শেষ হচ্ছে ফিল্ম চেকার অধ্যায়
ফারুক হোসেন মামার হাত ধরে ১৯৭৭ সালের আসেন ফিল্ম চেকারের পেশায়। একসময় কাজের চাপে রাতে ঘরে ফিরতে পারতেন না ফারুক। একের পর এক ছবির কাজ আসতো। ফিল্মগুলোকে কাটাছেড়া করে সঠিক অংশটুকু রাখতে ঘাম ঝড়তো তার। ডিজিটাল যুগে সেই দিন আর নাই। এখন আর রিলে কাঁটাছেড়া করতে হয় না।
তার অনেক সহকর্মী বেকার হয়ে অন্য পেশায় চলে গেলেও ভালোবাসার কারণে তিনি এখনো ছাড়তে পারেননি।
জীবিকায় এ টানাপোড়নের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রিলের ব্যাবসা নেই। এখন আর এগুলো ফিল্মে তেমন চলে না। তাই কাজও কম। আবার সিনেমা হলগুলোতেও লাভ নেই। এ পেশায় যারা ছিলেন তাদের এখন পথে বসার অবস্থা। এক সময়ের ফিল্ম চেকারদের অনেকেই এখন চা বিক্রি করে চলছে। অনেককে ধার কর্য করে চলতে হচ্ছে।
২০০০ সালের পর থেকে আর বেতন বাড়েনি তার। ফিল্ম চেকারের দীর্ঘ জীবনে এসে তিনি ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছেন। বলেন, যখন কাজ ছিল, উপরি পেতাম অনেক। বেতনের চেয়েও বেশি। বৌ-ছেলেমেয়েদের নিয়েই ভাল চলতাম।
ফারুক বলেন, আগে আমাদের অনেক দাম ছিল। কিন্তু এখন আমাদের অবস্থা পিয়নের চেয়েও খারাপ। ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে আসছে। আমাকেও হয়তো চা বিক্রি করে খেতে হবে।
সুত্র: বাংলা নিউজ ২৪.কম