শাবানাকে নিয়ে অদ্ভুত সমালোচনা কেন!
শাবানা এমন একজন সুপারস্টার, এমন অসংখ্য সিনেমা আছে যেগুলোতে তিনি নায়ক/নায়িকার বড় বোন কিংবা মা কিংবা ভাবী চরিত্রে অভিনয় করলে গল্প এগুত শাবানাকে কেন্দ্র করে, তরুণী বয়সে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করা কালজয়ী সিনেমাগুলো বাদই দিলাম।
অনেক বড় বড় সুপারস্টার থাকলেও ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে তিনি থাকতেন। তাকে নিয়ে সমালোচনার অন্যতম কারণ সিনেমা ছেড়ে তিনি চলচ্চিত্রের উন্নতিতে বলার মত কিছু করেননি। অথচ বলিউড কিংবা কলকাতাতেও এমন অহরহ উদাহরণ আছে যেখানে অনেক সুপারস্টার নায়িকা হুট করে আড়ালে চলে গেছেন, এত অদ্ভুত সমালোচনা বোধহয় আর কোন ইন্ডাস্ট্রিতে সম্ভব নয়।
তাছাড়া উনারই সহকর্মী শ্রদ্ধেয় রাজ্জাকের ‘আয়না কাহিনী’ (উনার প্রযোজিত অনেক মাস্টারপিস সিনেমা আছে, এটি নিম্নমানের হওয়াতে উল্লেখ করলাম) কিংবা আলমগীরের ‘একটি সিনেমার গল্পে’র মত সিনেমা নির্মাণ করার চেয়ে কিছু না বানানোই উত্তম।
দ্বিতীয় সমালোচনা তিনি ঋতুপর্ণাকে দিয়ে অশ্লীলতার সূচনা করেছেন। অথচ, এদেশের বেশ কয়েকজন বড় বড় সুপারস্টার কাটপিস সিনেমাতে নিয়মিত অভিনয় করে গেছেন, অনেকে কাটপিস সিনেমাতে অভিনয় করে সুপারস্টার হয়েছে। তাও উনার এই কাজের জন্য সমালোচনা হতেই পারে, তবে এর জন্য, এত বড় তারকার অন্য সব অর্জন খাট হয় না৷
তৃতীয় সমালোচনা হচ্ছে তিনি অনলাইনে বলেছেন তিনি অপু বিশ্বাসকে চিনেন না। এবার চলুন দেখি অপু বিশ্বাস কে। তিনি এমন একজন স্বঘোষিত কুইন যার ক্যারিয়ারের ৯৫% সিনেমা এক নায়কের সাথে। এ সিনেমা গুলোর বেশিরভাগই নকল এবং বেশিরভাগ সিনেমাতে তিনি নায়িকার নামে শো পিস। তাও তথাকথিত হিট তকমা পাওয়া এ ছবিগুলোর কল্যাণে দেশের হল সংখ্যা গাণিতিক হারে কমে গেছে। সেগুলোতে ডাবিংয়ে কন্ঠ দিয়েছেন অন্য একজন। উনার নেই কোন মেরিল প্রথম আলো কিংবা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার। ফিল্ম পলিটিক্স এর সুবিধা নিয়ে সিনেমা গুলো করায় তার নিজের অভিনয় নিয়ে তিনি খুব বেশি কাজ করেছেন বলে মনে পড়ে না। দিনদিন ফিগারের দিকেও মনযোগ দেননি। পার্সনাল লাইফ নিয়ে নাই বললাম।
সবচেয়ে বড় কথা তার অভিনয়ের সময়ে শাবানা বিদেশে ছিলেন। সিম্প্যাথি আদায়ের চেষ্টা অপু বিশ্বাসের পুরাতন অভ্যাস। শাকিব তার সাথে যা করেছে খুব খারাপ করেছে। কিন্তু, নিজেকে ঢালিউডের কুইন দাবী করা অপু বিশ্বাসের আত্মসম্মান বোধে ঘাটতি ছিল বলেই শাকিবকে তিনি সে সুযোগ দিয়েছেন। তার কিছুদিন পর আবার আলোচনায় আসার জন্য মিডিয়াতে বললেন নামাজ পড়েন মুসলমান জীবনযাপন করেন, কয়দিন পর আবার উল্টে গেলেন। আলোচনায় আসার জন্য ধর্মকে পর্যন্ত তিনি ব্যাবহার করে দ্বিধাবোধ করেননি। তিনি সম্প্রতি শাবানার সমালোচনা করে বললেন যে উনার পার্সনাল ইস্যু নিয়ে শাবানার কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন পরে দেখা না করেই ফিরিয়ে দিয়েছেন।
প্রথম কথা, শাবানা কি জানতেন যে অপু তার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন? দ্বিতীয়ত শাবানা ছাড়াও তো দেশে অনেক লিজেন্ড ছিলেন, অপু বিশ্বাসের সমস্যা সমাধানে তখন কয়জন এগিয়ে এসেছিলেন যে বিদেশে থেকে বিস্তারিত না জেনে শাবানা সমাধান করবেন?