মি. খান, আজীবনই কি নোংরামিতে ডুবে থাকবেন?
প্রথমেই বলে রাখি আমার লেখাটি দুটো রেফারেন্সের উপর ভিত্তি করে লেখা। এর মধ্যে দ্বিতীয় রেফারেন্সটি সত্য, আর প্রথমটি সত্য হলে লেখাটিও সত্যি।
এক.
প্রথম রেফারেন্সটা হলো এসএটিভি ও কারুনিউজেরর প্রধান বিনোদন সাংবাদিক তীর্থক আহসান রুবেলের ‘শাকিব খান- বুদ্ধিদাতা ও ভাড়াটিয়াদের এড়ান’ লেখাট। এতে তিনি নির্বাচনের রাতের ঘটনাকে একটা সাজানো নাটক হিসেবে দেখিয়েছেন। যেখানে ভোট গণনা কক্ষে বসে থাকা মৌসুমী–অমিত হাসানের কাছ থেকে পরাজয়ের আগাম খবর পেয়ে ওমর সানী একটা নাটক মঞ্চস্থ করতে মাঝরাতে মাতাল শাকিব খানকে পাঠান এবং শেষমেষ সাকসেসফুলি ওই নাটক মঞ্চস্থ হয়। আর দ্বিতীয় রেফারেন্স হলো নির্বাচন ফলাফল স্থগিতে আদালতের নির্দেশ।
দুই.
শাকিব খানের ওই রাতে হামলার পর যে কয়জন মায়াকান্নায় যোগ দিয়েছিলেন আমিও কেন জানি তার বাইরে ছিলাম না। জায়েদের ভাইয়ের পাওয়ারে এফডিসিতে গুন্ডামি, রাইজিং বিডিতে ফারুকের সাক্ষাৎকার কিংবা সর্বশেষে ইনকিলাবে পপির সাক্ষাৎকারেও তাদের প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু এখন পুরোপুরি ভোল পাল্টাচ্ছি। কারণ খান সাহেবের পরামর্শদাতা এবং তার নোংরামি কোন রাজনৈতিক নেতার চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
তিন.
শাকিব খান টানা দুই টার্ম শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন। সমিতির নীতিমালা অনুযায়ী তিনি টানা দুইবারের বেশি এমনিতেও দাঁড়াতে পারবেন না। সেই সত্যিটা এড়িয়ে গিয়ে বারবার বলেছেন আমি এবার নির্বাচন করছি না। (যদিও পরিচালক সমিতির বয়কটের সময় নির্বাচন স্থগিতের হুমকি দিয়েছিলেন) তবে সমর্থন দিয়েছেন ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেলকে। তার শেষ আশা ছিল এদের বদৌলতে হলেও সমিতির চাবি নিজের হাতে রাখবেন, কারণ নোংরামির বরপুত্র যে তিনিই। কিন্তু বিধিবাম! ভোট গণনার কক্ষে থাকা মৌসুমী-অমিত হাসান যখন বুঝে যান ফলাফল কী ঘটতে যাচ্ছে তখনি বাকি নাটকটা মঞ্চস্থ করতে আর দেরি করেননি খান সাহেব-ওমর সানী গংরা। শাকিব খানকে মাঝরাতে ভোটকক্ষে পাঠিয়ে হট্টগোল বাধানোর নাটক। আরে ভাই, নির্বাচনের সময়ওতো প্রধানমন্ত্রীর হাতেই নির্বাচন পরিচালনার বা নাক গলানোর ক্ষমতা থাকে না নির্বাচন কমিশন সবটা করে সেখানে উনি কিছুই পরোয়া করলেন না। তারপর একটি প্যানেল থেকে কোন অভিযোগই ছিল না। অপরদিকে নিজের প্যানেলের অমিত হাসান-ফেরদৌস যেখানে নির্বাচনকে সুষ্ঠু বললেন সেখানে ওমর সানী সেটা বাতিলের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরলেন। কাজের কাজ কিছুই হলো না। তারপরই খান সাহেব ট্রামকার্ডটা ছাড়লেন। জায়েদ খান আর সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত সাইমন সাদিকের নামে মামলাটা করে বসলেন যেখানে ওই রাত্রে সাইমনের নিজের মাথায় বাঁশ পড়ে আর নিজে গা এলিয়ে দিয়ে শাকিবকে গাড়িতে তুলে দেন মিশা সওদাগর।
চার.
হ্যাঁ, শাকিব খানদের নাটকটা ভালোই হলো। নির্বাচনের ফলাফল বিপক্ষে গেলে আদালতে গিয়ে ফল আটকে দেয়ার জন্যই এত নাটক। বোনাস হিসেবে পাবলিক সিম্প্যাথি তো আছেই। আর এই সিম্পল জিনিসটাই পেয়েছিলাম রুবেল ভাইয়ের লেখায়। আর গণমাধ্যমে জানতে পারলাম ‘আদালত নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেছে’। বাহ, তালি হবে এই নোংরামির বরপুত্রদের জন্য। পপি, রিয়াজ, পূর্ণিমা, ফেরদৌস, শাবনূররাও এটা থেকে রেহাই পাননি। এখনকার মানুষরা কোন ধুর ছাই।
পড়ুন : ক্ষমতার এ লড়াই শুভ লক্ষণ নয়