Select Page

শ্যুটিং কেন বিদেশে হয়

শ্যুটিং কেন বিদেশে হয়

6_202864বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প খুব মজবুত নয়। বছরে যেসকল ছবি নির্মিত হয় তার বেশীরভাগই সম্পূর্ণ পুঁজি তুলে আনতে সক্ষম হয় না। তা সত্বেও প্রতি বছর নতুন নতুন প্রযোজক-পরিচালক-শিল্পী আসছেন চলচ্চিত্রে এবং এদের অনেকেই তাদের ছবির শ্যুটিং করছেন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে। অতি সম্প্রতি শুরু হয়েছে দক্ষিন আফ্রিকায় গিয়ে চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করা। সিনেমার বাজার যদি ভালো নাই হয়, তবে কেন শ্যুটিং এর জন্য বিদেশ গমন?

এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া যেতে পারে গত কয়েকদিনের ঘটনায়। মিশন আফ্রিকা নামক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দক্ষিন আফ্রিকা গিয়েছিলেন রুবেল, ইমন, সিদ্দিক, অমৃতা খান সহ ত্রিশ জনের একটি দল। মারুফ আহমেদ রিজভী নামক নতুন চলচ্চিত্র পরিচালকের ছবিতে অভিনয়ের জন্য তারা আফ্রিকা গিয়েছিলেন। শ্যুটিং শেষে দশজন নিয়ে দেশে ফিরতে চাইলে আটকে দিয়েছে দক্ষিন আফ্রিকার বিমান কর্তৃপক্ষ। খবর যুগান্তরের

এদের মাঝে অমৃতা খান নিজের খরচে দেশে ফিরে এসেছেন এমন একটি খবর দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও সত্যতা জানা যায় নি। জানা গেছে, ত্রিশজনের দলের মধ্যে মাত্র দশজন শিল্পী কলাকুশলী। বাকীরা প্রযোজকরূপী আদম ব্যবসায়ীর গ্রাহক – চলচ্চিত্র শ্যূটিং এর নাম করে আফ্রিকায় পাচার হয়েছেন।

জানা গেছে, এ ইউনিট দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে ঢাকা বিমানবন্দরেও আটকে দেয়া হয়েছিল। পরে এফডিসি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাগজপত্র দেখিয়ে তারা পুরো ইউনিট নিয়ে কেপটাউন যান। শুটিংয়ের নামে আদম পাচারের ঘটনা এখানেই থেমে নেই। কয়েকমাস আগে একই নামে (মিশন আফ্রিকা) আরও একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য আহমেদ আলী মণ্ডল নামের একজন পরিচালক দক্ষিণ আফ্রিকায় শুটিংয়ের জন্য যান। তখনও ৩০ জনের বেশি ইউনিট নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে মাত্র কয়েকজন ফিরে আসেন। ওই ইউনিটের ক্যামেরাম্যান মুজিবুল হক ভুঁইয়া ও ফাইট ডিরেক্টর হারুন আফ্রিকায় পালিয়ে যান।

চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত অভিজ্ঞরা জানিয়েছেন চলচ্চিত্রের নামে আদম পাচারের এ ঘটনা মোটেই নতুন নয়। এর আগেও আদম পাচারের সময় হাতে নাতে ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়েই এ আদম পাচারের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা একই সাথে দেশের ভাবমূর্তিকেও বিনষ্ট করে, ভবিষ্যতে বিদেশে শ্যুটিং করার সুযোগের দরজা বন্ধ করতে সহায়তা করে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনের এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।


Leave a reply