‘লিপ-লক করতে গিয়ে কান্না জুড়ে দিয়েছিলাম’
বাংলাদেশি সিনেমায় লিপ-লক দৃশ্য দেখাই যায়নি। সম্প্রতি তেমন একঝলক দেখা গিয়েছিল ‘তুখোড়’ সিনেমার ট্রেলারে। তা নিয়ে নাকি নায়িকা রাতাশ্রীর অস্বস্তির শেষ ছিল না। এমনকি কেঁদে-কেটে অস্থির হয়েছিলেন। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাকে উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামের মেয়ে রাতাশ্রী তা-ই জানান।
‘তুখোড়’ পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান লাবু। নায়কের চরিত্রে আছেন ঢাকার শিবলী নোমান। আসুন রাতাশ্রীর মুখেই শোনা যাক ‘তুখোড়’র অভিজ্ঞতার কথা—
মধ্যমগ্রামের রাতাশ্রী কি বাংলাদেশের নায়িকাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে চলেছে?
না না। একেবারেই না। এমন কেন বলছেন? (হাসি) সবে তো বাংলাদেশে একটা ছবিতে অভিনয় করলাম। এখানকার আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করতে চাই। এখনও মুভি রিলিজ হয়নি। দেখা যাক কী হয়…
বাংলাদেশে ছবির অফার পেলেন কী করে?
‘তুখোড়’ আমার কাছে হঠাৎ আসা একটা লটারি। ‘তুখোড়’-এর পরিচালক মিজানুর রহমান লাবু এই ছবির জন্য একটা নতুন মুখ চাইছিলেন। কলকাতার একজন কাস্টিং ডিরেক্টর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার ছবি দেখান। আমার ছবি দেখে তাঁর পছন্দ হয়ে যায়। এরপরেই আমাকে তাঁর ছবিতে নায়িকা হিসাবে সিলেক্ট করেন।
কিছুদিনের মধ্যেই ‘তুখোড়’ মুক্তি পেতে চলেছে। ছবিটা নিয়ে কিছু বলুন…
জের ছবি বলে বলছি না। একটা ঝকঝকে ছবি ‘তুখোড়’। শুধু গান নয়, ছবির চল্লিশ শতাংশ শুটিংই থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ফুকেটে হয়েছে। এই ছবিতে আমার বিপরীতে শিবলী নওমান নামে বাংলাদেশের একজন নতুন নায়ক আছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াতেও মুক্তি পাবে ছবিটি।
আর আপনার চরিত্রটা..?
এখানে আমার নাম মারিয়া। যে বড়লোক বাবার বিগড়ে যাওয়া সন্তান। সব সময় ড্রাগের নেশায় মত্ত থাকে সে। কিন্তু ভালবাসার জন্য প্রাণও দিতে পারে। বাস্তবে একেবারেই আমি এই রকম নই। আমি খুব ধীর-স্থির।
শুনলাম ‘তুখোড়’ ছবিতে একটি লিপ-লক রয়েছে…
(হাসি) আর বলবেন না। এক্কেবারে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। নায়কের সঙ্গে অনস্ক্রিন লিপ-লক করতে গিয়ে কান্না-কাটি জুড়ে দিয়েছিলাম। পুরো ইউনিট জড়ো হয়ে গিয়েছিল আমার কান্না থামাতে। ডিরেক্টর কাউন্সেলিং করার পর কোনওরকমে শটটা উতড়ে দিয়েছি।