রিভিউ : সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ
নোলক (২০১৯)
ধরনঃ ফ্যান্টাসি ফ্যামিলি ড্রামা
পরিচালকঃ সাকিব সনেট এন্ড টিম
প্রযোজনাঃ বি হ্যাপি এন্টারটেইনমেন্ট
পরিবেশনাঃ জাজ মাল্টিমিডিয়া
অভিনয়ঃ শাকিব খান (শাওন তালুকদার), ইয়ামিন হক ববি (কাজলা), তারিক আনাম খান (কাদের তালুকদার), রজতাভ দত্ত (নাদের তালুকদার), মৌসুমৗ (লায়লা মাহমুদ), ওমর সানি (জুয়েল মাহমুদ), সুপ্রিয় দত্ত (উপদেষ্টা) শহীদুল আলম সাচ্চু (উপদেষ্টা), নিমা রহমান (শাওনের মা), রেবেকা রউফ (কাজলার মা), রাজা দত্ত (পুলিশ অফিসার), কেনেডি দাস, মারুফ খান, অভি মিত্র প্রমুখ।
শুভমুক্তিঃ ৫ই জুন, ২০১৯
নামকরণঃ নোলক, বাঙালি নারীর একসময়ের ঐতিহ্যবাহী গহনা। অতীতে আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে বিয়ের সামাজিক রীতি-নীতিতে নোলকের প্রচালন ছিল। বিয়েতে আর যাই হোক, কনের নাকে বড় সুন্দর একখানা নোলক চাই,এমন কথা মেয়েবাড়ির লোকের মুখে আগে ব্যাপকভাবে শোনা যেতো। যদিও বর্তমান সমাজে নোলকের আধিপত্য কমে গিয়েছে অনেকখানি, বেড়েছে নাকফুলের কদর। অতীতে প্রতিটি বাঙালি বিবাহিতা নারীর জীবনে নোলকের গুরুত্ব ছিল অনেক। এটি শুধুমাত্র একটি অলংকার নয়, বরং এর সাথে জড়িয়ে থাকতো বংশের সম্মান, অহংকার, গৌরব, দাম্ভিকতাসহ আরো অনেক কিছু।
এ ছবির গল্পের মূল স্তম্ভটি সেই নোলককে কেন্দ্র করেই, যে নোলক রাস্তারখিল জমিদার বাড়ির পাঁচবংশের ঐতিহ্য ও সম্মান ধরে রেখেছে। তালুকদার বংশে যখনই কোনো নববধুর পদার্পণ ঘটেছে, তখনই তাকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে এই নোলক সামলানোর দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে। তাই নামকরণ হিসেবে “নোলক” নামটি যথার্থ মনে হয়েছে।
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপঃ ছবির পুরো গল্পটি একটি গ্রামের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নাকে কেন্দ্র করে। এই গ্রামে সুখ-শান্তির কোনো অভাব নেই। অভাব নেই টাকা-পয়সার। জমিদার বাড়ির ছেলেমেয়েরা গ্রামবাসীদের গরু-খাসি জবাই করে খেয়ে ফেলে; গাছ পেরে হরেক রকমের ফলফলাদি খেয়ে ফেলে। কিন্তু এতে তাদের বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা নেই, কারণ জমিদারবাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করলেই তারা ৫-৬ গুণ ক্ষতিপূরণ পেয়ে যান। তাই এরকম চুরি তাদের জন্য লক্ষীর আশির্বাদস্বরূপ।
জমিদার বাড়ির বাসিন্দাদের রয়েছে অঢেল পরিমাণে ধন-সম্পদ, পাঁচ পুরুষ ধরে তারা এভুখন্ডে রাজত্ব করছে। গ্রামের মানুষের কোনোরকম চাহিদা না থাকায় সবাই বেকার ঝিমিয়ে, আরাম-আয়েশে দিন পার করে। কিন্তু কথায় আছে, বেকার মস্তিষ্ক শয়তানের আস্থানা। যখন এই জমিদারেরা কোনো কাজ খুজেঁ পায় না তারা কি করে তাদের অমূল্যবান সময়টুকু এবং অঢেল ধনসম্পদ ব্যয় করবেন, তখনই তাদের মাথায় নানারকমের উদ্ভট বুদ্ধি চারপাশ থেকে আসতে থাকে। আর এই উদ্ভট বুদ্ধির বাস্তবায়ন একসময় এই বংশের তথা এই গ্রামের সকল সুখ-শান্তি চিরতরে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়..
