Select Page

লড়াইটা সিয়াম-রাজের

লড়াইটা সিয়াম-রাজের

আগামী ২৮ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘দামাল’। ‘পরাণ’-এর সাফল্যের পর এটি যেমন নির্মাতার জন্য বড় পরীক্ষা, তেমনি প্রধান দুই অভিনেতা সিয়াম আহমেদশরিফুল রাজের জন্য। তবে এটা এক অর্থে বছরের সেরা অভিনেতা হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বটে।

সিয়াম ও রাজের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার বেশি দিনের নয়। এর মাঝে সিনেমা সংখ্যা ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে সিয়াম এতদিন এগিয়ে থাকলেও তার শিবিরে সম্প্রতি হানা দিয়েছেন রাজ।

ঢাকাই সিনেমা প্রধান অভিনেতা শাকিব খান এই বছর এক প্রকার নিস্প্রভ। অন্যদিকে আরিফিন শুভর কোনো ছবিই মুক্তি পায়নি। সেখানে ইন্ডাস্ট্রির হাল ধরেছেন সিয়াম ও রাজ।

চলতি বছরে দুই অভিনেতার তিনটি করে ছবি মুক্তি পেয়েছে। এর মাঝে ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ সাফল্যের বিচারে এখনো শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে সিয়ামের হাই-অ্যাকটন কপ থ্রিলার ‘শান’ গত রোজার ঈদে মুক্তি পেয়ে প্রশংসিত হলেও বাজেটের বিচারে ব্যবসাসফল নয়, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সুন্দরবন’ বড় পরিসরে মুক্তি পেলেও ‘পরাণ’ বা ‘হাওয়া’র মতো ঝড় তুলতে পারেনি।

এ ছাড়া সিয়ামের ‘পাপ পুণ্য’ ও রাজের ‘গুণিন’ মুক্তি পেলেও যেভাবে প্রচারে ছিল না। পরে যথাক্রমে ইউটিউব ও ওটিটিতে প্রশংসিত হয়েছে।

ওটিটির জন্য নির্মিত ছবিতে দুই তারকাকে দেখা গেছে। সেখানে সিয়ামের ‘টান’ থেকে এগিয়ে ছিল রাজের ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’। সম্ভবত মিজানুর রহমান আরিয়ানের ছবিটি রাজকে নতুনভাবে উপস্থাপনে সাহায্য করেছে।

‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’র প্রধান দিক হলো গল্প ও কম বাজেট। একই সঙ্গে দুই সিনেমা দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে অনেক নতুন দর্শক পা রেখেছেন। অন্যদিকে সিয়ামের দুই ছবিই বাজেট ও পরিসরে বেশ বড়, কিন্তু সে হিসেবে রাজের দুই ছবির মতো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

তবে এ কারণে যে সিয়াম পিছিয়ে পড়েছেন এমন নয়, তার হাতে বেশ কিছু ভালো প্রজেক্ট রয়েছে। কিন্তু তুলনার বিচারে হিসাব-নিকেশ তো চলবে! সেই সুযোগ খোলাসা করে দিয়েছে ‘দামাল’।

রায়হান রাফীর এই ছবিতে দুই তারকার স্ক্রিন প্রেজেন্স এখনো অজানা। তবে প্রচারণায় তারা দুজনেই যথেষ্ট করছেন। এর মধ্যে ছবির গান ও টিজার থেকে দর্শককে সিয়াম ও রাজের মাঝে তুলনা শুরু করেছেন। দেখার বিষয়, কে এগিয়ে থাকেন। তবে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই রাজ যে বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল অভিনেতা সেটা আগাম বলে দেয়া যায়। ‘দামাল’ সফল হলে তার কৃতিত্ব রাজের ঝুলিতেও উঠবে।

সিয়াম ও রাজের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইন্ডাস্ট্রির জন্য স্বাস্থ্যকর। একটা ইন্ডাস্ট্রি ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মে লড়াই করে এগিয়ে যায়। এতে ছবির গুণমান ও সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি পায় দর্শকও।


Leave a reply