শাকিবের পুরনো ছবির বিনিময়ে দেব
ঢাকায় আসছে দেব অভিনীত কলকাতার ৪ নতুন ছবি। এটি পুরনো খবর। নতুন খবর হলো দেবের ওইসব ছবি বিপরীতে কলকাতায় যাবে শাকিব খানের পুরনো ছবি।
ছবিগুলো হলো ‘রাজা-৪২০’, ‘হিটম্যান’, ‘মাই নেম ইজ সুলতান’ ও ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’। অন্যদিকে ঢাকায় আসছে একদম আনকোরা ‘প্রেমের গোলমাল’, ‘চাঁদের পাহাড়-২’, ‘জুলফিকার’ ও ‘লাভ এক্সপ্রেস’। ঈদে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘প্রেমের গোলমাল’-এর।
ছবি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা ফিল্মসের কর্ণধার কার্তিক দে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, “ঈদে ইউএফও সার্ভারের মাধ্যমে মুম্বাই থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে চালানো হবে কলকাতার ছবি দেব ও অংকুশ অভিনীত ‘প্রেমের গোলমাল’। সার্ভার পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ছবি প্রদর্শন হতে যাচ্ছে।”
এছাড়া ১২ আগস্ট মুক্তি পাবে ‘লাভ এক্সপ্রেস’, ১৭ অক্টোবর ‘জুলফিকার’ ও ১৬ ডিসেম্বর ‘চাঁদের পাহাড় -২’।
আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্মকর্তা বিজয় খেমকা বলেন, ‘এতদিন দায়সারা গোছের আমদানি-রফতানি করা হয়েছিল বলে তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ছবি ভারতে মুক্তিতে কোনো বাধা নেই। চলচ্চিত্র নির্মাণ ও মুক্তির ক্ষেত্রে দুই বাংলা এক হলে এ ক্ষেত্রে দুই দেশেরই ভাগ্য ফিরবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি চাই দুই বাংলার ছবি একসঙ্গে দুই দেশে মুক্তি পাক। পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনার নির্মাণ বৃদ্ধি পাক। তাই আগে মন পরিষ্কার করতে হবে। তারপর বন্ধুত্ব ও ব্যবসা।’
এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি সুদীপ্ত কুমার দাশ বলেন, ‘বিজয় খেমকার এমন অতিভক্তি চোরের লক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তিনি ও ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মেহেতা কলকাতায় পাঠানো আমাদের ৮টি ছবি আটকে দিয়েছিল। একটি ছাড়া কোনো ছবিই এখনো সেখানে প্রদর্শন করা যায়নি। অথচ তাদের সব ছবি এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ছবিগুলো কলকাতা সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হলে বোর্ড জানায় ইস্টার্ন ইন্ডিয়ান মোশান পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ ইমপার অনুমতি লাগবে। ইমপাতে ছবিগুলো জমা দিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মেহেতা ইচ্ছাকৃতভাবে অনুমতি দিতে দেরি করেন। ওই কমিটিতে বিজয় খেমকার ভাইও ছিলেন। এতে ক্ষতির মুখে পড়ি আমরা। তারা এখন এ দেশে তাদের ছবির বাজার তৈরির ফন্দি আঁটছেন। কারণ কলকাতায় এখন তাদের ছবি চলে না।’
সুদীপ্ত বলেন, ‘এই দুই ব্যক্তি মে মাসে প্রদর্শক সমিতির কাছে এসেছিলেন ঈদে এখানে তাদের ছবি মুক্তি দিতে। আমাদের আপত্তির মুখে ব্যর্থ হয়ে এখন নানাজনকে ধরে এ দেশের বাজারে ঢুকতে চাইছেন। এটি হবে আমাদের চলচ্চিত্র ব্যবসার জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ তারা নতুন ছবি এখানে মুক্তি দিচ্ছে। বিপরীতে নিচ্ছে পুরনো ছবি। তাও আবার তামিল ছবির নকল। স্বাভাবিকভাবেই এগুলো সেখানে চলবে না। মুক্তি নিয়েও সন্দেহ আছে। তাদের উদ্দেশ্য বিনিময় বা আমাদের ছবি সেখানে চালানো নয়। বরং এখানে তাদের ছবির একচেটিয়া বাজার তৈরি করা। আমি সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ছবি আনব আমাদের ছবির ঘাটতি পূরণ করে সিনেমা হল টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নিজেরাই আমদানি-রফতানি করব। কলকাতার কোনো ব্যবসায়ীর দ্বারা একতরফাভাবে এই বিনিময় হবে না।’