“নোলক” এর কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ তিনটিই লিখেছেন ফেরারি ফরহাদ। এবারই প্রথম তিনি বড়পর্দার কোনো কাজে অংশ নিলেন। এ ছবির সংলাপগুলো সিনেমার মান বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার। এছবির সবকয়টি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সহজে ক্যাচ করার মতো ভালো কিছু সংলাপ আছে। আছে শিষ মারার মতো সংলাপ। পিতা-পুত্র, ভাইদের মধ্যকার আন্তরিকতা বোঝানোর জন্য সংলাপ।
বাস্তবতা চিন্তা করলে ছবিতে যে রকম গল্প দেখানো হয়েছে, আদতে এমনটা হওয়া কষ্মিনকালেও সম্ভব না। কিন্তু যদি ফ্যান্টাসি জনরার দিক থেকে বিচার করি, তাহলে এমন গল্প ঠিকঠাক। চিত্রনাট্যও বেশ ঠিকঠাক। প্রথম দিকে গল্প শুরু হয়েছে কিছুটা ধীরগতিতে, ধীরেধীরে সময় যত এগিয়েছে গল্পের গতি তত বেড়েছে। তবে গল্পে মামলা করার ফ্যাক্টটি ততটা লজিক্যাল মনে হয়নি। এছাড়া তেলের গোডাউনে আগুন দেওয়ার পেছনেও কোনো শক্ত কারণ দেখানো হয়নি। গল্পের এই দুইটি জায়গায় দূর্বলতা চোখে পড়েছে। একটু গল্পের কিছু সিক্যুয়েন্সের দৈর্ঘ্য যদি বাড়ানো-কমানো যেতো তবে এগল্পটি আরো বেশি উপভোগ্য হতো, যদিও গল্পে যথেষ্ট টুইস্ট এন্ড টার্ন আছে। ছবি সংশ্লিষ্টরা সব মজা শেষার্ধ পর্যন্ত জমিয়ে রেখেছিল, যার দরুণ প্রথমার্ধের শেষ দিকে এবং দ্বিতৗয়ার্ধের শুরুর দিকে গল্প তার গতি কমিয়ে দেয়। এই জায়গায় যদি শাকিব-ববির খুনসুটি আরেকটু কমিয়ে গ্রামবাসীর জীবনাচরণ আরেকটু দেখানো যেতো, তবে ছবিটি ঐ জায়গায় ঝিমিয়ে পড়তো না। এছাড়া শাকিব-ববির মধ্যকার ভালোবাসা তৈরী করার ক্ষেত্রে আরেকটু সময় ব্যয় করলে হয়তো ছবিটি আরো উপভোগ্য হতো, তাদের মধ্যকার রোম্যান্টিক মুহুর্তগুলি বেশ উপভোগ্য লাগছিল।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৬৫।
অভিনয় ও পরিচালনাঃ মাল্টিস্টারার ছবিগুলোতে যেমন দুই/একজনের ভালো অভিনয় দিয়ে অন্যের দূর্বলতা ঢেকে দেওয়ার সুযোগ থাকে, তেমনি সেই দুই/একজনের বাজে অভিনয় দিয়ে সবার অভিনয় নষ্ট করার শঙ্কাও থাকে। ভালো ব্যাপার হলো এক্ষেত্রে ছবিতে প্রথমটি হয়েছে।
তারিক আনাম-রজতাভের বেলায় সেই বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। রজতাভ দত্তকে শুরুর দিকে ততটা ভালো না লাগলে তারিক আনাম খান ভালো অভিনয় দিয়ে দূর্বলতা ঢেকে দিয়েছেন। ধীরে ধীরে গল্প যত এগিয়েছে তাদের অভিনয়ের গ্রাফও আস্তে আস্তে বেড়েছে।
ছবির শুরুতে শাকিব খান ও ববির অভিনয় ততটা যুতসই লাগছিল না, কিন্তু দুজনেই চোখ দিয়ে, অর্থাৎ ভালো এক্সপ্রেশন দিয়ে অভিনয়ের ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে ছবি যত এগিয়েছে তাদের অভিনয়ের তত উন্নতি হয়েছে। ছবিতে বাইক নিয়ে শাকিব খানের দূর্দান্ত এন্ট্রিতে দর্শক দেদারছে শিষ বাজিয়েছে। “শিকারী” তে বোট নিয়ে সুন্দরবনের মাঝ নিয়ে সেই এন্ট্রির পর “নোলক” এ বাইক নিয়ে এন্ট্রি আমার দেখা শাকিবের অন্যতম সেরা।
দুই উপদেষ্টা শহীদুল আলম সাচ্চু ও সুপ্রিয় দত্ত একদম যথাপযুক্ত পারফরমেন্স দিয়েছেন। ছবিতে তাদের দুইটি চরিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তারাই মূলত পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে গল্পের গতিপথ বদলে দিয়েছেন। দর্শকদের অবাক করেছেন।
