শিকারি বনাম বাদশা, তারপর…?
শিরোনামের সিনেমা দুটি ঢালিউড দর্শকদের কাছে অপরিচিত নয়। বরং নতুন ধরনের প্রতিযোগিতার আভাস দিচ্ছে। আর এমন চ্যালেঞ্জ নিজের দিকেও ছুঁড়ে দিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
ঢাকা ও কলকাতার দুই সুপারস্টারকে একদিনে পর্দায় টেনে আনতে সাহায্য করছে এসকে মুভিজ। শোনা যাচ্ছে, কলকাতায় আগে-পরে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি। তাহলে নিজের দেশে শাকিবকে জিতের সঙ্গে লড়তে হবে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর এখনই বলা যাচ্ছে না।
পাশাপাশি একটি বিষয় পরিষ্কার শাকিব নিজের সঙ্গেও লড়াই করবেন। গল্প ও নিজের আউটলুকের সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে ‘শিকারী’ ও ‘বাদশা’ ছাড়া ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য দুটি ছবির নায়কও শাকিব। তাহলে হিসেবটা অন্য দিক থেকে মজার! তিন শাকিবের বিপক্ষে এক জিৎ। তাহলে জিতের খুব বেশি হারানোর কিছু নাই। বরং, বাজার যতটা দখল করতে পারে শাকিবের বিপরীতে ততটাই লাভ। আর কলকাতার হিস্যা তো নগদ থাকল নিজের পক্ষে!
অন্যদিকে, শাকিবের বিষয়টা জটিল। ঈদের সবগুলো সিনেমার ট্রাম্পকার্ড এখনো পর্যন্ত ভিন্নলুকের শাকিব। খেয়াল করুন কেউ গল্পের দিকে নজর দিতে বলছে না। অথচ দুর্দান্ত ও মৌলিক গল্প দিয়েই নতুন দর্শক তৈরি করা দরকার। এখনো পর্যন্ত প্রচারণার দৌড় শাকিবের মেজাজ খারাপি লুক বা চুল বা পোশাক কেমন হলো বা শরীরে কতটা মেদ আছে!
ইতোমধ্যে ‘শিকারী’ ও ‘বাদশা’র টিজার পোস্টার প্রকাশ হয়েছে। শাকিবকে নতুন অবতারে দেখা গেছে। এমন ডার্ক ইমেজ আগে দেখা যায়নি। শাকিব ফ্যানদের মাঝে দারুণ সাড়া পড়েছে। এমনকি যৌথ প্রযোজনাবিরোধী মনোভাবও শাকিবের সাথে সাথে তারা ছুঁড়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে জিতের পোস্টারটি খেয়াল করুন— একদম ঝলমলে, খেলুড়ে মেজাজে আছেন, ছুঁড়ে দিচ্ছেন তাস। প্রতীকি অর্থে তিনি কিন্তু শেষ চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে দারুণ প্রতিযোগিতার আভাস।
তিন সিনেমা নিয়ে শাকিব একটা সংকটে পড়তে পারেন। বর্তমানে হলে সংখ্যা টেনে-টুনে ২০০-২৫০ এর মধ্যে। এতো কম হল টার্গেট করে সিনেমা মুক্তি দেওয়া রিস্কি। ঘুরে ঘুরে আগের মতো ১০০০ হলে সিনেমার চলার সুযোগ নাই। আবার গড় লাইফটাইম ২-৩ সপ্তাহ। সে ক্ষেত্রে আলোচিত সিনেমাগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়কে টার্গেট করলে অন্য কিছু হতে পারত।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে শাকিব কতটা ঝড় তুলতে পারবেন তা দেখার বিষয়। বিশেষ করে যৌথ প্রযোজনায় শাকিব প্রথমদিকে অনেক অফার পাবেন— তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে ক্ষেত্রে খানিকটা কুশলী হলে অনেক কূল রক্ষা পেতে পারে!
দুই সিনেমার দুটো মিল। দুটোই ভারতীয় নির্মাণ, দক্ষিণী সিনেমার রিমেক। আজকাল সম্ভবত এ জিনিস খুব একটা বিকোচ্ছে না। বাংলাদেশের চকচকে রিমেক দুই-একবার সাড়া জাগাতে পারে। তারপর…?