শাকিব খানের ‘রংবাজ’ : যত ভুল
‘রংবাজ’ একটি ধার করা গল্পে নির্মিত রোমান্টিক অ্যাকশন মুভি। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ঈদুল আজহায়। আব্দুল মান্নান/শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত এই সিনেমার ছোটবড় ৮টি ভুল আমাদের চোখে পড়েছে।
১. টাইটেলে অভিনেত্রী নূতনের “নাম” ও “শিক্ষানবিশ” শব্দদ্বয় ভুল করে যথাক্রমে “নুতন” ও “শিক্ষানুবিস” লেখা হয়েছে।
২. শাকিব খান যখন বুবলির হাতে একটা সূর্যমুখী ফুল দেয় তখন চারিদিকে দিনের আলো। ফুল হাতে পেতেই দেখা গেল রাত হয়ে গেছে! পরে গবেষণা করে জানা গেছে সূর্যমুখী ফুল দেখেই সূর্যমামা পালিয়েছিল।
৩. বুবলির নাচের স্কুলের দেয়ালে শুধু “Dance Competition” লেখা ছিল। কবে কোথায় এই নৃত্য প্রতিযোগিতা তা কিছুই লেখা নেই। এমনকি স্কুলের কোথাও স্কুলের নাম পর্যন্ত লেখা ছিল না! এর জন্যই হিরো আলম এমন “বেনামি” স্কুলে নাচ শিখেননি।
৪. ভুল করে নায়িকার গায়ে খাবার ফেলে দেওয়ার অপরাধে অমিত হাসান দীঘির পাড়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঐ ওয়েটারের মাথায় গুলি করে মেরে ফেলে। ওয়েটারের মাথা দীঘির এত কাছে ছিল এবং অমিত হাসান তার মাথায় এত কাছ থেকে গুলি করেছিলেন যে তার মাথার পেছন দিয়ে মগজ বের হয়ে দীঘির পানিতে ছিটকে পড়ার কথা। অথচ মাথার পেছন থেকে মগজ তো দূরে থাক, এক ফোঁটা রক্তও বের হলো না! পরে জানা গেছে অমিত হাসানের পিস্তলে ফরমালিন মেশানো ছিল।
৫. সাদেক বাচ্চুর হাতে ছুরির আঘাত খেয়ে শাকিব খানের বাবার লাশ শুয়ে পড়ে দরজার মাঝামাঝি। অথচ শাকিবের মা এসে দেখল লাশ দরজা থেকে আরো এগিয়ে শুয়ে আছে! এই জন্যই বিশ্বকবি বলেছিলেন “নড়াচড়া করে লাশ, জায়গামত পড়ে বাঁশ”।
৬. একজন সুশিক্ষিত ডাক্তার হয়েও বন্ধুর লাশ দেখে কাজী হায়াৎ কেন চিৎকার করে অন্যদের বা পুলিশকে না ডেকে চোরের মত ঘটনাস্থল থেকে চলে গেল? জাতি তা জানতে চায়।
৭. একজন পাওয়ারফুল নারী হয়েও নুতন কেন তার স্বামীর সম্ভাব্য খুনী কাজী হায়াৎকে আরামে চলে যেতে দিলেন বা মামলা করলেন না, এটাও জাতির কাছে রহস্য। এজন্যই কবিগুরু বলেছেন “মেয়েদের মন বোঝা, নয়রে নয় সোজা”।
৮. একটি গোডাউনের ভেতরে শেষ ফাইটিং দৃশ্যে দেখা গেল বাইরে রাত হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ ফাইট করে অমিত হাসান নায়িকাকে ধরে ছাদে উঠতেই দেখা গেল ছাদে দিনের বেলা। কি আজব দেশরে বাবা।
(এইটা পরিচালকের দোষ না। সূর্য ভুল কইরা রাইতের বেলা উইঠা গেছিল। বড় বড় সিনেমায় এমন ছোটখাটো ঘটনা ঘটবারই পারে:- ডিপজল)