শাকিবকে মাফ চাইতে হবে কেন : জায়েদ খান
‘শাকিব খান আমাদের বড় ভাই। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুইবারের সভাপতি। সবই বাদ দিলাম, দিনের শেষে তিনি শিল্পী। তার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। ফারুক ভাই তাঁর বক্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন। একই জায়গায় চলতে গেলে পরিবারের সবার মধ্যে টুকটাক ঝামেলা হয়। তারপর ফারুক ভাইয়ের বাসায় গেছেন শাকিব ভাই। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন। দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিন্তু চলচ্চিত্র পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। ফারুক ভাইয়ের স্ত্রী রান্না করেছেন। নিজে খাবার তুলে দিয়েছেন। ঝামেলা যা, সব কিন্তু ওখানেই শেষ।‘— প্রথম আলোকে এমনটা বললেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরায় বরেণ্য চিত্রনায়ক ফারুকের বাসায় চলচ্চিত্র পরিবার আর দেশের শীর্ষ চিত্রনায়ক শাকিব খানের মধ্যে সমঝোতা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ফারুক, শাকিব খান, পরিচালক আমজাদ হোসেন, চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, নৃত্য পরিচালক সমিতির সভাপতি মাসুম বাবুল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এবং প্রযোজক আরশাদ আদনান। আলোচনার একপর্যায়ে ফারুক ও শাকিব খান কোলাকুলি করেন।
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আমার কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই। রাজ্জাক ভাইয়ের লাশ যেদিন কবর দেওয়া হয়, সেদিন আমরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেছি। ফারুক ভাই সেদিন রাতে শাকিব ভাইকে বলেছিলেন, “তোমার যদি সম্ভব হয় তাহলে এফডিসিতে গিয়ে সবার সঙ্গে মিষ্টিমুখ কইরো, তুমি আমারই ছোট ভাই, এই সিনেমা দিয়েই কিন্তু তোমার নাম-যশ হইছে।” তাঁকে কেন এফডিসিতে এসে মাফ চাইতে হবে? তাঁর সঙ্গে যা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে, তা তো ফারুক ভাইয়ের বাসায় সেদিন শেষ।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে আজ বুধবার বিকেলে প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যরা।