Select Page

সম্ভাবনাময় গল্প, দায়সারা চিত্রনাট্য ও দুর্দান্ত পূজা

সম্ভাবনাময় গল্প, দায়সারা চিত্রনাট্য ও দুর্দান্ত পূজা

‘দহন’ সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে আছেন পূজা ও সিয়াম

অভিনয়ের কথা দিয়েই শুরু করি। “দহন” যে ফর্মূলায় এগিয়েছে তাতে সাবপ্লটের ছড়াছড়ি ছিলো শুরু থেকে।তাই প্রয়োজন ছিলো প্রচুর আর্টিস্ট এমনকি মাঝখানে হঠাৎ পরিচালক রাফী সাহেবও ক্যামিওতে হাজির হলেন। উনার মুখে আর্টিস্টের ক্রাইসিসের কথা শুনে মনে হলো ওই একই সিন বিহাইন্ড দা সিনেও চালিয়ে দেয়া যায়।

স্পয়লার এলার্ট : রিভিউতে কাহিনির বর্ণনা আছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। সিনেমা না দেখলে রিভিউ এড়িয়ে যেতে পারেন।

যাই হোক, প্রথমেই আসি পূজার কথায়।এই বছর ওর তিনটে ছবি রিলিজ হয়েছে প্রধান নায়িকা হিসেবে। সবকটা না দেখলেও “দহন” দেখে আমি ডিটারমাইন্ড যে এই মেয়েটা মন থেকেই অ্যাক্টিংটা করে। স্ক্রিনটাইম ছিলো অনেক কম তার উপর পুরো ছবিটাই “তুলার” উপর, সেভাবে চরিত্রটার ডানা মেলার কোন সুযোগই ছিলো না, তাও পূজা পুরোটা সময়ই আলো ছড়িয়েছে।

স্বপ্নজালের আগ অবধি ফজলুর রহমান বাবু মানেই এক দুঃখী বাবা। তারপর সেলিম প্রথম ভিলেন বানাইয়া দেখাইলো,এবার ওরে ভিলেন বানাও। মানুষটার অভিনয় করার একটা ক্ষমতা আছে, কিন্তু তার জন্যে তো ক্যারেক্টারটাকে সেরকম করে বানাতে হবে। শুধু গলাটা চেঞ্জ করিয়ে, একটা লাউড হাসি মুখে ঝুলিয়ে দিয়ে আর লম্বা সোফায় কতক্ষণ বসিয়ে, কতক্ষণ সেটার চারপাশে চক্কর দিয়া তার ক্যারেক্টারের ইতি টানছে। অনন্ত জলিলের বিদেশী বায়ারদের সাথে কিছুক্ষণ পরপর কনভার্সেশনের মতো নেতার সাথেও তার কারণ কিংবা অকারণে কনভার্সেশন, এখানেই চরিত্রটার সমাপ্তি। স্ক্রিনটাইম যেমন কম তেমনি গলা চেঞ্জ করা ছাড়া তারও আর কিছু করতে হয়নি।

এখানে আসলে সবগুলো ক্যারেক্টারকে নিয়েই সেইফ খেলতে চেয়েছে রায়হান রাফী। ওই যে ছবির প্রমোশনের টাইমে সবাই বলে না, “আমার গল্প লেখার সময় একেই মাথায় এসেছে। একে ছাড়া আমি ছবিটা করতেই পারতাম না।” তেমনি রাফীও হয় এদের মাথায় রেখে চরিত্রগুলো লিখেছে নতুবা এদের কাস্ট করার পর মাথায় আর নতুন করে কিছু ভাবার ট্রাইও করেনি, আগের ইমেজটাই রিপিট করেছে। যেমন ধরু্ন রাইসা নামের মেয়েটা বিষণ্ন মুখে চোখ ছলছল করবেই কিংবা হুমায়ুন আহমেদের তৈরি করা মনিরা মিঠুর কপাল কুঁচকে চোখ বড়বড় তরে চিল্লায়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। তাই বাকি ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। তবে হ্যাঁ এফডিসির প্রথাগত ভঙ্গিতে ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের দিয়ে ন্যূনতম অভিনয় না করানোর চেষ্টা থেকে রাফী বেরিয়ে এসেছে। তাদের দিয়ে অভিনয় করানোর চেষ্টা করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পারেনি কিন্তু চেষ্টাটা চোখে পড়েছে।