মৌসুমী-ওমর সানীর করা উকিলের চরিত্র দুইটি গল্পে তত একটা গুরুত্ব ছিল না। তবে বুদ্ধিমান উকিল চরিত্রে তাদের মতো জনপ্রিয় যুগলের অন্তর্ভুক্তি ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র চরিত্রগুলোকেও দায়সারা কাজ থেকে দুরে রেখেছে। দুই মা নিমা রহমান এবং রেবেকা রউফকে এছবিতে তুলনামূলক ভালো অভিনয় করতে দেখা গেছে। তবে দর্শকভেদে গতানুগতিক লাগতে পারে।
ছোট চরিত্রে রাজা দত্তকে দেখে আমার একদমই পুলিশ অফিসার মনে হয়নি। পাশ থেকে কেউ যদি তাকে দারোগা বলে সম্মোধন না করতো তাহলে বুঝতামও না তিনি এছবিতে একজন পুলিশ। এছাড়া অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চরিত্রে যারাই ছিলেন মোটামুটি ঠিকঠাক ছিলেন।
এ ছবির প্রকৃত পরিচালক কে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। তাই যদি কারো নাম উল্লেখ না করে শুধুমাত্র পরিচালনা নিয়ে কথা বলি, তাহলেই মনে করি ভালো হবে। ছবিটি দেখে আমার কখনোই মনে হয়নি এটি কোনো কাঁচা হাতের কাজ। সবার কাছ থেকে অভিনয় আদায় করে একটি পরিচ্ছন্ন, গোছানো সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এরকম পরিচালনায় ভুলত্রুটি বের করতে হলে আতশিকাঁচের শরণাপন্ন হতে হবে। শেষ ৩০-৪০ মিনিটে রোম্যান্স এবং ইমোশন নিয়ে বড়পর্দায় যে কারুকার্য দেখানো হয়েছে, সেই ক্লাইম্যাক্স অনেকদিন চোখে লেগে থাকবে। এই সময়টুকুতে পরিচালনার পাশাপাশি সবার অভিনয়ও ছিল দেখার মতো! শাকিব খান, ববি, তারিক আনাম খান, রজতাভ দত্ত, শহীদুল আলম সাচ্চু, সুপ্রিয় দত্তসহ বাকি সবাই শেষ ক্লাইম্যাক্সে যে অভিনয় দেখিয়েছেন… মাইন্ডব্লোয়িং!
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৮৫।
কারিগরিঃ সোজা কথায় বললে, এই ছবির কারিগরি দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। এমন ঝকঝকে-তকতকে সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, ভিজুয়াল ইফেক্টস, বিলাসবহুল সেট-কস্টিউম-মেকআপ অতীতে কোনো বাংলা ছবিতে দেখা যায়নি। আমি নিশ্চিত, “নোলক” ব্যবসাসফল যদি না-ও হয়, তবুও “নোলক” এর কারিগরি দিক থেকে আমাদের ঢালিউডের জন্য এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ডাবিং এ মনে হয়েছে কিছু ক্ষুদ্র সমস্যা ছিল, এছাড়া টেকনিক্যাল সাইডে আর কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় লেগেছে এছবির ভিএফএক্স, বিশেষ করে শেষের ক্লাইম্যাক্সে। দেখে মনে হচ্ছিল শাকিব-ববির চারপাশে আসলেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে!
কালার গ্রেডিং এর কথা আলাদাভাবে বলতেই হয়। দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় ছবিটি একটি উজ্জ্বল বর্ণ পেয়েছে। চোখের প্রশান্তি আনার মতো। সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরিহিত পোশাক-পরিচ্ছদকেও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। সবকিছুই ছিল প্রচন্ড কালারফুল! ববির লেহেঙ্গা ধরনের ড্রেস, শাকিবের শার্ট/পাঞ্জাবীসহ অন্যান্য সবার সাজগোজ ছিল আকর্ষণীয়!
