিয়েছে … চরিত্রানুযায়ী বেশ সাবলীল অভিনয় করেছে সে … ইনফ্যাক্ট তার চরিত্রটিই ছবির সবচেয়ে গুরুপ্তপূর্ন চরিত্র … আরেক নায়িকাকে অবশ্য দেখতেও ভালো লাগেনি, অভিনয়েও বিশেষ কিছু দেখাতে পারেনি …
ছবির গান গুলো শুনতে মোটামুটি হলেও দেখতে বেশ ভালো … নাইলা নাইমের আইটেম গানটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ছিলো … নাইলার ড্যান্স এবং এক্সপ্রেশন একেবারেই ভালো না … তবে তার বডি, আইটেম গার্ল হিসেবে খুবই গর্জিয়াস … সাথে চোখ ধাঁধানো কস্টিউম, লাইটিং … একেবারে পয়সা উসূল …
ছবিতে ফাইট নেই বললেই চলে আর এটা ছবির সবচেয়ে প্লাস পয়েন্ট … কেনন্ সরাসরি ফাইট না দেখিয়েও যে একশন ছবি বানানো যায় রানআউট তা দেখিয়ে দিয়েছে … ছবির শেষে একটা ফাইট আছে এবং এইটুকুই ছবির একমাত্র বোরিং, গতানুগতিক দিক …
সবমিলিয়ে, রান আউট বাংলাদেশী বানিজ্যিক ছবি হিসেবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশী কিছু উপহার দিয়েছে … হয়তো এটি মনে রাখার মতো কোন অসাধারন ছবি হয়ে উঠেনি; তবে বানিজ্যিক একশন ছবি হিসেবে ছবিটি বেশ উপভোগ্য একটি ছবি …
এ বছরে এধারার অন্য বানিজ্যিক ছবি, যেমন- জিরো ডিগ্রী, এইতো প্রেম কিংবা এরকম ছবিগুলো থেকে রান আউটকে আমি নানা দিক থেকেই এগিয়ে রাখবো …
ছবির প্রধান, প্রধান চরিত্রে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকারা থাকলে ছবিটি রেকর্ড পরিমান ব্যাবসা করতে পারতো বলে আমার ধারনা …
ছবিটিকে আমি ১০ এ ৭ দিচ্ছি … 😀
অসাধারন সিনেমাটোগ্রাফী এবং চোখ জুড়ানো লোকেশনের জন্য আরো বেশী মার্ক দেয়া উচিৎ অবশ্য …
যাইহোক, এছবি ১৮ বছরের বেশী বয়সী সকল বাংলাদেশীর দেখা উচিৎ … নিজেদের চলচ্চিত্রকে জমজমাট করতে এ ধরনের ছবির ব্যাবসা সফলতা নিশ্চিত করা জরুরী…
তবে, কেউ ১৮ এর নিচের বাচ্চাদের নিয়ে ছবিটি দেখতে যাবেন না প্লিজ … নাইলা আন্টির ‘০-০’ এর কসম 😛
–রমিজ, ১৬-১০-১৫