বাকি রইলো মম আর সিয়াম। প্রথমে মমরটাই বলি। এতোজনকে নিয়ে এতো এতো নিউজ আর এতো এতো বাইক চালানো শেখানোর পরে এটা এতোটাই একটা অনবদ্য চরিত্র হয়েছে যে পুরো ছবিতে কোথাও মনেও হয়নি যে এটা না থাকলেও কোন প্রবলেম হতো। চরিত্রটা যেমন গুরুত্বহীন তেমনি মমর অভিনয় ছিলো প্রচন্ড দায়সারা।

‘দহন’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে সিয়াম আহমেদ ও ফজলুর রহমান বাবুসহ অন্যরা

আর সিয়াম, অলমোস্ট ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ডিজার্ভিং। হ্যাঁ, আসলেই। বরং সেটা তার অনেক আগেই প্রাপ্য ছিলো যদি শর্টফিল্ম অ্যাক্টর ক্যাটাগরিতে কোন বিভাগ থাকতো। এতো এতো এক্সপেরিমেন্টের পর তার লুক হইলো “বখাটে”+ভ্রু কাটা+ মাথায় এক খাবলা চুল নাই (যদিও এটা একটা পোস্টারে দেখছি ছবিতে খেয়ালও করি নাই)। এই হইলো তার লুক। আর অভিনয়? “বখাটের” সেই এতো লম্বা ডেডিকেশনবিহীন চরিত্রের সাথেই মিলাই, সিগারেট টানবে, বিরক্ত মুখে মাথার পেছনের অংশের চুলে হাত বোলাবে, কান চুলকাবে আর সামনে যাকে পাবে থাপ্পড় মারতে হাত চালাবে আর স্যাড সিকোয়েন্সে চোখ লাল করে, ভ্রু জমিয়ে চোখ তুলবে। ব্যাস, এই যদি হয় ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ডিজার্ভিং তাহলে সিয়াম সেটা অনেক আগেই পেয়ে যেতো, স্রেফ ক্যাটাগরি ছিলো না বলে।কে জানি বলেছিল, অ্যাক্টিংটা ওর ভেতর থেকে আসে না, কিন্তু প্রচন্ড ডেডিকেটেড।আরে ভাই রবার্ট ব্রুসের ডেডিকেশনের গল্প আমি তখনই শুনবো যখন সে সাত নম্বরবারে গিয়ে সফল হয়। আগের ছয়বারের রবার্ট ব্রুস তখনই মূল্য পায়, তার আগে অর্থহীন। হিরোইজম মাপার স্কেল নিয়ে আমি কখনো বসি না, স্রেফ অভিনয়টাই দেখি আর সেটা দেখতে গেলে বলবো এতো স্পেস পাওয়ার পরও সিয়াম লেটার মার্ক নিয়েই ফেল করেছে।

অনেক কিছুই বলতে চাচ্ছি কিন্তু গুলিয়ে যাচ্ছে তাই একদম গল্প ধরেই আগাই। সেই কারণে আবারো বলে রাখছি স্পয়লার এলার্ট। প্রথমেই আদালতে যাচ্ছে আসামী তুলা, বিক্ষুব্ধ জনতা, কেউ আবার দামী জুতাও ছুড়ে মারছে আর এসবের মাঝখানে তাকে রক্ষা করে চলেছে শহরের সবচেয়ে সৎ পুলিশ, ধড়পাকড় এক্সপার্ট এবং ছোটবেলা থেকে “কথা কম কাজ বেশী” বাক্যে অনুপ্রাণিত হয় মৌনব্রত পালন করে কেবল সকলের কথা শুনে যাওয়া শিমুল খান।