ইফতেখার চৌধুরী এডিটিং এর দায়িত্বটি খুব ভালো সামলিয়েছেন, এর আগে তার পরিচালিত “বিজলী” ছবিতেও তিনি ভালো সম্পাদনার কাজ দেখিয়েছিলেন। যেখানে রিপন নাথের মতো ভালো মানের সাউন্ড ডিজাইনার আছেন, সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা না। হয়েছেও তাই, ভালো মিউজিক পেয়েছি। এছাড়া রাজু রাজ ক্যামেরার দায়িত্ব খুব ভালো সামলিয়েছেন। বেশ সুন্দর সিনেমাটোগ্রাফি পেয়েছি তার কাছ থেকে।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৯৫।
বিনোদনঃ ছবির প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটাই কমেডিতে ভরপুর, শাকিব-ববির খুনসুটি উপভোগ করার মতো। তারিক আনাম খান, রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, শহীদুল আলম সাচ্চুরাও কমেডিতে দারুণ টাইমিং দেখিয়েছেন। কমেডির পাশাপাশি সার্কাজমেও ভালো দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবে পুরো প্রথমার্ধ জুড়েই কমেডির আধিক্য বেশি থাকায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিছুটা একঘেয়েমি ভাব আসে। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতৗয়ার্ধ তুলনামূলক ভালো।
ছবিতে মোট গান রয়েছে ৫টি। তন্মধ্যে “কলিকালের রাধা” গানটি সম্পূর্ণ মাস অডিয়েন্সের জন্য। গানটিতে তন্ময় সাধক দারুণ র্যাপ দিয়েছেন, বিশ্বজিতা মোটামুটি গেয়েছেন। বাকি ৪ টি গানই বেশ সুন্দর এবং শ্রুতিমধুর। “শৗতল পাটি” গানটি নবান্ন উৎসবের জন্য স্পেশাল হয়ে থাকবে। আহমেদ হুমায়ূন সুন্দর সুর যুক্ত করেছেন, সাথে আসিফ আকবরের গলায় গানটি উৎসবের আমেজ এনে দিয়েছে। হৃদয় খানের সুর দেওয়া “জলে ভাসা ফুল” গানটি সিনেমাতে খুব সুন্দর কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই তিনটি গান ছাড়াও অদিত এবং জে.কে মজলিশের সুর দেওয়া আরো দুইটি গান আছে সিনেমাতে, সেগুলো এখনো অনলাইনে আসেনি। সেগুলোও ভালো লেগেছে। সবথেকে বড় বিষয় হলো গানগুলি পরিস্থিতির সাথে সহজে মিলে গেছে, খাপ খেয়েছে। গানগুলোর কোরিওগ্রাফি করেছেন সুমন রহমান, ভারতের শঙ্করাইয়া এবং পাবন-বব।
এছাড়া ছবিতে একটি মাত্র ফাইট সিন রয়েছে। এ্যাকশন কোরিওগ্রাফি খুব একটা খারাপ হয়নি।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৭০।
ব্যক্তিগতঃ প্রায় দুইবছর আগে কাজ শুরু হওয়া ছবিটি শতশত ঝামেলা পার হয়ে যে আলোর মুখ দেখেছে, এটাই অনেক। এতো সুন্দর কারিগরি দক্ষতার ছবি আটকে গেলে বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমী হিসেবে অনেক আফসোস হতো।
সবমিলিয়ে যদি বলি, ফেরারী ফরহাদ গল্পটিকে মধ্যে একটু বাস্তবতার সংস্পর্শে আনলে কাজটি আরো ভালো হতো। খুঁত ধরার মতো জায়গা থাকতো না। ভবিষ্যতে এই টিমের আরো ভালোভালো কাজ দেখতে চাই।
রেটিংঃ ৭.৫/১০
ছবিটি কেন দেখবেনঃ পরিবারের সবাই মিলে ছবিটি দেখে আসুন, ভালো লাগবে গ্যারান্টি! বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে গেলেও ভালো উপভোগ করতে পারবেন। সবার ঈদ আনন্দে কাটুক।