Select Page

‘শিকলবাহা’র ঝুলিতে আরেকটি অনুদান, নির্মাণ শুরু কবে?

‘শিকলবাহা’র ঝুলিতে আরেকটি অনুদান, নির্মাণ শুরু কবে?

কামার আহমাদ সাইমনের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাটির নাম প্রথমে ছিল ‘শঙ্খধ্বনি’। ঘোষণার কয়েক বছর পেরুতে নাম হলো ‘শিকলবাহা’। এখনো প্রি-প্রডাকশনে রয়েছে সিনেমাটি। ইতোমধ্যে ঝুলিতে পুরেছে কয়েকটি অনুদান।

সম্প্রতি প্রথম আলো জানায়, পরপর দুবার জার্মানির বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানজনক পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড (ডব্লিউসিএফ)’ পেলেন বাংলাদেশি নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। ‘শিকলবাহা’ ছবি নির্মাণের জন্য এই পুরস্কার পেলেন।

দ্বিতীয়বার এ পুরস্কার পাওয়ায় দারুণ খুশি কামার আহমাদ। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, বার্লিন উৎসব কর্তৃপক্ষ দুবার আর কাউকে এই পুরস্কার দিয়েছে কি না! আমি খুবই শিহরিত!’

২০০৪ সাল থেকে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও পরিবেশনার জন্য অর্থ দেওয়া হয়। জার্মানির ফেডারেল ফাউন্ডেশন ফর কালচার ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ অর্থ পুরস্কার দিয়ে থাকে। বিশ্বের যেসব দেশে চলচ্চিত্রশিল্প এখনো শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছায়নি, সেসব দেশের সম্ভাবনাময় নির্মাতাদের ছবিতে অর্থায়ন করে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের ডব্লিউসিএফ। একই সঙ্গে দেশগুলোর সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য। এর আগে ডব্লিউসিএফ পাওয়া ছবির তালিকায় আছে ২০১০ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাম দর বিজয়ী ছবি আংকল বুনমি হু ক্যান রিকল হিজ পাস্ট লাইভস ও অস্কার মনোনয়ন পাওয়া প্যারাডাইস নাউ (২০০৬)।

গত বছর ‘শঙ্খধ্বনি’ ছবির জন্য ডব্লিউসিএফ পান কামার আহমাদ সাইমন। এবারও একই ছবির জন্য পুরস্কারটি পেলেন তিনি। তবে ছবির নাম এখন ‘শিকলবাহা’। কামার বলেন, ‘গতবার উৎসব কর্তৃপক্ষ সময় নিয়ে একটি শর্ত দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই শর্ত আমার পক্ষে মানা সম্ভব হয়নি। এবার তারা নিঃশর্তভাবে পুরস্কারটি দিয়েছে।‘ এই পুরস্কার গ্রহণের আইনি চুক্তিপত্র গতকাল তাকে ই–মেইল পাঠিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

‘শিকলবাহা’র কাজ কত দূর? কামার বললেন, ‘এখনো শুটিং শুরু করতে পারিনি। এ ছবির সব অভিনয়শিল্পী হবেন অপেশাদার। জুঁতসই কিছু মুখ খুঁজে পেয়েছি। আরও কিছু মুখ খুঁজছি। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই শুটিং শুরু করতে পারব।’

ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের বিগিনিং ফিল্ম ও জার্মানির ওয়েডেমন ব্রোস। ছবিটি পেয়েছে বাংলাদেশের সরকারি অনুদানও।

ফটো ক্রেডিট : মেহেদী হাসান


Leave a reply