এত গ্যাঞ্জামের মাঝেও টিভি রিপোর্টারদের মতো নিজের ইন্ট্রো শেষ করে নেয় তুলা, আমরা জানতে পারি-

চরিত্রের নাম-তুলা,
ধর্মপরিচয়-জানিনা,
কর্মপরিধি-অধর্ম।

ভারী ভারী প্রচুর কথার পর তুলার কিছু আত্মোপলব্ধিমূলক বাক্য শুনি আর ফ্ল্যাশব্যাক দেখায়।ভাবলাম ছবিটা তুলার বর্ণনায় যাবে। একটু পর বুঝলাম ছবির কিছু তুলা বর্ণনা করবে প্রিজন ভ্যানে, কিছুটা কনডেম সেল থেকে মমর টেবিলে আর বাকিটার জন্য তুলাকে আর চাপ না দিয়ে রাফী ভাই নিজে।

ছবির গল্পের শুরুতেই গান। বাবুর তিনবারে উদারহস্তে তুলাকে টাকা দেয়ার মতো রাফি সাহেবও ভান্ডারের তিনটা গান উদারহস্তে ছেড়ে দেন কোন প্রি-প্লট ছাড়াই।পরে বুঝলাম এটার একটা সিম্বলিক মিনিং আছে। তিনবারে টাকা নেয়াটা তুলার ভবিষ্যৎ জীবন বিষিয়ে তোলার শুরু আর আমাদের ভবিষ্যত আড়াই ঘন্টার।

পূজা, সিয়াম আহমেদ ও জাকিয়া বারী মম।

একটু পর বুঝলাম ছবির গল্প “বোঝেনা সে বোঝেনার” মতো আগাবে, অবশ্য ট্রেইলারেই তা বলা আছে।যাই হোক, সবাইরে যেহেতু মারতে হবে তাহলে এক সবাইরে জোর জবরদস্তী করেই হোক বাসে তুলতেই হবে আর দুই সবার জন্য একটা করে সাবপ্লট ক্রিয়েট করতে হবে যাতে দর্শক চরিত্রটায় কানেক্ট করতে পারে আর চরিত্রটার মৃত্যুতে কষ্ট পায়।

বাসে সবাইকে তুলতে হবে তাই রিপা যেই বাসে এফডিসি যাওয়ার জন্যে উঠছে আর বস্তিকে পেছনে রেখে আসছে পূজা সেই বাসেই বঙ্গবাজারের শপিং করে উঠবে বস্তিতে যাওয়ার জন্য!

আর সাবপ্লট ক্রিয়েট করতে লাগে স্ট্রং স্ক্রিপ্ট। পরে যদি ক্যারেক্টারকে নিয়ে ইমোশনালি খেলতে চান তাহলে একে ডেভেলপ করতে হবে সময় নিয়ে।আর ছবিটাও ছিলো দুইঘন্টার সামান্য বেশি। সেটাকে আড়াই ঘন্টা টেনে ছবিটায় ক্যারেক্টারগুলোকে ক্রিয়েট করা যেতো। তা না করে রাফী সাহেব আশ্রয় নিলেন মেলোড্রামার।

মায়ের সময়ের অভাব আর সেটা মায়ের কেয়ার করার সময় মুগ্ধশ্রোতা দাদুর কানে আওয়াজ তুলে সেটা জানিয়ে দিলো মেয়ে। এখানে মেয়ের কোন ক্রাইসিস আলাদা করে দেখাবো? বয়েই গেলো।

একজন নায়িকা হবে? পোস্টার দেখাও আর মমর ক্যামিও, কাট।

মায়ের অপারেশন, কিডনি বেঁচে দাও। তার কোন টানাপোড়েন? কী দরকার? ক্ষতস্থান দেখাও,দর্শক শিওরে উঠবে।নেক্সট প্লিজ!

