
রায়হান রাফীর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলাদা সিনেমা ‘তাণ্ডব’
শাকিব খান তার সিনেমায় বিচারবহির্ভূত আটক, গুম, আয়নাঘর নিয়ে আলাপ করছেন- এই দিন কোনদিন দেখবো তা আমি ভাবি নাই। দেখলাম তাণ্ডব সিনেমায়।


শাকিব যখন ‘শাকিব খান’ হয় নাই, তখন থেকে তার সিনেমা আমি হলে গিয়ে দেখি। সরকারি ভার্সিটির ছাত্রদের স্টুডেন্ট পলিটিক্স, হল পলিটিক্স নিয়ে নির্মিত শাকিবের ‘আজকের সমাজ’ও হলে গিয়ে দেখেছি। অনেকদিন পর সেই পুরোনো শাকিবের অন্য লেভেলের এনার্জি দেখলাম তান্ডব সিনেমায়। ভয়েস মডুলেশন করে নিজের গলার স্বর চেঞ্জ করে ফেলেছেন পুরো সিনেমায়। আর কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম যে করেছেন, তা প্রতিটা দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে; বিশেষ করে অ্যাকশন সিনে।
রায়হান রাফীর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলাদা সিনেমা তাণ্ডব। তার অন্যান্য সব সিনেমা এক পাল্লায় আর তাণ্ডব এক পাল্লায় দিলে তান্ডবের পাল্লাই ভারি হবে আমার মতে। ক্যামিও দেখানোর জন্য ক্যামিও নিয়ে এলাম সিনেমায়- এটা করেন নাই রাফী। প্রোপার এস্টাবলিশমেন্ট করেছেন আর ভবিষ্যতে যা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেটা এর আগে বাংলাদেশের সিনেমায় হয়নি। আর টেকনিক্যালি এতটাই সাউন্ড এই সিনেমা, মাইন্ডব্লোয়িং।
একই টিমের তুফান সিনেমা নিয়ে আমার যে অভিযোগ ছিল, তান্ডবে তার কিছুই নেই। দারুণ একটা গল্প আছে, সেই গল্পের দারুণ উপস্থাপনা আছে আর আছে দারুণ সব চমক।

তান্ডব আমি আরও একাধিকবার দেখবো। আমার জন্য এখন পর্যন্ত বাংলাদেশী সিনেমার ক্ষেত্রে বেস্ট সিনেম্যাটিক এক্সপেরিয়েন্স হচ্ছে তান্ডব। ঈদের বাকি সিনেমাগুলোও দেখবো। এরপরে বিস্তারিত জানাবো।
তান্ডব দেখা শেষে স্পেশালি একটা মানুষকে ধন্যবাদ অবশ্যই দেবেন৷ তাহসিন রহমান, তান্ডব সিনেমার সিনেম্যাটোগ্রাফার। তুফানেও তিনিই ছিলেন, তবে তান্ডবে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন বহুদূর। ওয়ান টেক শটগুলো যেভাবে নিয়েছেন, এই মানুষটার কাঁধের উপর দিয়ে কী অবস্থা গেছে তা বলাই বাহুল্য।