Select Page

লাইভ: প্রশংসিত মাহি ও সাইমন

লাইভ: প্রশংসিত মাহি ও সাইমন

সাধারণত এফডিসি ঘরানার ছবি নিয়ে আজকাল তেমন হৈচৈ হয় না, যদি শাকিব খানের মতো কোনো নায়ক না থাকেন মূল চরিত্রে। সে ক্ষেত্রে অনেকদিন পর ব্যতিক্রম হিসেবে এলো শামীম আহমেদ রনী পরিচালিত ‘লাইভ’। যদিও যথাযথ প্রচারের অভাবে দর্শকের আড়ালেই থেকে গেল মাহিয়া মাহি, সাইমন সাদিক, আদর আজাদ ও শিবা সানু অভিনীত সিনেমাটি।

সোশ্যাল মিডিয়া সাইকো থ্রিলারধর্মী ‘লাইভ’ নিয়ে অনেকে প্রশংসা করেছেন।

অভিনেত্রী মুনিরা মিঠু বলেন, শ্বাসরুদ্ধকর, টান টান উত্তেজনা নিয়ে দেখলাম ‘লাইভ’! মুগ্ধ হলাম যে এতো স্বল্প বাজেটে বুদ্ধি এবং মেধার জোরে পরিচালক একটি আধুনিক সিনেমা নির্মাণ করেছেন! শামীম আহমেদ রনী পুরো সিনেমায় তার মেধা, মনোযোগ এবং শ্রম জ্বলজ্বল করছে!

চরিত্রায়ণ প্রসঙ্গে বলেন, মাহিয়া মাহি চরিত্রে মিশে গিয়ে  দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন! সায়মন সাদিক এই সিনেমা তোমার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। আমি নিশ্চিত যে এই সিনেমা তোমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে… এবং আমি ‘লাইভ’ সিনেমায় তোমার অভিনয় দেখে অনেক কিছু শিখেছি!

হালের অভিনেতাদের মধ্যে সাইমন সাদিক নিয়মিত অন্যদের ছবি দেখে মন্তব্য করে থাকেন। সে হিসেবে অন্য তারকাদের কাছেও এ ছবি নিয়ে মন্তব্য আশা করা যেতে পারেই। এটি ‘জান্নাত’ মুক্তির চার বছর পর সাইমনের নতুন ছবি।

পড়ুন রিভিউ: সাইকো থ্রিলার নির্মাণে ভালো প্রচেষ্টা ‘লাইভ’

‘লাইভ’ নিয়ে মন্তব্যে মাহি ও সাইমনকে নতুন করে আবিষ্কারের কথা বললেন গীতিকার ও সাংবাদিক জাহিদ আকবর।

তিনি লেখেন, গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ, আবহসংগীত নিয়ে অনেক আলোচনা করার জায়গা আছে। সেটা হয়তো আগামীতে করবো; তবে আপাতত সিনেমাটিতে নতুন করে আবিষ্কার করেছি মাহিয়া মাহি ও সাইমন সাদিকের অভিনয়। আমার ব্যক্তিগত মতামত যারা সিনেমাটা দেখবে সবাই সেটা আবিষ্কার করবে। এই দুজনকে দিয়ে এমন অভিনয় করিয়ে নেওয়ার জন্য৷ সিনেমাটির পরিচালক শামীম আহমেদ রনীর অবদান সবচেয়ে বেশি।

জাহিদ বলছিলেন, মাহিয়া মাহি যতোটা অভিনয় জানেন তারচেয়ে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চোখে পড়েছে ‘লাইভ’ সিনেমায়। সিনেমার কাহিনীর চরিত্র জয়া বিশ্বাস হয়ে উঠতে মনেপ্রাণে চেয়েছেন। তার এই চেষ্টার কারণে অনেকখানে অনন্য হয়ে উঠেছেন। অন্য সিনেমার চেয়ে কিছুটা হলেও নতুনভাবে তাকে খুঁজে পাবেন দর্শকরা। সিনেমায় চরিত্রের প্রতি এইভাবে নিয়মিত যত্নবান হলে মাহির গন্তব্য ফুরাবার নয়।

সাইমন নায়ক অল্প কিন্তু অভিনেতা হওয়ার চেষ্টাই বেশি করেছেন। তাই কোথাও অল্প অভিনয়ের তাল কেটেছে। সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন মুহূর্তেই,এটাই কম কোথায়। তবে তাকেও নতুনভাবে আবিস্কার করবে অনেকেই। মনের ভেতর থেকে চেষ্টা করলে অনেককিছু সম্ভব সেটা বুঝিয়েছেন। চরিত্রের প্রতি ভালোবাসা, মায়া, মগ্নতা ও কাহিনীর চরিত্র হয়ে উঠতে চাইলে সেটা সম্ভব হয় সেটা করে দেখিয়েছেন সাইমন। তাদের দুইজনের জন্য প্রাণছোঁয়া অভিবাদন।

সুদীপ্ত সাঈদ খানের একাধিক চিত্রনাট্যে কাজ করেছেন মাহি ও সাইমন। এই সাংবাদিক বলছেন, সাইমন ও মাহি দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। স্বল্প সময়ের উপস্থিতিতেও আদর আজাদ দারুণ ছিলেন। তবে সিনেমার শুরুতেই গল্পের মূল টুইস্ট প্রকাশ করে দেওয়াটা ঠিক হয়নি বলেই মনে করি।


মন্তব্য করুন