দুইভাই ঝগড়া করবে।বাপ সম্পত্তি ভাগ করবে। ছেলেদের এমন অনৈক্যে বাবার মানসিক অবস্থা দেখাও, সময় কই? এখানে ইমোশন লাগবে? ঠিকাছে, স্পয়েল কিডটাই বাপের সম্পত্তি বেঁচে বাপকে হজ্জে পাঠাবে, নষ্ট হইলেও মন ভালো। এনাফ হইছে। এবার বাপ কাঁদবে ছেলের জন্যে, জুয়ার আড্ডার মানুষ কাঁদবে সঙ্গীর জন্য, মহাজন কাঁদবে ২ লাখ টাকা আর রেজিস্ট্রি না হওয়ার জন্য আর দর্শক? ছাড়ো তো!

মা অন্ধ, ছেলের জন্য ভাত ভিক্ষে করে আনছে, ছেলে ঢাবিতে পড়ে অভাব মেটাবে।মা নিয়া তিনটা হইছে না? চলবে।

এবার বাকি টাইম তুলা আর তার লিডাররে দাও। লিডার বলবে তুলা বাস ভাঙবে। আর তার মাঝে শহরের সুন্দরী রিপোর্টার যার কোন ক্যামেরা পার্সন নেই সে নিজেই একহাতে ক্যামেরা আরেক হাতে মাইক নিয়া দৌড়াবে। আর ফাঁকে ফাঁকে তুলা আশার সাথে প্রেম করবে।

এই পুরো টাইমে আমি খালি কয়টা বিয়োগের অংক শিখছি।দশলাখ বিয়োগ দুই লাখ সমান কত? একলাখ পঁচিশ বিয়োগ দশহাজার সমান কত?

এরপর সবাইরে বাসে ভরলো একদম ধর্মনিরপেক্ষতা মেনে, মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান সব আছে। তুলা পেট্রোল বোম মারলো। থ্রিডিতে একটা এনিমেশন বানাইলো যেখানে দেখলাম বোম মারার পরে পকেট থেকে ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড বাইর হইয়াও বাঁচার জন্য ছুটতে চাইলো কিন্তু যাত্রীরা সিট থেকে নট নড়নচড়ন, ডিরেক্টর কইছে পুড়ে মরতেই হবে। কয়দিন আগে একটা ছবির পোস্টার আপ দিয়েছিলাম গ্রুপে, একজন কমেন্ট করছিলো, একমাত্র বাঙালিই বোধহয় ড্রেস পড়ে বাথটাবে নামে। এই ছবিতে দেখি বাঙালিরা পুরো শরীর পোড়াইয়া মরলেও ড্রেসে আগুন লাগতে দেয় না।

তারপর আরকি সবগুলো ডেডবডিরে মর্গে একসাথে রাখলেও দাফন হয় আলাদা আলাদা সময়ে সিয়াম আর মমর শিডিউল মেনে। সেখানে অনুশোচনার টানে সিয়াম হাজির থাকলেও মাইক-ক্যামেরাবিহীন নিধিরাম সর্দার মম কেন হাজির হয় জানি না।

মাঝে আবার রাইসুল ইসলাম আসাদের ক্যামিও দেখলাম। মজিদের প্রেতাত্মা এখনো তার পিছু ছাড়ে নাই। তাই তো ধর্ম পরিচয়হীন তুলার শেষ আশ্রয় মসজিদ আর ত্রাণকর্তা তিনি।

তারপর সিয়ামের আত্মসমর্পণ পর্ব।ফাঁসির রায়ের পর আসামি কনডেম সেলে থাকে। যতদূর জানি খালি আত্মীয়ই দেখা করতে পারে। কিন্তু এবার দেখি রিপোর্টারও পারে। যখন মম রেকর্ডার চালু করে ভাবি এবার কিছু একটা গতি হবে ওর ক্যারেক্টারের। কিন্তু শেষ অবধি খালি অপেক্ষাই করে গেলাম।

