শাকিব খানের পারিশ্রমিক কত?
৫০, ৬০ বা ৭০ লাখ— সাম্প্রতিক সময়ে শাকিব খানের পারিশ্রমিকের অঙ্ক নিয়ে এমন গুঞ্জন ওঠেছে। আবার ভক্তদের দাবি কোটিখানেক পেয়ে থাকেন নায়ক। আসলে ছবি প্রতি কত পান শাকিব?
এ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে মিডিয়ায়। বিশেষ করে ‘জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শাকিব ৭০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছেন’— এমন খবরে অনেকেই নড়েচড়ে বসেছেন। যদিও পরে শোনা যায় জাজের সঙ্গে এখনো পারিশ্রমিক নিয়ে কথা হয়নি। একই কথা শোনা যাচ্ছে দীপংকর দীপনের ৬০ লাখ দিতে চাওয়া নিয়েও। এমনকি ‘নোলক’-এর ৫০ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রযোজক।
এমন সব গুঞ্জনের ভিড়ে পুরনো দিন থেকে সাম্প্রতিক সময়ের ঠিকুজি ঘাটল রাইজিংবিডি। তাদের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মাসুদ রানা থেকে শাকিব খান হয়ে উঠতে উঠতে পারিশ্রমিক কতটা বেড়েছে?
১৯৯৯ সালে প্রথম ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’ সিনেমায় কাজ করেন শাকিব। এ সিনেমায় বিনা পারিশ্রমিকে শাকিব কাজ করেন বলে জানান এফ আই মানিক। একই বছর সোহানুর রহমান সোহান ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমায় মাসুদ রানা নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘শাকিব খান’। তখন ২৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছিল। তবে একই পরিচালকের সর্বশেষ সিনেমা ‘সে আমার মন কেড়েছে’তে পারিশ্রমিক নিয়েছেন ২০ লাখ টাকা।
২০০০ সালে শাকিব খান-শাবনূরকে নিয়ে ইস্পাহানী আরিফ জাহান নির্মাণ করেন ‘গোলাম’। এই সিনেমায় সাইনিং মানি দেয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। পরে সিনেমাটি ভালো যাওয়ায় প্রযোজক খুশি হয়ে ২ লক্ষ টাকা দেন।
২০০১ সালে ওয়াকিল আহমেদের ‘ভালবাসার দুশমন’-এ শাকিবের সাইনিং মানি ছিল ২ লাখ টাকা। তবে পরে আরো টাকা দিতে হয়েছে। এরপর ২০১৪ সালে একই পরিচালকের ‘সেরা নায়ক’ সিনেমায় ১৫ লক্ষ টাকা সাইনিং মানি পান। মুক্তির পর আরো টাকা দিতে হয়।
২০০২ সালে নির্মাতা এফ আই মানিক শাকিব খানকে নিয়ে ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’ নির্মাণ করেন। শাকিব দেড় লাখ টাকা নেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’ সিনেমায় তাকে ৬ লাখ টাকা দেন এ নির্মাতা।
২০০৪ সালে শাহীন সুমন পরিচালিত ‘নষ্ট’ সিনেমায় শাকিব খানের পারিশ্রমিক ছিল ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে নির্মাতা বদিউল আলম খোকন শাকিব খানকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’। এ সিনেমায় পারিশ্রমিক ছিল দেড় লাখ টাকা। সিনেমাটি দারুণভাবে সফল হলে হঠাৎ শাকিবের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়।
২০০৯ সালে ‘মনে বড় কষ্ট’-এ পারিশ্রমিক নেন ১৪ লাখ টাকা। শাহিন সুমন বলেন, ‘শাকিব খানকে নিয়ে আমি ২০টি সিনেমা নির্মাণ করেছি। ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাকে পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে।’
২০১২ সালে বেশ কিছু সিনেমায় ২০-২৫ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিয়েছেন শাকিব খান। ২০১৫ সালে ৩০ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এভাবেই চলছিল। ২০১৭ সালে এসে কয়েকটি সিনেমায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
২০১৮ সালে তার পারিশ্রমিক নিয়ে পরপর দু্ইবার গুঞ্জন ওঠে। এদিকে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত জাজের সিনেমার জন্য শাকিব খানের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা হতে পারে। এর বেশি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এদিকে ওপার বাংলার সিনেমায় শাকিব খানের পারিশ্রমিক কত এ নিয়েও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সর্বশেষ ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমায় শাকিবের পারিশ্রমিক ৪০ লাখ টাকা।
‘অনেকেই আপনার উচ্চ পারিশ্রমিকের বিষয়টি নিয়ে আঙুল তুলছেন?’ এমন প্রশ্নে পারিশ্রমিক নিয়ে শাকিব স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে শাকিব খান বলেন, ‘যারা আমাকে নিয়ে ছবি করতে পারবেন না, তারাই এসব রটাচ্ছে। এখন আগের মতো গড়পড়তায় ১০-১২টি ছবিতে কাজ করি না। বছরে সর্বোচ্চ ৪-৫টি ছবিতে আমাকে দেখা যায়। যে ছবিগুলোতে কাজ করি, সেগুলো মানসম্মত এবং বাজেটও অনেক ভালো। বেশির ভাগ শুটিং হয় বিদেশে। ফলে দর্শকও ছবিগুলো উপভোগ করছেন। শেষ যে কয়টি ছবি আমার মুক্তি পেয়েছে, প্রতিটিই সুপারহিট। তাই বেশি পারিশ্রমিক নেয়াটা আমি ডিজার্ভ করি।’