‘শান’ দেখতে প্রকাশ্যে আব্দুল আজিজ
জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে অনেকদিন ধরে আত্মগোপনে আছেন আব্দুল আজিজ। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার দেশে নাকি বিদেশে এ নিয়ে কয়েক বছরে নানা সময়ে গুঞ্জন উঠে। এবার সেই আড়াল ভেঙে প্রকাশ্যে এলেন তিনি। খবর নিউজ বাংলা টোয়েন্টিফোর।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে এম রাহিম পরিচালিত ‘শান’-এর বিশেষ প্রদর্শনীতে দেখা যায় আব্দুল আজিজকে। তবে এখনই নিজের সম্পর্কে মিডিয়ায় মুখ খুলতে আগ্রহী নন তিনি।
এ দিনের আয়োজনে ‘শান’ সংশ্লিষ্ট ছাড়াও সিনেমা জগত ও সংবাদমাধ্যমের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত সরব থাকেন আজিজ। ‘শান’ পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে তার প্রতিষ্ঠান।
এক দশক আগে ডিজিটাল সিনেমা নিয়ে আবির্ভাব ঘটে জাজের। অল্প সময়ে ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযোজক হয়ে উঠেন আব্দুল আজিজ। তার হাত ধরে আসে একাধিক নায়ক-নায়িকা ও ব্লকবাস্টার সিনেমা।
মানব জমিন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি না করেও ভুয়া রপ্তানি বিলের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ। এ ছাড়া ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টের কাছে পাওনা ১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। একই গ্রুপের রূপালী কম্পোজিটের কাছে ১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা পাবে জনতা ব্যাংক। লেক্সকো লিমিটেডের কাছে ৫১৪ কোটি ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের কাছে ২৩১ কোটি টাকা পাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি। সব মিলিয়ে ২০২০ সালের আগস্টের হিসাবে আব্দুল আজিজের পরিবারের কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা ছিল ৪ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
এ মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ। এরপর থেকে অন্তরালে চলে যান তিনি। একই সঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়াও চাকচিক্য হারাতে শুরু করে।
এ সময়ে বেশি কিছু ছবির কাজ করলেও উল্লেখযোগ্য কোনো ছবি মুক্তি দিতে পারেনি জাজ। তবে জাজ ও আব্দুল আজিজ একাধিক সময় একাধিক সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের ঘোষণা দেয়। যার মধ্যে শুটিং হয়েছে মাসুদ রানা ও জ্বীনসহ কয়েকটি ছবির।