আচ্ছা মমর ক্যারেক্টারটা কেন ছিলো? ক্যারেক্টারের কোন ক্রাইসিস নেই, কোন স্টোরি নেই, কোন গোল নেই এমনকি শেষমেশ ধরে নিলাম স্টোরিতে তালি দেয়ার জন্য (প্যাচড) ক্যারেক্টার। রেকর্ডিং করে কোন বিপ্লব ঘটাবে বা ঘটানোর ট্রাই করবে। এডিটরের সাথে কনভার্সেশন ছাড়া তাও দেখলাম না। আবার ভাবলাম ওর সাথে কথার বর্ণনাতেই দেখা যাবে পুরো স্টোরি, তাও না। এই ক্যারেক্টারকে কনডেম সেলের আরেকটা বন্দী দিয়ে রিপ্লেস করে দিলেও আমি কোন পার্থক্য দেখি না, বরং প্রচন্ড লজিক্যাল।

ছবির স্ক্রিপ্ট হওয়ার কথা ছিলো প্রচন্ড স্ট্রং। সেখানে প্রত্যেকটা সাবপ্লটের এমন অপচয় সত্যিই হতাশার। ডায়ালগও দায়সারা। শুধু বলবো কিছু জায়গায় হাসানোর চেষ্টাটা ভালো ছিলো, কাঁদানোর চেষ্টা ছিলো মেলোড্রামায় ভরপুর।

ছবির এডিটিং কিছু জায়গায় অনেক ভালো ছিলো। কিন্তু কালারের কাজে পরিচালক সব জায়গাতেই প্রচন্ড সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছেন। কখনো গ্রে-শেড দিচ্ছিলেন কখনো চকচকা আবার কখনো ক্যাজুয়াল।বুঝলামই না কখন তার কেমন ইচ্ছে আর তা কি কারণে।

ছবির সিনেমাটোগ্রাফি জায়গায় আরো বড়ো চমক।চার ধরনের শট ছিলো-

১. ইউটিউবের টিউটোরিয়াল মেনে সাবজেক্টকে সেন্টারে রেখে বাকি ফ্রেমকে সিমেট্রিকলি ভাগ করে দাও
২. ক্যামেরা শেক করো
৩. রায়হান রাফির সিগনেচার, ড্রোন শট
৪.  টেস্ট পেপার কমন পড়েনি? ক্যাজুয়ালি মেরে দাও
আর সিনকে এস্থেটিক করতে পরিচালকের চেষ্টার কোন শেষ নেই। রাতের শট আসলেই ধোঁয়া উড়াও। চরিত্রের পেছনের দেয়ালে রাতের শটে হারিকেন জ্বললে সুন্দর দেখায়। তা ওই হারিকেনের আলো পেছনের অংশ ঝলমলে আর চেহারাসহ সামনের অংশের আলোর উৎস?  লাইটম্যানের লাইট।

রাফী কিছু ফ্রেম ধরতে পারে (আমি সেটাকে বলি ফ্রেমকে এস্থেটিক করতে পারে) কিন্তু কখনোই ভালো স্টোরিটেলার নয়।

গান নিয়ে কি বলবো জানি না। তবে ছবির শেষটা কেবল আনুশেহ আনাদিলের “খাঁচার পাখির” উপর ভর করে আগাইছে। আনুশেহ আউটস্ট্যান্ডিং।

রাফী প্রথমে শর্টফিল্ম বানাইতো।আর এই আড়াই মিনিট থেকে আড়াই ঘন্টায় লাফ দিলে প্রায় ৬০ গুণ বেশি সময় পাওয়া যায়। এর একটা সুবিধা আরেকটা অসুবিধা আছে। সুবিধা হলো গল্প অনেক এলাবোরেটলি বলা যায়। আর অসুবিধা হলো গল্প একটা ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে আড়াই ঘন্টা টানা। রাফি ঠিক এখানেই ফাঁসছে।

পুনশ্চ : সিনেপ্লেক্সে পাশাপাশি দুটো হলে চলছিলো “হাসিনা : অ্যা ডটারস টেল” আর “দহন”। দুটোই রাজনৈতিক গল্প। “দহন”-এর একটা সংলাপ হলো- “নেতা আপনি তো কোন দলেরই না”।


Leave a reply